ব্লগিং থেকে মাসে ৩০০০০-৪০০০০ হাজার টাকা আয়ের বিস্তারিত গাইডলাইন
কিভাবে ব্লগিং থেকে মাসে ৩০০০০-৪০০০০ টাকা আয় করবেন-আমাদের মাঝে অনেকেরই ব্লগিং থেকে আয় করার তীব্র ইচ্ছা রয়েছে। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও সঠিক গাইডলাইনের অভাবে অনেকেই পিছিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে হয়তো জানেই না যে ব্লগিং থেকে মূলত আয় আসে কিভাবে! অনেকেই মনে করে ব্লগের যত ভিজিটর হবে ইনকাম তত বেশি হবে। তারা মনে করে ভিজিটর এর উপর নির্ভর করে গুগল তাদের টাকা দেয়। এছাড়াও প্রথমদিকে ব্লগিং করে তারা বিভিন্ন কারণে হতাশ হয় এবং তাদের ধৈর্য হারিয়ে ফেলে ফলশ্রুতিতে তারা পিছিয়ে যায় ব্লগিং থেকে।
আমি আজ আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো কিভাবে আপনি একটি ব্লগ করে সফলতা পেতে পারেন। এবং কিভাবে আপনি পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হবেন সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করব। ব্লগের মাধ্যমে কিভাবে আপনি ইনকাম করবেন এবং সে টাকা হাতে পাবেন সম্পূর্ণ বলা হবে এই টিউটোরিয়ালটিতে।
ব্লগ কি?
ব্লগিং হচ্ছে এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনার লেখালেখি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারেন। আপনার লেখালেখির দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্লগিং একটি অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এবং বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্লগিং সুবিধা প্রদান করবে। যেমন ওয়ার্ডপ্রেস,গুগোল ইত্যাদি। সর্বোপরি আপনারা সকলেই ওয়েবসাইট চিনেন ব্লগ আসলে একটি ওয়েবসাইট। তবে এখানে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।একটি ওয়েবসাইট তৈরিতে প্রয়োজন ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা। কিন্তু ব্লগের ক্ষেত্রে আপনাকে কোন প্রকার ডোমেইন বা হোস্টিং কিনতে হবেনা এই সুবিধা আপনাকে তারা ফ্রিতেই প্রদান করবে।
আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনার লেখালেখির দক্ষতার পাশাপাশি আপনি আপনার ইনকামের একটু বড় উৎস হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন এই ব্লগিংকে।
ব্লগিংয়ের জন্য কোন প্ল্যাটফর্ম বেছে নেবেন?
ব্লগিং করার জন্য অনেক প্লাটফর্ম আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং জনপ্রিয় দুটি প্লাটফর্ম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার। তবে আমি আপনাদের পরামর্শ দিব ব্লগারের ব্লগিং এর জন্য। blogger.com হচ্ছে গুগলের একটি সুবিধা। যেখানে আপনি একটি ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে লেখালেখি করতে পারবেন।
তবে আমি আপনাকে ব্লগার ব্যবহারের পরামর্শ দেই কেন?
আমি আপনাকে ব্লগার ব্যবহারের পরামর্শ দেই তার প্রধান কারণ হচ্ছে blogger.com এ ব্লগিং অন্যান্য প্লাটফর্ম হতে অত্যন্ত সহজে এবং সুবিধাজনক। আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এবং এটি গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট হওয়ার কারণে আপনি কিছু আলাদা সুবিধা পেয়ে থাকবেন। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ব্লগারের ব্লক পোস্টগুলি গুগোল সার্চ ইঞ্জিন অটোমেটিক ইনডেক্স করে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি এসইও নাও করেন আপনার ব্লগ টি তাতেও সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ভালো একটি স্থানে তৈরি হবে।
ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের উপায়!
নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি এবং ব্লগস্পটে কাজ করার সুবিধা অসুবিধা গুলো।
নিজস্ব ওয়েবসাইটে সুবিধাগুলো-
নিজস্ব ওয়েবসাইট মানে এটি সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত। আর সে কারণে আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে আপনার মনের মত করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। আপনি যেকোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনাকে কোন প্রকার বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হবে না। বা কোন ফিচার যুক্ত করতে বা সরাতে কোন অসুবিধা পোহাতে হবেনা।
ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ তৈরি করে আয় করার সম্পুর্ন গাইডলাইন।
অসুবিধাসমূহ-
এক্ষেত্রে আপনাকে নিজস্ব ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। যার জন্য আপনাকে এককালীন কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে। যেহেতু একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তাই কাজগুলো আপনাকে নিজেরই করতে হবে। যেমন ওয়েবসাইট তৈরি কাস্টোমাইজ ইত্যাদি। তবে সকল কাজ নিজে না পারলেও কোন ওয়েব ডেভলপারকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন খুব সহজে। কিন্তু তার জন্য তাকে প্রদান করতে হবে মোটা অংকের টাকা। এছাড়াও ডোমেইন হোস্টিং এর জন্য মাসিক অথবা বাৎসরিক হারে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে। মূলত ডোমেইন এবং হোস্টিং বাৎসরিক হিসেবে কেনা হয়। আপনি যদি একটি ডটকম ডোমেইন এবং 1 জিবি হোস্টিং নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে আপনার ডোমেইন হোস্টিং এর জন্য বাৎসরিক খরচ হবে কমপক্ষে ১৮০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা। যা মূলত ওয়েবসাইট থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয় না আসা পর্যন্ত একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট আমার ভিতর প্রতিবছরই ডোমেইন হোস্টিং রিনিউ করতে হবে।
blogger.com এ ব্লগ তৈরীর সুবিধা সমূহ-
এখানে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রি তে লগইন করতে পারছেন। আপনি যদি blogspot.com সাবডোমেইন ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে কোন রকমই অর্থ প্রদান করতে হবে না। যার ফলে আপনার ব্লক থেকে অর্থ উপার্জন না হওয়া পর্যন্ত কোন প্রকারে সমস্যায় পড়তে হবে না কারণ এখানে আপনার কোন ইনভেস্ট নেই। কাস্টমাইজ করা সহজ। আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগ থেকে মনের মত করে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোন অতিরক্ত দক্ষতা অর্জন করতে হবে না।বর্তমান সময় আমি অনেক ব্লগ দেখেছি যেখানে ব্লগস্পটের ফ্রি ডোমেইন অর্থাৎ সাব ডোমেইনেই এডসেন্স এপ্রুভ হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে ডোমেইন কেনার প্রয়োজন পড়ে না।
অসুবিধা সমূহ-
ব্লগস্পটে ব্লগিং করতে আমাদের যে সকল অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় যেমন এখানে আপনি একাধিক মেম্বার লগইন করার সিস্টেম তৈরি করতে পারবেন না। অর্থাৎ ট্রিকবিডি বা অন্যান্য ওয়েবসাইটের মত আপনি ফোরাম তৈরি করতে পারবেন না। তবে অথর যুক্ত করতে পারবেন আপনার ব্লগে। এবং একাধিক এডমিন যুক্ত করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কাউকে আপনি এডমিন বা অথর তৈরি করতে মেনুয়ালি তাদে সিলেক্ট করতে হবে। তারা নিজে থেকে আপনার ব্লগে যুক্ত হতে পারবেনা। যেমনটা ফোরাম বা প্রশ্ন উত্তর সাইটে হয়।যে মেম্বার এসে লগিন বা সাইনআপ করে যুক্ত হবে। আপনি কমেন্ট সেকশন টি কাস্টমাইজ করতে পারেন না। আপনাকে ব্লগস্পটের ডিফল্ট কমেন্ট গ্যাজেট ব্যবহার করতে হবে।
তবে আমি বলব যে সকল কিছুর সুবিধা রয়েছে তার কিছু অসুবিধাও থাকাটা স্বাভাবিক। এরপরেও সকল কিছু মিলিয়ে ব্লগস্পট.কম একটি আদর্শ প্লেস এখানে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করতে পারবেন। তাহলে আমি ধরে নিলাম আপনার ব্লগস্পট ডট কমে ব্লগিং করার জন্য আগ্রহী তাহলে চলুন কিভাবে শুরু করবেন এবং কিভাবে ইনকাম করবেন জেনে নেই।
প্রথমে জানা যাক একটি ব্লগ থেকে ইনকাম পর্যন্ত যেতে আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে:
১- প্রথমে আপনাকে একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে।
২-ব্লগটি সম্পূর্ন ভাবে কাস্টমাইজড করতে হবে এবং অবশ্যই Privacy Policy, About Us,Contact Us,Site map এই চারটি পেইজ তৈরি করতে হবে।
৩- ব্লগে ভালো মানের কনটেন্ট লিখতে হবে।
৪- ব্লগ এসইও(SEO)করতে হবে।
৫- উপরোক্ত শর্তগুলো পূরণ হলে পরে আপনি এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করতে পারেন।
৬- এডসেন্সের বিজ্ঞাপন গুলো কাস্টমাইজ করে আপনি যে সকল স্থানে বিজ্ঞাপন দেখাতে চান সেই স্থানে সেট করতে হবে।
১.কিভাবে একটি ব্লগ খুলবেন-
একটি ব্লগ খুলতে প্রথমে আপনাকে blogger.com প্রবেশ করতে হবে। এরপরে আপনার জিমেইল দিয়ে সেটি লগইন করুন। এরপরে ক্রিয়েট এ নিউ ব্লগ অপশনে গিয়ে আপনি একটি ব্লগ তৈরী করতে পারবেন।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি ব্লগ তৈরি করার ফরম।
এখানে টাইটেল এর ঘরে আপনি আপনার ব্লগের টাইটেল দিন অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ের উপর ব্লকটি তৈরি করতে যাচ্ছেন তার বিষয়ে কিছু লিখুন।
দ্বিতীয় ঘরে আপনার ব্লগের লিঙ্ক দিতে হবে অর্থাৎ আপনি কোন নামের লোকটি হতে চান। আপনি আপনার পছন্দমত একটি নাম দিন। মনে করুন আপনার ব্লগ টির নাম হবে prothomalo অর্থাৎ আপনার ব্লগের লিংক হবে prothomal.blogspot.com তবে আপনি যে নামের ব্লগটি করতে চাচ্ছেন সেটি এভেলেবেল নাও থাকতে পারে। যদি আপনার নামটি অ্যাভেলেবল না থাকে তাহলে নামটি পরিবর্তন করুন। বান আমার সাথে কিছু যুক্ত করুন। যখন দেখবেন আপনার ব্লগের নামের পরে ✅ এমন টিক চিহ্ন আসছে তখন বুঝবেন আপনার ব্লগস্পটের নামটি এভেলেবেল আছে। অর্থাৎ আপনি এই নামের ব্লগ খুলতে পারবেন।
নাম ঠিক করার পরে এবার আপনি একটি থিম সিলেক্ট করুন। আপনি উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন কতগুলো থিমের নাম দেওয়া রয়েছে আপনার ভেতর থেকে একটি নাম সিলেক্ট করে দিন।
থীম নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে আপনি ক্রিয়েট এ ব্লগ অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনার ব্লগটি তৈরী হয়ে যাবে। এবং আপনার ব্লগের ডেশবোর্ডে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে।
আপনি দেখতে পাচ্ছেন উপরের ছবিতে একটি ব্লগারের ড্যাশবোর্ড এর ছবি। আপনি এটির মাধ্যমে আপনার ব্লগটি কন্ট্রোল করতে পারবেন এবং এখান থেকেই বিভিন্ন পোস্ট পাবলিশ করতে পারবেন।
আপনি এখানে বিভিন্ন অপশন দেখতে পাচ্ছেন।
পোস্ট অপশনে গেলে আপনি উপরে লেখা দেখতে পাচ্ছেন নিউ পোস্ট নামে একটি অপশন। এখান থেকে আপনি নতুন একটি পোস্ট লিখতে পারবেন।
Status এই অপশনটি থেকে আপনি আপনার ব্লগে কতজন ভিজিট করলো। কোন কোন দেশ থেকে ভিজিট করলে তাদের সমস্ত বিস্তারিত দেখতে পাবেন।
এর নিচে রয়েছে কমেন্ট অপশন এখান থেকে আপনার ব্লগে কেউ কমেন্ট করলে সেটি জানতে পারবেন এবং সেটি মডারেটর তে পারবেন। কোন কমেন্ট অ্যাপস অফ বা ডিলিট করতে এখান থেকে পারবেন।
এরপরে রয়েছে আর্নিং নামে একটি অপশন এখান থেকে আপনি আপনার ব্লগে এডসেন্স যুক্ত করতে পারবেন। এবং এখান থেকে আপনি এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করতে পারেন।
এরপর রয়েছে পেজ অপশন এখান থেকে আপনি বিভিন্ন পেইজ তৈরি করতে পারবেন। যেমন প্রাইভেসি পলিসি কন্টাক্ট এবাউট সাইটম্যাপ ইত্যাদি পেজ তৈরি করতে হবে এইখান থেকে।
এরপর রয়েছে লে-আউট অপশন। এটি আপনার ব্লগের লেআউট ঠিক করার জন্য ব্যবহার করবেন।
থিম অপশন থেকে আপনি বিভিন্ন কাস্টম থিমঃ যুক্ত করতে পারবেন আপনার ব্লগে। এবং ব্লগস্পটের ডিফল্ট থিম গুলো পাবেন এখানে। এছাড়াও চাইলে কাস্টম থীম যুক্ত করে ব্লগকে প্রিমিয়াম মানের করতে পারেন।
সেটিংস অপশন থেকে বিভিন্ন সেটিংস। মেটা ট্যাগ ইত্যাদি সেট করতে পারবেন। কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করতে পারবেন এখান থেকে।
আমরা ব্লগারের কন্ট্রোল প্যানেল সম্পর্কে জানতে পারলাম এবং কোন অপশনটি কোন কাজে ব্যবহার হয় সেটি সম্পর্কে একটি ধারণা লাভ করতে পারলাম।
২.ব্লগ কাস্টমাইজেশন করা-
একটি ব্লগের ক্ষেত্রে ব্লগ কাস্টমাইজেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্লগ কাস্টমাইজেশন ব্লগকে একদিকে যেমন পাঠকের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সহায়তা করে। তেমনই সার্চ ইঞ্জিনের কাছেও খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে সহযোগিতা করে। কারণ ব্লগের প্রতিটি পেজ সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয় তাই আপনার সার্চ ইঞ্জিন দেখিয়ে দেওয়া উচিত কোন পেজগুলো সে ইনডেক্স করবে আর কোন পোস্টগুলো করবে না। এবং একটি যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে আপনার ব্লগের জন্য বিরূপ প্রভাব পড়বে সার্চ ইঞ্জিনে। কারণ একটি ব্লগের সর্বাধিক পাঠক আসে সার্চ ইঞ্জিন থেকে। তাই আপনি সার্চ ইঞ্জিনের ভূমিকা কখনোই এড়িয়ে যেতে পারবেন না।
ব্লক কাস্টোমাইজেশনের জন্য আপনি প্রথমে আপনার ব্লগে প্রাইভেসি পলিসি, এবাউট আস,কন্টাক আস,সাইট ম্যাপ পেজগুলো যুক্ত করুন। এবং পেজগুলো অবশ্যই ইংরেজিতে লিখবেন। আপনার সাইটটি বাংলা কনটেন্ট ভিত্তিক হয় তবুও অবশ্যই পেজগুলো ইংরেজিতে লিখবেন। কারণ গুগলের এডসেন্স পেতে হলে এই পেজ গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এবং পেজগুলো অবশ্যই ইংরেজিতে না হলে আপনি এডসেন্স এপ্রুভ করতে পারবেন না।
লেআউট থেকে আপনি ফিচার পোস্ট, রিলেটেড পোস্ট, পপুলার পোস্ট,লেবেল ইত্যাদি যুক্ত করুন। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্লগ সাইটের জন্য।
থিম অপশন থেকে আপনি আপনার থিমের ব্যাকআপ নিতে পারবেন এবং নতুন কাস্টম থিমযুক্ত করতে পারবেন। আপনি অপশন টির মাধ্যমে চাইলে নতুন কোন কাস্টম থিম যুক্ত করতে পারেন। ইন্টারনেট খুঁজলে অনেক থিম পাবেন যেগুলো সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনার ব্লক একটি প্রফেশনাল মানের ব্লগে রূপান্তর করতে পারবেন। তবে অবশ্যই তিনটি ফাস্ট লোডিং,SEO ফ্রেন্ডলি এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
সেটিং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এটি থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের সেটিং করতে পারবেন। যেমন কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করা, রোবট টেক্সট যুক্ত করা মেটা ট্যাগ যুক্ত করা, মেটা কি-ওয়ার্ড যুক্ত করা, ব্লগ টাইটেল যুক্ত করা ইত্যাদি এখান থেকে করতে হবে।
৩.ভালো মানের আর্টিকেল লেখা-
ভালো মানের আর্টিকেল বলতে গ্রাহককে আকৃষ্ট করার মত বিষয় কে বোঝানো হয়। আপনার ব্লগের আর্টিকেল যত ভালো মানের হবে আপনার ব্লগ ফি কত গ্রাহকের কাছে পরিচিতি পাবে এবং তার পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ব্লগকে ভ্যালু দিতে শুরু করবেন।
ভালো মানের আর্টিকেল লেখার কয়েকটি মৌলিক বিষয় রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি মৌলিক বিষয় হচ্ছে আপনার আর্টিকেলটি অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে। আপনার আর্টিকেলটি এসইও ফ্রেন্ডলি নাহলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে তা ভ্যালু পাবেনা। এবং সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেলটি র্যাংক করবে না। আর্টিকেলটির বিষয়বস্তু হতে হবে আকর্ষণীয়। এবং যথার্থ তথ্যসমৃদ্ধ হতে হবে আপনার লেখনি। কারণ আপনি যেমন কোন কিছু জানার জন্য অন্যের ব্লগে ভিজিট করেন তেমনি অন্যরাও কোন কিছু জানার জন্যই আপনার ব্লগে প্রবেশ করবে। সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগের পোস্ট যদি যথার্থ তথ্যসমৃদ্ধ না হয় তাহলে ভিজিটর আপনার ব্লগের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে এবং আপনার ব্লগ পরবর্তী সময়ে ভিজিট করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে না। এরপরে ব্লগের পোস্ট সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভ্যালু বৃদ্ধির জন্য আপনার সেটি মিনিমাম 400 থেকে 500 ওয়ার্ড এর করা উচিত। পোস্ট যত তথ্য সমৃদ্ধ এবং বড় হবে ততোই পোষ্টের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।
আপনার পোষ্টের টাইটেল এ অবশ্যই কোন কি-ওয়ার্ড থাকতে হবে যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি কোন ব্যক্তি আপনার পোস্টটি কে খুঁজে পাবে। পোস্টের টাইটেল যথাসম্ভব আকর্ষণীয় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ পোষ্টের টাইটেল যত আকর্ষণীয় হবে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর যত বেশি আসবে। সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পোস্টের শুধুমাত্র টাইটেলটি দেখা যায় তাই এমন কোন টাইটেল দিন যা দেখে পাঠক আকৃষ্ট হয়ে আপনার ব্লগে প্রবেশ করবে। তবে সেজন্যে কোন অযৌক্তিক টাইটেল দিবেন না কারন পাঠক যদি আপনার ব্লগে প্রবেশ করে উপযুক্ত তথ্য না পায় তাহলে আপনার ব্লগ থেকে শেষ হল ছবি বের হয়ে যাবে এবং এর ফলে আপনার ব্লগের বাউন্স রেট বৃদ্ধি পাবে এবং সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভ্যালু হারিয়ে ফেলবে। এবং পোষ্টের মধ্যে যত সম্ভব টাইটেলের কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন এটি এসইও'র ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ব্লগ এসইও(SEO) করা-
এসইও(SEO) এর পূর্ণরুপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার ব্লগটিকে উপস্থাপন করা বা তুলে ধরা যার ফলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগ এর পোস্টগুলো ইন্ডেক্স করবে।এবং সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহারকারীদের নিকট আপনার ব্লগটিকে তুলে ধরবে। সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ব্লকে অধিকাংশ ভিজিটর আসে তাই এসইও(SEO) র ক্ষেত্রে বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং অবশ্যই যত্নবান হতে হবে। কারণ আপনি আপনার ব্লগকে জনপ্রিয় করে তুলবেন এই সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে।
আপনার ব্লগটিকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করুন যেমন গুগল সার্চ ইঞ্জিন, বিং, ইয়নডেক্স এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন। এবং আপনার ব্লগটিকে ভালো মানের কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।কারণ কি ওয়ার্ড এর মাধ্যমেই মানুষ সার্চ করে আপনার ব্লগটি খুঁজে পাবে। কিওয়ার্ড নির্বাচনের জন্য অনেক টুল রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কিওযার্ডের এর সার্চ ভলিউম। কম্পিটিশন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। কীওয়ার্ড নির্বাচন এবং সার্চ ভলিউম ইত্যাদি জানতে আপনি গুগোল কীওয়ার্ড প্লানার (google keyword planner) ব্যবহার করতে পারেন।
এসইও(SEO) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি এবং এর বিস্তারিত।
এবং সাইটের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যাকলিংক তৈরী করতে হবে। ব্যাকলিংক করার অর্থ হচ্ছে আপনার সাইটের লিংক অন্যান্য সাইটে শেয়ার করতে হবে। এজন্য ব্লগের কমেন্ট, গেস্ট ব্লগিং, ফোরাম, প্রশ্ন-উত্তর সাইটে কাজ করতে পারেন। আপনি কমেন্টের মাধ্যমে কোন পোস্টে আপনার ব্লগের লিংক শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন পোস্ট করার মাধ্যমে আপনার ব্লগের লিংক শেয়ার করতে পারেন। আপনি ব্লগে পোস্ট করার মাধ্যমে পোস্টের মাঝে আপনার ব্লগের লিংক ক্রেডিট হিসেবে দিয়ে দিতে পারেন। এর ফলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার ব্লগের ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ব্লগ টি দ্রুত র্যাংক করবে। তবে ব্যাকলিংক তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক হতে হবে। যেসব ওয়েবসাইট ইতিমধ্যে গুগলে র্যাংক করছে সেই সব ওয়েবসাইটে আপনি ব্যাকলিংক তৈরি করবেন। যে সকল ছেড়ে এখন পর্যন্ত র্যাংক করে নেই সে সকল সাইটে আপনি ব্যাকলিংক তৈরী করলে তেমন কোন ভাল ফলাফল পাবেন না।
এছাড়াও এসইও'র ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার ব্লগে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিজিটর আসতে পারে।
এডসেন্স আবেদনের খুঁটিনাটি-
একটি ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব।কিন্তু ব্লগ থেকে আয় এর সবচাইতে বড় এবং সহজ মাধ্যম হচ্ছে গুগল এডসেন্স। কারন গুগল এডসেন্স কে বলা হয় সোনার হরিণ। তাহলে ব্লগের জন্য গুগল এডসেন্স এর গুরুত্ব কতটা আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। গুগল এডসেন্স ছাড়াও আরো অনেক এড নেটওয়ার্ক আছে যেগুলো আপনি আপনার ব্লগে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সেগুলো আপনাকে গুগল এডসেন্স এর মত এত পরিমান আয় এনে দিতে পারবে না। আপনি যদি গুগল এডসেন্স এর বিকল্প হিসেবে খোঁজেন কোন বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক তাহলে আপনার ব্লগিং এর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না তাই আপনার প্রথম পছন্দ হতে হবে গুগল অ্যাডসেন্স।
অনেকেই মনে করে গুগল এডসেন্স পাওয়া অনেক কঠিন বিষয় কিন্তু তা নয়। বর্তমানে গুগল এডসেন্স খুব সহজেই অ্যাপ লক করা যায়। কারন গুগল তার প্রাইভেসি পলিসি অনেক সহজ করে দিয়েছে আগের চাইতে। তবে গুগল এডসেন্স প্লিজ আপনার হাজার হাজার টাকা ইনকাম হবে তা কিন্তু নয়। আপনাকে অবশ্যই আপনার পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে এবং ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ করতে হবে। তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি ভাল মানের একটা আর্নিং পাবেন আপনার ব্লগ থেকে।
আপনার ব্লগের উল্লেখিত কাজগুলো অবশ্যই ইংলিশে করবেন যেমন প্রাইভেসি পলিসি, অ্যাবাউট আস, contact-us ইত্যাদি পেজগুলো। এবং অবশ্যই সাইটম্যাপ পেস্ট্রি ও রাখবেন। এবং আপনার কনটেন্ট গুলো অবশ্যই কপি পেস্ট মুক্ত করবেন। কোন সাইট থেকে কপি করে আপনার ব্লগে পাবলিশ করবেন না। কারণ কপি পেস্ট থেকে আপনার ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার আসবে না।কারণ আপনি যদি অন্য সাইট থেকে কপি করে পোস্ট আপনার সাইটে পাবলিশ করে তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিনে স্ট্রাইক খাবেন এবং গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করতে পারবেন না।
আপনার ব্লগে কমপক্ষে 20 টি পোস্ট হওয়ার পরে আপনি গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করুন। আপনার ব্লগের আর্নিং ট্যাব থেকে আপনি সরাসরি এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং আপনি আবেদন করলে পরে তারা এক সপ্তাহের ভিতরেই আপনাকে আপনার এডসেন্স এপ্রুভ হয়েছে কিনা তা মেইলের জানিয়ে দেবে। যদি প্রথমবারে আপনার এডসেন্স এপ্রুভ না হয় তাহলে হতাশ হবেন না। পরবর্তীতে আবার প্রচেষ্টা করুন তাহলে অবশ্যই হবে। আমার স্মৃতিতে চারবার এপ্লাই করার পরে তারপরে অ্যাডসেন্সে এপ্রুভ হয়েছে। তাই আপনারাও হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যান অবশ্যই সফল হবেন। আমি সামনে এডসেন্স সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পোস্ট আপনাদের জন্য তুলে ধরবো।
অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ হওয়ার পরে কিভাবে বিজ্ঞাপনগুলি সেট করবেন-
অ্যাডসেন্সে ফর পরে বিজ্ঞাপনগুলো আগের মত আর কোড সেট করা লাগেনা। বর্তমানে গুগলের অটো এড ব্যবস্থা রয়েছে আপনার সাইটে যদি এডসেন্স এপ্রুভ হয় তাহলে আপনার সাইটে অটোমেটিক তারা বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে।
কিন্তু সমস্যা হল এই অটো এড এ আর্নিং তেমন হয় না। কারন তারা খুব কম পরিমাণে এবং যে সকল স্থানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে সেগুলো থেকে অ্যাড ক্লিক তেমন হয় না।
তাই আপনি অটো এড এর পাশাপাশি কাস্টম এডস ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনি আপনার ব্লগারের কন্ট্রোল প্যানেল থেকে লে-আউট অপশনটিতে যান। এবং যে সকল স্থানে আপনি বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাতে চান সে জায়গায় একটি নতুন গ্যাজেট যুক্ত করেন। গেজেট যুক্ত করলে প্রথমেই আপনি দেখতে পারবেন এডসেন্স নামক একটি অপশন এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত বিজ্ঞাপন সিলেক্ট করে খুব সহজেই আপনি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাতে পারবেন।
এছাড়াও দেশি পরিমাণ ইম্প্রেশন এবং কি পাওয়ার জন্য পোস্ট এর ভিতরেও বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করান। এর জন্য আপনার এডসেন্স একাউন্ট এর ভিতর গিয়ে নতুন একটি বিজ্ঞাপন কোড তৈরি করুন। এবং সেটি আপনার ব্লগ পোস্টের এডিট অপশনে গিয়ে এইচটিএমএল অপশন সিলেক্ট করুন। এবং যে সকল স্থানে বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শন করাতে চান সেখানে সেট করে দিন ব্যাস কাজ শেষ।
এবং আপনার ব্লগে নিয়মিত পোস্ট করুন এবং গ্রাহক বৃদ্ধির জন্য গেস্ট ব্লগিং ইত্যাদি শুরু করে দিন। তাহলে দেখবেন একটা সময় খুব ভালো পরিমাণ আয় নিয়ে আসছে আপনার ব্লগ থেকে। হয়তো প্রথমদিকে রানিং টা খুব কম হবে এবং পেমেন্ট পেতে একটু দেরী লাগবে। কারণ শুরুতেই কেউ সফল হতে পারেনা। তবে সফল হতে চাইলে কখনোই হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
ব্লগিং করে আয় করুন মাসে ৩০--৪০ হাজার টাকা |
ব্লগ কি?
ব্লগিং হচ্ছে এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনার লেখালেখি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারেন। আপনার লেখালেখির দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্লগিং একটি অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এবং বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্লগিং সুবিধা প্রদান করবে। যেমন ওয়ার্ডপ্রেস,গুগোল ইত্যাদি। সর্বোপরি আপনারা সকলেই ওয়েবসাইট চিনেন ব্লগ আসলে একটি ওয়েবসাইট। তবে এখানে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।একটি ওয়েবসাইট তৈরিতে প্রয়োজন ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা। কিন্তু ব্লগের ক্ষেত্রে আপনাকে কোন প্রকার ডোমেইন বা হোস্টিং কিনতে হবেনা এই সুবিধা আপনাকে তারা ফ্রিতেই প্রদান করবে।
আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনার লেখালেখির দক্ষতার পাশাপাশি আপনি আপনার ইনকামের একটু বড় উৎস হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন এই ব্লগিংকে।
ব্লগিংয়ের জন্য কোন প্ল্যাটফর্ম বেছে নেবেন?
ব্লগিং করার জন্য অনেক প্লাটফর্ম আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং জনপ্রিয় দুটি প্লাটফর্ম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার। তবে আমি আপনাদের পরামর্শ দিব ব্লগারের ব্লগিং এর জন্য। blogger.com হচ্ছে গুগলের একটি সুবিধা। যেখানে আপনি একটি ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে লেখালেখি করতে পারবেন।
তবে আমি আপনাকে ব্লগার ব্যবহারের পরামর্শ দেই কেন?
আমি আপনাকে ব্লগার ব্যবহারের পরামর্শ দেই তার প্রধান কারণ হচ্ছে blogger.com এ ব্লগিং অন্যান্য প্লাটফর্ম হতে অত্যন্ত সহজে এবং সুবিধাজনক। আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এবং এটি গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট হওয়ার কারণে আপনি কিছু আলাদা সুবিধা পেয়ে থাকবেন। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ব্লগারের ব্লক পোস্টগুলি গুগোল সার্চ ইঞ্জিন অটোমেটিক ইনডেক্স করে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি এসইও নাও করেন আপনার ব্লগ টি তাতেও সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ভালো একটি স্থানে তৈরি হবে।
ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের উপায়!
নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি এবং ব্লগস্পটে কাজ করার সুবিধা অসুবিধা গুলো।
নিজস্ব ওয়েবসাইটে সুবিধাগুলো-
নিজস্ব ওয়েবসাইট মানে এটি সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত। আর সে কারণে আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে আপনার মনের মত করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। আপনি যেকোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনাকে কোন প্রকার বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হবে না। বা কোন ফিচার যুক্ত করতে বা সরাতে কোন অসুবিধা পোহাতে হবেনা।
ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ তৈরি করে আয় করার সম্পুর্ন গাইডলাইন।
অসুবিধাসমূহ-
এক্ষেত্রে আপনাকে নিজস্ব ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। যার জন্য আপনাকে এককালীন কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে। যেহেতু একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তাই কাজগুলো আপনাকে নিজেরই করতে হবে। যেমন ওয়েবসাইট তৈরি কাস্টোমাইজ ইত্যাদি। তবে সকল কাজ নিজে না পারলেও কোন ওয়েব ডেভলপারকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন খুব সহজে। কিন্তু তার জন্য তাকে প্রদান করতে হবে মোটা অংকের টাকা। এছাড়াও ডোমেইন হোস্টিং এর জন্য মাসিক অথবা বাৎসরিক হারে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে। মূলত ডোমেইন এবং হোস্টিং বাৎসরিক হিসেবে কেনা হয়। আপনি যদি একটি ডটকম ডোমেইন এবং 1 জিবি হোস্টিং নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে আপনার ডোমেইন হোস্টিং এর জন্য বাৎসরিক খরচ হবে কমপক্ষে ১৮০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা। যা মূলত ওয়েবসাইট থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয় না আসা পর্যন্ত একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট আমার ভিতর প্রতিবছরই ডোমেইন হোস্টিং রিনিউ করতে হবে।
blogger.com এ ব্লগ তৈরীর সুবিধা সমূহ-
এখানে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রি তে লগইন করতে পারছেন। আপনি যদি blogspot.com সাবডোমেইন ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে কোন রকমই অর্থ প্রদান করতে হবে না। যার ফলে আপনার ব্লক থেকে অর্থ উপার্জন না হওয়া পর্যন্ত কোন প্রকারে সমস্যায় পড়তে হবে না কারণ এখানে আপনার কোন ইনভেস্ট নেই। কাস্টমাইজ করা সহজ। আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগ থেকে মনের মত করে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোন অতিরক্ত দক্ষতা অর্জন করতে হবে না।বর্তমান সময় আমি অনেক ব্লগ দেখেছি যেখানে ব্লগস্পটের ফ্রি ডোমেইন অর্থাৎ সাব ডোমেইনেই এডসেন্স এপ্রুভ হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে ডোমেইন কেনার প্রয়োজন পড়ে না।
অসুবিধা সমূহ-
ব্লগস্পটে ব্লগিং করতে আমাদের যে সকল অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় যেমন এখানে আপনি একাধিক মেম্বার লগইন করার সিস্টেম তৈরি করতে পারবেন না। অর্থাৎ ট্রিকবিডি বা অন্যান্য ওয়েবসাইটের মত আপনি ফোরাম তৈরি করতে পারবেন না। তবে অথর যুক্ত করতে পারবেন আপনার ব্লগে। এবং একাধিক এডমিন যুক্ত করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কাউকে আপনি এডমিন বা অথর তৈরি করতে মেনুয়ালি তাদে সিলেক্ট করতে হবে। তারা নিজে থেকে আপনার ব্লগে যুক্ত হতে পারবেনা। যেমনটা ফোরাম বা প্রশ্ন উত্তর সাইটে হয়।যে মেম্বার এসে লগিন বা সাইনআপ করে যুক্ত হবে। আপনি কমেন্ট সেকশন টি কাস্টমাইজ করতে পারেন না। আপনাকে ব্লগস্পটের ডিফল্ট কমেন্ট গ্যাজেট ব্যবহার করতে হবে।
তবে আমি বলব যে সকল কিছুর সুবিধা রয়েছে তার কিছু অসুবিধাও থাকাটা স্বাভাবিক। এরপরেও সকল কিছু মিলিয়ে ব্লগস্পট.কম একটি আদর্শ প্লেস এখানে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করতে পারবেন। তাহলে আমি ধরে নিলাম আপনার ব্লগস্পট ডট কমে ব্লগিং করার জন্য আগ্রহী তাহলে চলুন কিভাবে শুরু করবেন এবং কিভাবে ইনকাম করবেন জেনে নেই।
প্রথমে জানা যাক একটি ব্লগ থেকে ইনকাম পর্যন্ত যেতে আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে:
১- প্রথমে আপনাকে একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে।
২-ব্লগটি সম্পূর্ন ভাবে কাস্টমাইজড করতে হবে এবং অবশ্যই Privacy Policy, About Us,Contact Us,Site map এই চারটি পেইজ তৈরি করতে হবে।
৩- ব্লগে ভালো মানের কনটেন্ট লিখতে হবে।
৪- ব্লগ এসইও(SEO)করতে হবে।
৫- উপরোক্ত শর্তগুলো পূরণ হলে পরে আপনি এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করতে পারেন।
৬- এডসেন্সের বিজ্ঞাপন গুলো কাস্টমাইজ করে আপনি যে সকল স্থানে বিজ্ঞাপন দেখাতে চান সেই স্থানে সেট করতে হবে।
১.কিভাবে একটি ব্লগ খুলবেন-
একটি ব্লগ খুলতে প্রথমে আপনাকে blogger.com প্রবেশ করতে হবে। এরপরে আপনার জিমেইল দিয়ে সেটি লগইন করুন। এরপরে ক্রিয়েট এ নিউ ব্লগ অপশনে গিয়ে আপনি একটি ব্লগ তৈরী করতে পারবেন।
ব্লগ তৈরি করা |
এখানে টাইটেল এর ঘরে আপনি আপনার ব্লগের টাইটেল দিন অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ের উপর ব্লকটি তৈরি করতে যাচ্ছেন তার বিষয়ে কিছু লিখুন।
দ্বিতীয় ঘরে আপনার ব্লগের লিঙ্ক দিতে হবে অর্থাৎ আপনি কোন নামের লোকটি হতে চান। আপনি আপনার পছন্দমত একটি নাম দিন। মনে করুন আপনার ব্লগ টির নাম হবে prothomalo অর্থাৎ আপনার ব্লগের লিংক হবে prothomal.blogspot.com তবে আপনি যে নামের ব্লগটি করতে চাচ্ছেন সেটি এভেলেবেল নাও থাকতে পারে। যদি আপনার নামটি অ্যাভেলেবল না থাকে তাহলে নামটি পরিবর্তন করুন। বান আমার সাথে কিছু যুক্ত করুন। যখন দেখবেন আপনার ব্লগের নামের পরে ✅ এমন টিক চিহ্ন আসছে তখন বুঝবেন আপনার ব্লগস্পটের নামটি এভেলেবেল আছে। অর্থাৎ আপনি এই নামের ব্লগ খুলতে পারবেন।
নাম ঠিক করার পরে এবার আপনি একটি থিম সিলেক্ট করুন। আপনি উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন কতগুলো থিমের নাম দেওয়া রয়েছে আপনার ভেতর থেকে একটি নাম সিলেক্ট করে দিন।
থীম নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে আপনি ক্রিয়েট এ ব্লগ অপশনে ক্লিক করুন।
তাহলে আপনার ব্লগটি তৈরী হয়ে যাবে। এবং আপনার ব্লগের ডেশবোর্ডে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে।
ব্লগার কন্ট্রোল প্যানেল |
আপনি এখানে বিভিন্ন অপশন দেখতে পাচ্ছেন।
পোস্ট অপশনে গেলে আপনি উপরে লেখা দেখতে পাচ্ছেন নিউ পোস্ট নামে একটি অপশন। এখান থেকে আপনি নতুন একটি পোস্ট লিখতে পারবেন।
Status এই অপশনটি থেকে আপনি আপনার ব্লগে কতজন ভিজিট করলো। কোন কোন দেশ থেকে ভিজিট করলে তাদের সমস্ত বিস্তারিত দেখতে পাবেন।
এর নিচে রয়েছে কমেন্ট অপশন এখান থেকে আপনার ব্লগে কেউ কমেন্ট করলে সেটি জানতে পারবেন এবং সেটি মডারেটর তে পারবেন। কোন কমেন্ট অ্যাপস অফ বা ডিলিট করতে এখান থেকে পারবেন।
এরপরে রয়েছে আর্নিং নামে একটি অপশন এখান থেকে আপনি আপনার ব্লগে এডসেন্স যুক্ত করতে পারবেন। এবং এখান থেকে আপনি এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করতে পারেন।
এরপর রয়েছে পেজ অপশন এখান থেকে আপনি বিভিন্ন পেইজ তৈরি করতে পারবেন। যেমন প্রাইভেসি পলিসি কন্টাক্ট এবাউট সাইটম্যাপ ইত্যাদি পেজ তৈরি করতে হবে এইখান থেকে।
এরপর রয়েছে লে-আউট অপশন। এটি আপনার ব্লগের লেআউট ঠিক করার জন্য ব্যবহার করবেন।
থিম অপশন থেকে আপনি বিভিন্ন কাস্টম থিমঃ যুক্ত করতে পারবেন আপনার ব্লগে। এবং ব্লগস্পটের ডিফল্ট থিম গুলো পাবেন এখানে। এছাড়াও চাইলে কাস্টম থীম যুক্ত করে ব্লগকে প্রিমিয়াম মানের করতে পারেন।
সেটিংস অপশন থেকে বিভিন্ন সেটিংস। মেটা ট্যাগ ইত্যাদি সেট করতে পারবেন। কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করতে পারবেন এখান থেকে।
আমরা ব্লগারের কন্ট্রোল প্যানেল সম্পর্কে জানতে পারলাম এবং কোন অপশনটি কোন কাজে ব্যবহার হয় সেটি সম্পর্কে একটি ধারণা লাভ করতে পারলাম।
২.ব্লগ কাস্টমাইজেশন করা-
একটি ব্লগের ক্ষেত্রে ব্লগ কাস্টমাইজেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্লগ কাস্টমাইজেশন ব্লগকে একদিকে যেমন পাঠকের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সহায়তা করে। তেমনই সার্চ ইঞ্জিনের কাছেও খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে সহযোগিতা করে। কারণ ব্লগের প্রতিটি পেজ সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয় তাই আপনার সার্চ ইঞ্জিন দেখিয়ে দেওয়া উচিত কোন পেজগুলো সে ইনডেক্স করবে আর কোন পোস্টগুলো করবে না। এবং একটি যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে আপনার ব্লগের জন্য বিরূপ প্রভাব পড়বে সার্চ ইঞ্জিনে। কারণ একটি ব্লগের সর্বাধিক পাঠক আসে সার্চ ইঞ্জিন থেকে। তাই আপনি সার্চ ইঞ্জিনের ভূমিকা কখনোই এড়িয়ে যেতে পারবেন না।
ব্লক কাস্টোমাইজেশনের জন্য আপনি প্রথমে আপনার ব্লগে প্রাইভেসি পলিসি, এবাউট আস,কন্টাক আস,সাইট ম্যাপ পেজগুলো যুক্ত করুন। এবং পেজগুলো অবশ্যই ইংরেজিতে লিখবেন। আপনার সাইটটি বাংলা কনটেন্ট ভিত্তিক হয় তবুও অবশ্যই পেজগুলো ইংরেজিতে লিখবেন। কারণ গুগলের এডসেন্স পেতে হলে এই পেজ গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এবং পেজগুলো অবশ্যই ইংরেজিতে না হলে আপনি এডসেন্স এপ্রুভ করতে পারবেন না।
লেআউট থেকে আপনি ফিচার পোস্ট, রিলেটেড পোস্ট, পপুলার পোস্ট,লেবেল ইত্যাদি যুক্ত করুন। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্লগ সাইটের জন্য।
থিম অপশন থেকে আপনি আপনার থিমের ব্যাকআপ নিতে পারবেন এবং নতুন কাস্টম থিমযুক্ত করতে পারবেন। আপনি অপশন টির মাধ্যমে চাইলে নতুন কোন কাস্টম থিম যুক্ত করতে পারেন। ইন্টারনেট খুঁজলে অনেক থিম পাবেন যেগুলো সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনার ব্লক একটি প্রফেশনাল মানের ব্লগে রূপান্তর করতে পারবেন। তবে অবশ্যই তিনটি ফাস্ট লোডিং,SEO ফ্রেন্ডলি এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
সেটিং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এটি থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের সেটিং করতে পারবেন। যেমন কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করা, রোবট টেক্সট যুক্ত করা মেটা ট্যাগ যুক্ত করা, মেটা কি-ওয়ার্ড যুক্ত করা, ব্লগ টাইটেল যুক্ত করা ইত্যাদি এখান থেকে করতে হবে।
৩.ভালো মানের আর্টিকেল লেখা-
ভালো মানের আর্টিকেল বলতে গ্রাহককে আকৃষ্ট করার মত বিষয় কে বোঝানো হয়। আপনার ব্লগের আর্টিকেল যত ভালো মানের হবে আপনার ব্লগ ফি কত গ্রাহকের কাছে পরিচিতি পাবে এবং তার পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ব্লগকে ভ্যালু দিতে শুরু করবেন।
ভালো মানের আর্টিকেল লেখার কয়েকটি মৌলিক বিষয় রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি মৌলিক বিষয় হচ্ছে আপনার আর্টিকেলটি অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে। আপনার আর্টিকেলটি এসইও ফ্রেন্ডলি নাহলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে তা ভ্যালু পাবেনা। এবং সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেলটি র্যাংক করবে না। আর্টিকেলটির বিষয়বস্তু হতে হবে আকর্ষণীয়। এবং যথার্থ তথ্যসমৃদ্ধ হতে হবে আপনার লেখনি। কারণ আপনি যেমন কোন কিছু জানার জন্য অন্যের ব্লগে ভিজিট করেন তেমনি অন্যরাও কোন কিছু জানার জন্যই আপনার ব্লগে প্রবেশ করবে। সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগের পোস্ট যদি যথার্থ তথ্যসমৃদ্ধ না হয় তাহলে ভিজিটর আপনার ব্লগের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে এবং আপনার ব্লগ পরবর্তী সময়ে ভিজিট করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে না। এরপরে ব্লগের পোস্ট সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভ্যালু বৃদ্ধির জন্য আপনার সেটি মিনিমাম 400 থেকে 500 ওয়ার্ড এর করা উচিত। পোস্ট যত তথ্য সমৃদ্ধ এবং বড় হবে ততোই পোষ্টের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।
আপনার পোষ্টের টাইটেল এ অবশ্যই কোন কি-ওয়ার্ড থাকতে হবে যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি কোন ব্যক্তি আপনার পোস্টটি কে খুঁজে পাবে। পোস্টের টাইটেল যথাসম্ভব আকর্ষণীয় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ পোষ্টের টাইটেল যত আকর্ষণীয় হবে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর যত বেশি আসবে। সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পোস্টের শুধুমাত্র টাইটেলটি দেখা যায় তাই এমন কোন টাইটেল দিন যা দেখে পাঠক আকৃষ্ট হয়ে আপনার ব্লগে প্রবেশ করবে। তবে সেজন্যে কোন অযৌক্তিক টাইটেল দিবেন না কারন পাঠক যদি আপনার ব্লগে প্রবেশ করে উপযুক্ত তথ্য না পায় তাহলে আপনার ব্লগ থেকে শেষ হল ছবি বের হয়ে যাবে এবং এর ফলে আপনার ব্লগের বাউন্স রেট বৃদ্ধি পাবে এবং সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভ্যালু হারিয়ে ফেলবে। এবং পোষ্টের মধ্যে যত সম্ভব টাইটেলের কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন এটি এসইও'র ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ব্লগ এসইও(SEO) করা-
এসইও(SEO) এর পূর্ণরুপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার ব্লগটিকে উপস্থাপন করা বা তুলে ধরা যার ফলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগ এর পোস্টগুলো ইন্ডেক্স করবে।এবং সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহারকারীদের নিকট আপনার ব্লগটিকে তুলে ধরবে। সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ব্লকে অধিকাংশ ভিজিটর আসে তাই এসইও(SEO) র ক্ষেত্রে বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং অবশ্যই যত্নবান হতে হবে। কারণ আপনি আপনার ব্লগকে জনপ্রিয় করে তুলবেন এই সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে।
আপনার ব্লগটিকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করুন যেমন গুগল সার্চ ইঞ্জিন, বিং, ইয়নডেক্স এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন। এবং আপনার ব্লগটিকে ভালো মানের কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।কারণ কি ওয়ার্ড এর মাধ্যমেই মানুষ সার্চ করে আপনার ব্লগটি খুঁজে পাবে। কিওয়ার্ড নির্বাচনের জন্য অনেক টুল রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কিওযার্ডের এর সার্চ ভলিউম। কম্পিটিশন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। কীওয়ার্ড নির্বাচন এবং সার্চ ভলিউম ইত্যাদি জানতে আপনি গুগোল কীওয়ার্ড প্লানার (google keyword planner) ব্যবহার করতে পারেন।
এসইও(SEO) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি এবং এর বিস্তারিত।
এবং সাইটের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যাকলিংক তৈরী করতে হবে। ব্যাকলিংক করার অর্থ হচ্ছে আপনার সাইটের লিংক অন্যান্য সাইটে শেয়ার করতে হবে। এজন্য ব্লগের কমেন্ট, গেস্ট ব্লগিং, ফোরাম, প্রশ্ন-উত্তর সাইটে কাজ করতে পারেন। আপনি কমেন্টের মাধ্যমে কোন পোস্টে আপনার ব্লগের লিংক শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন পোস্ট করার মাধ্যমে আপনার ব্লগের লিংক শেয়ার করতে পারেন। আপনি ব্লগে পোস্ট করার মাধ্যমে পোস্টের মাঝে আপনার ব্লগের লিংক ক্রেডিট হিসেবে দিয়ে দিতে পারেন। এর ফলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার ব্লগের ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ব্লগ টি দ্রুত র্যাংক করবে। তবে ব্যাকলিংক তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক হতে হবে। যেসব ওয়েবসাইট ইতিমধ্যে গুগলে র্যাংক করছে সেই সব ওয়েবসাইটে আপনি ব্যাকলিংক তৈরি করবেন। যে সকল ছেড়ে এখন পর্যন্ত র্যাংক করে নেই সে সকল সাইটে আপনি ব্যাকলিংক তৈরী করলে তেমন কোন ভাল ফলাফল পাবেন না।
এছাড়াও এসইও'র ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার ব্লগে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিজিটর আসতে পারে।
এডসেন্স আবেদনের খুঁটিনাটি-
একটি ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব।কিন্তু ব্লগ থেকে আয় এর সবচাইতে বড় এবং সহজ মাধ্যম হচ্ছে গুগল এডসেন্স। কারন গুগল এডসেন্স কে বলা হয় সোনার হরিণ। তাহলে ব্লগের জন্য গুগল এডসেন্স এর গুরুত্ব কতটা আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। গুগল এডসেন্স ছাড়াও আরো অনেক এড নেটওয়ার্ক আছে যেগুলো আপনি আপনার ব্লগে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সেগুলো আপনাকে গুগল এডসেন্স এর মত এত পরিমান আয় এনে দিতে পারবে না। আপনি যদি গুগল এডসেন্স এর বিকল্প হিসেবে খোঁজেন কোন বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক তাহলে আপনার ব্লগিং এর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না তাই আপনার প্রথম পছন্দ হতে হবে গুগল অ্যাডসেন্স।
অনেকেই মনে করে গুগল এডসেন্স পাওয়া অনেক কঠিন বিষয় কিন্তু তা নয়। বর্তমানে গুগল এডসেন্স খুব সহজেই অ্যাপ লক করা যায়। কারন গুগল তার প্রাইভেসি পলিসি অনেক সহজ করে দিয়েছে আগের চাইতে। তবে গুগল এডসেন্স প্লিজ আপনার হাজার হাজার টাকা ইনকাম হবে তা কিন্তু নয়। আপনাকে অবশ্যই আপনার পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে এবং ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ করতে হবে। তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি ভাল মানের একটা আর্নিং পাবেন আপনার ব্লগ থেকে।
আপনার ব্লগের উল্লেখিত কাজগুলো অবশ্যই ইংলিশে করবেন যেমন প্রাইভেসি পলিসি, অ্যাবাউট আস, contact-us ইত্যাদি পেজগুলো। এবং অবশ্যই সাইটম্যাপ পেস্ট্রি ও রাখবেন। এবং আপনার কনটেন্ট গুলো অবশ্যই কপি পেস্ট মুক্ত করবেন। কোন সাইট থেকে কপি করে আপনার ব্লগে পাবলিশ করবেন না। কারণ কপি পেস্ট থেকে আপনার ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার আসবে না।কারণ আপনি যদি অন্য সাইট থেকে কপি করে পোস্ট আপনার সাইটে পাবলিশ করে তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিনে স্ট্রাইক খাবেন এবং গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করতে পারবেন না।
আপনার ব্লগে কমপক্ষে 20 টি পোস্ট হওয়ার পরে আপনি গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করুন। আপনার ব্লগের আর্নিং ট্যাব থেকে আপনি সরাসরি এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং আপনি আবেদন করলে পরে তারা এক সপ্তাহের ভিতরেই আপনাকে আপনার এডসেন্স এপ্রুভ হয়েছে কিনা তা মেইলের জানিয়ে দেবে। যদি প্রথমবারে আপনার এডসেন্স এপ্রুভ না হয় তাহলে হতাশ হবেন না। পরবর্তীতে আবার প্রচেষ্টা করুন তাহলে অবশ্যই হবে। আমার স্মৃতিতে চারবার এপ্লাই করার পরে তারপরে অ্যাডসেন্সে এপ্রুভ হয়েছে। তাই আপনারাও হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যান অবশ্যই সফল হবেন। আমি সামনে এডসেন্স সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পোস্ট আপনাদের জন্য তুলে ধরবো।
অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ হওয়ার পরে কিভাবে বিজ্ঞাপনগুলি সেট করবেন-
অ্যাডসেন্সে ফর পরে বিজ্ঞাপনগুলো আগের মত আর কোড সেট করা লাগেনা। বর্তমানে গুগলের অটো এড ব্যবস্থা রয়েছে আপনার সাইটে যদি এডসেন্স এপ্রুভ হয় তাহলে আপনার সাইটে অটোমেটিক তারা বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে।
কিন্তু সমস্যা হল এই অটো এড এ আর্নিং তেমন হয় না। কারন তারা খুব কম পরিমাণে এবং যে সকল স্থানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে সেগুলো থেকে অ্যাড ক্লিক তেমন হয় না।
তাই আপনি অটো এড এর পাশাপাশি কাস্টম এডস ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনি আপনার ব্লগারের কন্ট্রোল প্যানেল থেকে লে-আউট অপশনটিতে যান। এবং যে সকল স্থানে আপনি বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাতে চান সে জায়গায় একটি নতুন গ্যাজেট যুক্ত করেন। গেজেট যুক্ত করলে প্রথমেই আপনি দেখতে পারবেন এডসেন্স নামক একটি অপশন এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত বিজ্ঞাপন সিলেক্ট করে খুব সহজেই আপনি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাতে পারবেন।
এছাড়াও দেশি পরিমাণ ইম্প্রেশন এবং কি পাওয়ার জন্য পোস্ট এর ভিতরেও বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করান। এর জন্য আপনার এডসেন্স একাউন্ট এর ভিতর গিয়ে নতুন একটি বিজ্ঞাপন কোড তৈরি করুন। এবং সেটি আপনার ব্লগ পোস্টের এডিট অপশনে গিয়ে এইচটিএমএল অপশন সিলেক্ট করুন। এবং যে সকল স্থানে বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শন করাতে চান সেখানে সেট করে দিন ব্যাস কাজ শেষ।
এবং আপনার ব্লগে নিয়মিত পোস্ট করুন এবং গ্রাহক বৃদ্ধির জন্য গেস্ট ব্লগিং ইত্যাদি শুরু করে দিন। তাহলে দেখবেন একটা সময় খুব ভালো পরিমাণ আয় নিয়ে আসছে আপনার ব্লগ থেকে। হয়তো প্রথমদিকে রানিং টা খুব কম হবে এবং পেমেন্ট পেতে একটু দেরী লাগবে। কারণ শুরুতেই কেউ সফল হতে পারেনা। তবে সফল হতে চাইলে কখনোই হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না।