ক্যান্সার কি এর কারন এবং লক্ষণ সমূহ
ক্যান্সার এই শব্দটি আমাদের বর্তমান বিশ্বে একটি বহুল প্রচলিত এবং ভয়াবহ একটি রোগের নাম। বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবং হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ক্যান্সারের অপর নাম হচ্ছে কর্কট রোগ। বর্তমান বিশ্বে ক্যান্সার ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও এর কোনও সঠিক এবং সম্পূর্ণ নিরাময় যোগ্য কোন চিকিৎসা আবিষ্কার করা এখনো সম্ভব হয়নি। তবে ক্যান্সার নিরাময় করা দুঃসাধ্য হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ক্যান্সার শুরুর দিকে ধরা পড়ে না। যখন রোগীর শরীরে ক্যান্সার বিস্তার লাভ করে এরপর এই ক্যান্সার ধরা পড়ে যার কারণে ক্যান্সার থেকে সুস্থতা লাভ করা খুবই কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার। তবে আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা ক্যান্সার সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না। এবং বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বাস করেন। আমার আজকের পোস্টটি লেখার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা।
আমাদের শরীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য কোষ দ্বারা গঠিত। এই কোষগুলো এর নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করার পরে নষ্ট হয়ে যায় এবং নষ্ট হওয়া কোষের স্থানে নতুন কোষ এর জন্ম ঘটে।
সাধারণ অবস্থায় এই কোষগুলো একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিভাজিত হয় এবং নতুন কোষ এর সৃষ্টি হয়। কিন্তু যখন এই কোষ বিভাজনে সমস্যা বা গোলযোগ দেখা দেয় ঠিক তখনই ক্যান্সার এর উৎপত্তি হয়। কোষ বিভাজনের গোলযোগের কারণে দেহের যে কোন জায়গায় মাংসপেশীগুলো দলা পাকিয়ে যায় প্রথম অবস্থায় একে টিউমার বলা হয়। এই টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট কে ক্যান্সার বলা হয়। তবে এই অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত কলা বা টিস্যু যদি আশেপাশের টিস্যু বা কলা কে ভেদ করতে না পারে কবে তা ক্যান্সার নয় এবং এর নাম দেওয়া হয়েছে বিনাইন টিউমার বা নিরীহ টিউমার এটি মূলত ক্যান্সার নয়।
তবে এই কলা বা টিস্যু যদি পার্শ্ববর্তী অন্য টিস্যু ভেদ করতে সক্ষম হয় তখন তা ক্যানসারে রূপান্তরিত হয়। এবং একে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যান্সার বলা হয়। তবে অনেক ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যান্সার প্রথমে নিরীহ টিউমার বা বিনাইন টিউমার হিসেবে দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে তার পার্শ্ববর্তী কোষ কে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
আমরা এর থেকে ক্যানসার কি তা জানতে পারলাম। আমরা এ বিষয়ে পরিষ্কার বুঝতে পারলাম যে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনে হচ্ছে ক্যান্সার। তাহলে ক্যান্সারের কিছু কারণ জেনে নেয়া যাক-
মূলত ক্যান্সারের সঠিক কোন কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছে যে ক্যান্সার বেশ কিছু কারণে হয়ে থাকে এর মধ্যে কয়েকটি কারণ হলো, বয়স হচ্ছে ক্যান্সারের অন্যতম একটি কারণ যখন আমাদের বয়স বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আমরা জানি বয়স বৃদ্ধির ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে যার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। ঠিক ক্যান্সার ও এভাবেই আমাদের শরীরকে আক্রান্ত করে। ক্যান্সার মূলত বেশি দেখা যায় 60 থেকে 70 বছর এর উপরের বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে। কারণ এই বয়সের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত কম বয়সী মানুষের তুলনায় অনেক কম। তাই এই বয়সে মানুষ খুব সহজেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
খাদ্যভ্যাস ক্যান্সারের অন্যতম একটি কারণ। এছাড়া মদ্যপান ধূমপান ইত্যাদি নেশা জাতীয় দ্রব্য যারা সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এরা মূলত ফুসফুস ক্যান্সার, কন্ঠনালী এবং লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত বেশি হয়। এছাড়া অতিরিক্ত লবণ এবং চিনির যুক্ত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া যারা পরিশ্রম করে না তাদেরও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জেনেছে ক্যান্সারের সাথে বংশগতি বা জিনগত সম্পর্ক রয়েছে।
পূর্ব পুরুষদের মধ্যে যদি কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাহলে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ হলো, প্রচন্ড পরিমানে ক্লান্তি বোধ করা, খাওয়ার প্রতি রুচি কমে যাওয়া এবং ক্ষুধা না লাগা, মানসিক ভাবে অস্বস্তি বোধ করা, ওজন প্রচন্ড পরিমাণে কমে যাওয়া, জ্বর রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া ইত্যাদি এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী কাশি এবং গলা ভাঙ্গা। এবং শরীরের কোন জায়গায় চাক বা দলা পাকানো দেখা দেয়া ইত্যাদি লক্ষণ হতে পারে।
এই মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।কিন্তু এর পরেও এখন পর্যন্ত ক্যান্সার এর কোন সঠিক চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তাই যদি প্রথম অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া অনেকাংশে সম্ভব। তবে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সফলতা চাইতে ব্যর্থতার পরিমাণই বেশি এখন পর্যন্ত।
আমাদের শরীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য কোষ দ্বারা গঠিত। এই কোষগুলো এর নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করার পরে নষ্ট হয়ে যায় এবং নষ্ট হওয়া কোষের স্থানে নতুন কোষ এর জন্ম ঘটে।
তবে এই কলা বা টিস্যু যদি পার্শ্ববর্তী অন্য টিস্যু ভেদ করতে সক্ষম হয় তখন তা ক্যানসারে রূপান্তরিত হয়। এবং একে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যান্সার বলা হয়। তবে অনেক ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যান্সার প্রথমে নিরীহ টিউমার বা বিনাইন টিউমার হিসেবে দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে তার পার্শ্ববর্তী কোষ কে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
আমরা এর থেকে ক্যানসার কি তা জানতে পারলাম। আমরা এ বিষয়ে পরিষ্কার বুঝতে পারলাম যে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনে হচ্ছে ক্যান্সার। তাহলে ক্যান্সারের কিছু কারণ জেনে নেয়া যাক-
মূলত ক্যান্সারের সঠিক কোন কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছে যে ক্যান্সার বেশ কিছু কারণে হয়ে থাকে এর মধ্যে কয়েকটি কারণ হলো, বয়স হচ্ছে ক্যান্সারের অন্যতম একটি কারণ যখন আমাদের বয়স বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আমরা জানি বয়স বৃদ্ধির ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে যার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। ঠিক ক্যান্সার ও এভাবেই আমাদের শরীরকে আক্রান্ত করে। ক্যান্সার মূলত বেশি দেখা যায় 60 থেকে 70 বছর এর উপরের বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে। কারণ এই বয়সের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত কম বয়সী মানুষের তুলনায় অনেক কম। তাই এই বয়সে মানুষ খুব সহজেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
খাদ্যভ্যাস ক্যান্সারের অন্যতম একটি কারণ। এছাড়া মদ্যপান ধূমপান ইত্যাদি নেশা জাতীয় দ্রব্য যারা সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এরা মূলত ফুসফুস ক্যান্সার, কন্ঠনালী এবং লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত বেশি হয়। এছাড়া অতিরিক্ত লবণ এবং চিনির যুক্ত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া যারা পরিশ্রম করে না তাদেরও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জেনেছে ক্যান্সারের সাথে বংশগতি বা জিনগত সম্পর্ক রয়েছে।
পূর্ব পুরুষদের মধ্যে যদি কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাহলে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ হলো, প্রচন্ড পরিমানে ক্লান্তি বোধ করা, খাওয়ার প্রতি রুচি কমে যাওয়া এবং ক্ষুধা না লাগা, মানসিক ভাবে অস্বস্তি বোধ করা, ওজন প্রচন্ড পরিমাণে কমে যাওয়া, জ্বর রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া ইত্যাদি এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী কাশি এবং গলা ভাঙ্গা। এবং শরীরের কোন জায়গায় চাক বা দলা পাকানো দেখা দেয়া ইত্যাদি লক্ষণ হতে পারে।
এই মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।কিন্তু এর পরেও এখন পর্যন্ত ক্যান্সার এর কোন সঠিক চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তাই যদি প্রথম অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া অনেকাংশে সম্ভব। তবে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সফলতা চাইতে ব্যর্থতার পরিমাণই বেশি এখন পর্যন্ত।