অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
এফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing) এই নামটি শুনে নাই এরকম লোকের সংখ্যা খুবই কম। যারা অনলাইন থেকে ইনকাম এর আশা করেন। কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে বর্তমান সময়ের সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি আয় এর উৎস। তবে আমাদের মাঝে অনেকেই আছে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানেন না। একারনে এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা প্রদান করব। এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং গাইডলাইন মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing) সম্পর্কে আপনাদের সঠিক এবং যুগোপযোগি ধারণা প্রদান করব।
আমাদের আজকের পোস্টের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing) কি অর্থাৎ আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে আমরা কি বুঝি! এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো, এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি কি দরকার হবে এ সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ে অনলাইন শপিং সাইট (Shopping Site) গুলো অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবং প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পণ্য কেনা-বেচা হয়ে থাকে অনলাইনে। পণ্য কেনা বেচা করার অনেক সাইট রয়েছে এসকল সাইটের মধ্যে আমাজন, ইবে, ফ্লিপকার্টে, আলি এক্সপ্রেস অন্যতম। শুধু পণ্য নয় বিভিন্ন ধরনের সেবা ও বিক্রি করা হয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গুলোতে। তবে এ সকল পণ্য বা সেবা বিক্রির কোন একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান নেই বরং হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
তবে আপনারা সকলেই সকল পণ্য বা সেবা বিক্রয়কারী সাইট গুলো সম্পর্কে জানেন?
না জানেন না। ধরুণ আপনি অনলাইনে কোন পন্য কিনবেন যেমন একটি মোবাইল ফোন। আপনি অনলাইনে অর্ডার করবেন এবং তারা আপনার ঠিকানায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্যটি পৌঁছে দেবে। এবং ডিজিটাল পেমেন্ট মেথড এর মাধ্যমে আপনি তার অর্থ পরিশোধ করবেন। এবং রয়েছে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা।
⏩ফিসিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
তবে এক্ষেত্রে আপনার কোন শপিং সাইট থেকে পণ্যটি কিনলে বেশি সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন। বা কোন পণ্য সম্পর্কে ধারণা অর্জন করার জন্য যেমন কোয়ালিটি সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি জানার জন্য আপনি খোঁজা খুঁজি করতে পারেন।
কোন পন্যটি কিনবেন সেটি বাছাই করার জন্য গুগোল এ যখনই সার্চ করবেন গুগল আপনাকে কতগুলো আর্টিকেল সাজেস্ট করবে।এবং যে-সব ওয়েব সাইটে আপনার কাঙ্খিত পন্যটি নিয়ে একটি আর্টিকেল আছে সেগুলোর ঠিকানা পেয়ে গেলেন। যেখানে আপনার কাঙ্খিত পণ্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
কিন্তু আপনি যে সাইট থেকে পণ্যটি সম্পর্কে জানলে সেটি কোন অনলাইন শপিং সাইট নয়। তবে পণ্যটির গুণগত মান এবং সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আলোচনা করার পাশাপাশি আপনাকে সেই সাইট একটি লিংক দিল। যেখান থেকে আপনি খুব সহজে এবং সুরক্ষিত ভাবে পণ্যটি ক্রয় করতে পারবেন। আপনার সেই সাইটটি পছন্দ হলো।এবং সেখান থেকে আপনি পণ্যটি অর্ডার করলেন। এবং পণ্যটির মূল্য পরিশোধ করলেন।
এখন ভাবুন, আপনি পণ্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেন একটি সাইটে। এবং পন্যটি কিনলেন অন্য একটি সাইট থেকে। তবে আপনি পণ্যটি কেনার জন্য উৎসাহ পেলেন যে সাইটে বা পন্যটির রিভিউ দেখলেন সেই সাইটের মাধ্যমে। তারা নিজেরা কোন পন্য বিক্রি করেনা। তাহলে ভাবুন তো কেন তারা পন্য টি সম্পর্কে এত সুন্দর এবং বিস্তারিত রিভিউ লিখেছে! তাদের লাভ কি হলো তারা তো আর পন্যটি বিক্রি করলো না। তাহলে ঘরের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর মত কেন আপনাকে পণ্যটি সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানাবে? তাদের তো আর আপনি কোন টাকা দেন নাই!
Affiliate Marketing |
আমাদের আজকের পোস্টের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing) কি অর্থাৎ আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে আমরা কি বুঝি! এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো, এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি কি দরকার হবে এ সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ে অনলাইন শপিং সাইট (Shopping Site) গুলো অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবং প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পণ্য কেনা-বেচা হয়ে থাকে অনলাইনে। পণ্য কেনা বেচা করার অনেক সাইট রয়েছে এসকল সাইটের মধ্যে আমাজন, ইবে, ফ্লিপকার্টে, আলি এক্সপ্রেস অন্যতম। শুধু পণ্য নয় বিভিন্ন ধরনের সেবা ও বিক্রি করা হয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গুলোতে। তবে এ সকল পণ্য বা সেবা বিক্রির কোন একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান নেই বরং হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
তবে আপনারা সকলেই সকল পণ্য বা সেবা বিক্রয়কারী সাইট গুলো সম্পর্কে জানেন?
না জানেন না। ধরুণ আপনি অনলাইনে কোন পন্য কিনবেন যেমন একটি মোবাইল ফোন। আপনি অনলাইনে অর্ডার করবেন এবং তারা আপনার ঠিকানায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্যটি পৌঁছে দেবে। এবং ডিজিটাল পেমেন্ট মেথড এর মাধ্যমে আপনি তার অর্থ পরিশোধ করবেন। এবং রয়েছে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা।
⏩ফিসিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
তবে এক্ষেত্রে আপনার কোন শপিং সাইট থেকে পণ্যটি কিনলে বেশি সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন। বা কোন পণ্য সম্পর্কে ধারণা অর্জন করার জন্য যেমন কোয়ালিটি সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি জানার জন্য আপনি খোঁজা খুঁজি করতে পারেন।
কোন পন্যটি কিনবেন সেটি বাছাই করার জন্য গুগোল এ যখনই সার্চ করবেন গুগল আপনাকে কতগুলো আর্টিকেল সাজেস্ট করবে।এবং যে-সব ওয়েব সাইটে আপনার কাঙ্খিত পন্যটি নিয়ে একটি আর্টিকেল আছে সেগুলোর ঠিকানা পেয়ে গেলেন। যেখানে আপনার কাঙ্খিত পণ্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
কিন্তু আপনি যে সাইট থেকে পণ্যটি সম্পর্কে জানলে সেটি কোন অনলাইন শপিং সাইট নয়। তবে পণ্যটির গুণগত মান এবং সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আলোচনা করার পাশাপাশি আপনাকে সেই সাইট একটি লিংক দিল। যেখান থেকে আপনি খুব সহজে এবং সুরক্ষিত ভাবে পণ্যটি ক্রয় করতে পারবেন। আপনার সেই সাইটটি পছন্দ হলো।এবং সেখান থেকে আপনি পণ্যটি অর্ডার করলেন। এবং পণ্যটির মূল্য পরিশোধ করলেন।
এখন ভাবুন, আপনি পণ্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেন একটি সাইটে। এবং পন্যটি কিনলেন অন্য একটি সাইট থেকে। তবে আপনি পণ্যটি কেনার জন্য উৎসাহ পেলেন যে সাইটে বা পন্যটির রিভিউ দেখলেন সেই সাইটের মাধ্যমে। তারা নিজেরা কোন পন্য বিক্রি করেনা। তাহলে ভাবুন তো কেন তারা পন্য টি সম্পর্কে এত সুন্দর এবং বিস্তারিত রিভিউ লিখেছে! তাদের লাভ কি হলো তারা তো আর পন্যটি বিক্রি করলো না। তাহলে ঘরের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর মত কেন আপনাকে পণ্যটি সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানাবে? তাদের তো আর আপনি কোন টাকা দেন নাই!
[মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করুন সহজ সার্ভে করার মাধ্যমে। এবং কোন প্রকার খরচ ছাড়াই এবং পেমেন্ট নিন বিকাশ একাউন্টে]
মূলত এটিই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। যেখানে একটি পণ্য বা সেবা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের সাথে এক হয়ে একাধিক বিপননকারী কাজ করে। অর্থাৎ বিপণনকারী তাদের বিপণন দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এবং এই কাজের জন্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান তাদের একটি লভ্যাংশ প্রদান করে থাকে। আর এটি হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের আয়ের প্রধান উৎস।
অর্থাৎ আপনি যখন ওয়ের সাইটের আর্টিকেলটি থেকে পণ্যটির বিভিন্ন গুণগতমান এবং বিস্তারিত জানতে পারার ফলে পণ্যটি ক্রয় এর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের দেওয়া লিঙ্ক থেকে পণ্যটি ক্রয় করলেন এর ফলে আপনার ক্রয় কৃত পণ্যের থেকে আর্টিকেলটির লেখক অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটার একটি কমিশন পেয়েছে।আর এই কমিশনের জন্যই তার এই আর্টিকেলটি লেখা।
অর্থাৎ এর থেকে আপনি খুব সহজ ভাবেই বুঝে গেলেন এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিপণনকারী হিসেবে ক্রেতার নিকট উপস্থাপন করা যার ফলে ক্রেতা উক্ত পন্যটি ক্রয় করতে আগ্রহী হয়। আপনি যে সাইটে এফিলিয়েট করবেন সেই সাইটের পণ্যকে ক্রেতার নিকট তুলে ধরাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটার এর প্রধান কাজ। এর জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেট প্লেস হলো আমাজন (Amazon) যাদের মার্কেটার রয়েছে বিশ্বব্যাপি। আর এটিকেই আমরা "এফিলিয়েট মার্কেটিং" বলে থাকি।
কিভাবে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ অংশগ্রহণ করতে হয়?
এফিলিয়েট মার্কেটিং এ আয়ের পরিমাণ কেমন?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার মার্কেটিং দক্ষতা এবং আপনি কি পরিমান পণ্য বিক্রয় করতে পেরেছেন তার উপর। এছাড়াও আপনার বিক্রিত পণ্যের কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাহলে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং আয় এর পরিমাণ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে(মোট বিক্রয়+কত শতাংশ কমিশন+পন্য কতটা মূল্যবান=আপনার আয়)এই বিয়টি লক্ষ করতে পারি!
তবে অনেক এসএমএস মার্কেটার আছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে 1-2 লাখ টাকার উপরে আয় করে। সে ক্ষেত্রে কয়েক হাজার টাকা ইনকাম করা খুব ইজি ব্যাপার। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।কারণ দক্ষতা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়। তবে অধিকাংশ এফিলিয়েট মার্কেটিং বেশ ভালো পরিমাণ আয় করে থাকে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
মনে করুন একটি পন্যের মূল্য ১০০০ টাকা।বিক্রয় কমিশন ৫% এবং আপনার বিক্রির পারিমান ১১০ ইউনিট।
তাহলে আপনার আয়-
১০০০ টাকার ৫%=৫০ টাকা।
অর্থাৎ প্রতি ইউনিটে লাভ ৫০ টাকা।
অতএব,১২০ ইউনিটে আয় =১২০*৫০=৬০০০ টাকা।
কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন?
আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানলাম।এবার জানব কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনার প্রথমেই প্রয়োজন পড়বে একটি ব্লগ বা ওয়েব সাইট,একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজ ইত্যাদির।
এবং ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকতে হবে।কারণ ভিজিটর না থাকলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে পারবেন না। এবং ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভালো মানের কনটেন্ট লিখতে হবে কারণ আপনার কনটেন্ট এর মাধ্যমে ভিজিটর আপনার লিংকের মাধ্যমে পণ্যটি ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আর্টিকেলগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই আপনার প্রোডাক্ট প্রমোশন এর ভিডিও গুলো অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে। ভিডিও ডেসক্রিপশন বক্সে আপনার এফিলিয়েট লিঙ্ক প্রদানের মাধ্যমে আপনি আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলো প্রমোট করতে পারবেন। যখন আপনার ভিডিও দেখে কারো ভালো লাগবে তখন ডেসক্রিপশন বক্স থেকে আপনার এফিলিয়েট লিংক নিয়ে তারা প্রোডাক্ট অর্ডার করবেন।
⏩ব্রেভ ব্রাউজারে অ্যাফিলিয়েট করে আয় করুন।
আপনি ব্লগ বা ওয়েব সাইটের আর্টিকেল এর শেষের দিকে এবং ভিডিও ডেসক্রিপশন বক্সে আপনার প্রোডাক্টের লিংক প্রদান করুন। এর ফলে আপনার আর্টিকেলটি যারা পড়বে এবং ভিডিওগুলো যারা দেখবে তারা আপনার সেখান থেকে পণ্য ক্রয়ের জন্য আগ্রহী হবেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অর্থাৎ ফেসবুক পেজের ক্ষেত্রেও বিষয়টি আপনার ফেসবুক পেজটি যথেষ্ট অ্যাক্টিভ হতে হবে এবং ভিজিটর গুলো হতে হবে যারা অনলাইন শপিংয়ের জন্য আগ্রহী। এবং আপনার ফেসবুক পেইজে যথেষ্ট পরিমানে লাইক থাকতে হবে। কারণ এর ফলে আপনার প্রোডাক্ট রিভিউ গুলো অনেক লোকের কাছে পৌঁছে যাবে। এবং আপনার এফিলিয়েট করাটা সফল হবে তখনই যখন আপনার আর্টিকেলগুলো পাঠকের ভালো লাগবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কোন প্রোডাক্ট গুলো বেছে নিবেন?
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।কারণ আপনি যদি জনপ্রিয় পণ্য বেছে নিতে না পারেন তাহলে আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন না।
বর্তমানে অনলাইন শপিং সাইট গুলো থেকে বেশির ভাগ মোবাইল ফোন, পোশাক, কসমেটিক্স, ইলেকট্রনিক্স এর বিভিন্ন পণ্য ইত্যাদি সর্বাধিক ক্রয় করা হয়ে থাকে। তাই আপনি এই সকল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন।
এর বাহিরেও অনেকগুলো বিষয় আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যেমন প্রোডাক্ট এর মূল্য,চাহিদা, প্রোডাক্ট বিক্রির ক্ষেত্রে কমিশন কিরূপ ইত্যাদি। কারণ প্রচলিত প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রেও যদি প্রোডাক্ট এর মূল্য কম হয় এবং কমিশন কম হয় সে ক্ষেত্রে আপনি প্রচুর সেল থাকা সত্তে যথেষ্ট পরিমানে আয় করতে পারবেন না।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো ঠিক করা অবশ্যই আপনার প্রথম কাজ!
টার্গেট কাস্টমার খুঁজে বের করা:
আপনি যে সাইটের হয়ে এফেলিয়েট মার্কেটার হিসেবে জয়েন করবেন সেটি কোন দেশের সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়।এবং আপনি কোন ধরনের পণ্য নিয়ে মার্কেটিং শুরু করবেন।এবং সে সকল পণ্য কোন দেশে বেশি প্রচলিত সে বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই খোজ করতে হবে। কারণ আপনি টার্গেট কাস্টমার খুঁজে বের করতে না পারলে কোনোভাবেই সফল হতে পারবেন না।
টার্গেট কান্ট্রি সিলেক্ট করা:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কন্ট্রি টার্গেট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ আপনি মনে করুন, আপনি বাংলাদেশকে সিলেক্ট করেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য। সে ক্ষেত্রে আপনি কোন ভাবে লাভবান হতে পারবেন না কারণ বাংলাদেশের মানুষ অনলাইন থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ততটা আগ্রহী নয়। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কারণ যেমন পেমেন্ট গেটওয় ডেলিভারি ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের অনলাইন শপিং সাইট গুলো জনপ্রিয় হলেও অ্যাফিলিয়েট করার ক্ষেত্রে এবং সফল হওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। তাই আপনাকে অবশ্যই আমেরিকার মতো দেশকে বেছে নিতে হবে এফিলিয়েট করার জন্য কারণ কারণ সেখানে মানুষ অনলাইন শপিং এ অভ্যস্ত। আর এ কারণে খুব সহজেই আপনি আপনার প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন।
এফিলিয়েট ওয়েবসাইট তৈরি করা -
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। কারন আপনি যেসকল পন্য বিক্রি করবেন তা সবার কাছে তুলে ধরান জন্য একমাত্র উপায় হলো ওয়েব সাইট।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(seo) শিখতে হবে:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ আপনার প্রোডাক্ট গুলোর রিভিউ সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংক করতে হলে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও সম্পর্কে জানতে হবে।
কোয়ালিটি কন্টেন্ট রাইটিং:
আপনার যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সাইট থাকে সে ক্ষেত্রে কোয়ালিটি কন্টেন্ট তন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। কারণ আপনার কনটেন্ট কোয়ালিটি সম্পন্ন হলে একদিকে আপনার কনটেন্টগুলো সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংক করবে এবং পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
⏩ ICO এয়ারড্রপ থেকে আয় করবেন যেভাবে
কারো কনটেন্ট কপি পেস্ট থেকে বিরত থাকুন:
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গিয়ে কারো কন্টেন্ট কপি-পেস্ট করে আপনার সাইট তৈরি করেন তাহলে সেটি হবে আপনার চরম ভূল এবং আপনার সমস্ত কষ্ট বৃথা হয়ে যাবে। এ কারণে কনটেন্ট অবশ্যই ইউনিক এবং নিজের লেখা হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট গুলো প্রমোট করুন:
অবশ্যই আপনার এফিলিয়েট লিংক গুলো সোশ্যাল মিডিয়ার প্রমোট করতে হবে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমান সময়ের সর্বাধিক মানুষ একটিভ থাকে। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সফল সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হলো ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন, মিডিয়াম পিন্টারেস্ট ইত্যাদি। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হচ্ছে ফেসবুক এবং ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্টগুলো প্রমোট করতে পারবেন। এর জন্য নিজস্ব পেজ এর বাইরে ও আপনি বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন। অনেক মার্কেটার রয়েছে যারা শুধুমাত্র সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কাজ করে থাকেন।
যে সাইটের হয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন সে সাইটের রেটিং সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিন:
আপনি যে সাইটের এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে জয়েন করবেন সে সাইটের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই খোঁজ করতে হবে। অর্থাৎ সাইটটি কতটা জনপ্রিয় এবং কতটা বিশ্বস্ত সে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
সর্বোপরি আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে:
অনলাইনে ইনকামের ক্ষেত্রে ধৈর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনি যদি ধৈর্যশীল না হন তাহলে কোন ভাবে সফল হতে পারবেন না। তাই প্রথম দিক দিয়ে ব্যর্থতা থাকলে অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং কাজের মান উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে অবশ্যই আপনি সফল হতে পারবেন।
তাহলে এই আর্টিকেলটি হতে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সামান্য হলেও ধারনা অর্জন করতে পেরেছেন। এবং জানতে পারলেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি। কোন কোন সাইটের থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়। এবং অ্যাফিলিয়েট করার ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় মাথায় রাখতে হয় সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। আমাদের পরবর্তী পোষ্ট গুলোতে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বিষয়বস্তু তুলে ধরা হবে।
যে কেন প্রশ্নের জন্য বা মতামত প্রদানের জন্য মেইল করুন-qustion@gganbitan.com
মূলত এটিই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। যেখানে একটি পণ্য বা সেবা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের সাথে এক হয়ে একাধিক বিপননকারী কাজ করে। অর্থাৎ বিপণনকারী তাদের বিপণন দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এবং এই কাজের জন্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান তাদের একটি লভ্যাংশ প্রদান করে থাকে। আর এটি হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের আয়ের প্রধান উৎস।
অর্থাৎ আপনি যখন ওয়ের সাইটের আর্টিকেলটি থেকে পণ্যটির বিভিন্ন গুণগতমান এবং বিস্তারিত জানতে পারার ফলে পণ্যটি ক্রয় এর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের দেওয়া লিঙ্ক থেকে পণ্যটি ক্রয় করলেন এর ফলে আপনার ক্রয় কৃত পণ্যের থেকে আর্টিকেলটির লেখক অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটার একটি কমিশন পেয়েছে।আর এই কমিশনের জন্যই তার এই আর্টিকেলটি লেখা।
অর্থাৎ এর থেকে আপনি খুব সহজ ভাবেই বুঝে গেলেন এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিপণনকারী হিসেবে ক্রেতার নিকট উপস্থাপন করা যার ফলে ক্রেতা উক্ত পন্যটি ক্রয় করতে আগ্রহী হয়। আপনি যে সাইটে এফিলিয়েট করবেন সেই সাইটের পণ্যকে ক্রেতার নিকট তুলে ধরাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটার এর প্রধান কাজ। এর জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেট প্লেস হলো আমাজন (Amazon) যাদের মার্কেটার রয়েছে বিশ্বব্যাপি। আর এটিকেই আমরা "এফিলিয়েট মার্কেটিং" বলে থাকি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টিপস |
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেক সাইট রয়েছে এর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম (Amazon Affiliate Program)। আমাজন এফিলিয়েট সর্বাধিক জনপ্রিয় হলেও আরো বিভিন্ন সাইট রয়েছে এফিলিয়েট করার। যেমন evanto ইত্যাদি।
তবে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, আলি এক্সপ্রেস-এ প্রচুর পরিমাণে পণ্য রয়েছে। এছাড়াও তারা সর্বাধিক জনপ্রিয় শপিং সাইট সারা পৃথিবীর ভিতরে। এবং অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর ক্ষেত্রেও এই সকল শপিং সাইট জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। অধিকাংশ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আমাজন নিয়েই কাজ করে। এছাড়াও আপনি আরো বিভিন্ন বিষয়ের উপর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন যেমন ডোমেইন হোস্টিং এর জন্য godaddy affiliate program এ অংশগ্রহণ করতে পারেন। অনলাইনে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল বিক্রির জন্য অ্যাফিলিয়েট ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনি এই সমস্ত সাইটে এফিলিয়েট করার জন্য প্রথমে এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে জয়েন করবেন। এর ফলে আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর জন্য আপনার এফিলিয়েট লিংক তৈরী করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে নিবন্ধন করার পরে আপনি এফিলিয়েট লিংক তৈরি করার সুযোগ পাবেন। যার ফলে ঐ লিংক হতে কেউ কোন পন্য ক্রয় করলে তা কোম্পানি কতৃপক্ষ ট্রাকিং করতে পারে। এবং স্বয়ংক্রিয় ভাবেই উক্ত পন্যের কমিশন আপনার একাউন্টে জমা হতে থাকবে এবং মাস শেষে তারা আপনার একাউন্টে পেমেন্ট করে দিবে।
অর্থাৎ যখন আপনার লিংক ক্রেতার নিকট আপনি উপস্থাপন করবেন তখন আপনার প্রদত্ত লিংক থেকে অনেকেই পণ্য কিনবে। অর্থাৎ আপনি যখন এটাকে আপনার এফিলিয়েট লিংক টি দিবেন তখন ওই ক্রেতা আপনার এফিলিয়েট লিঙ্ক এ ক্লিক করার মাধ্যমে মূল শপিং সাইট এ প্রবেশ করবে এবং পণ্য ক্রয় করবে।
এখানে যেহেতু ক্রেতা আপনার প্রদত্ত লিংকটি হতে শপিং সাইটটিতে প্রবেশ করেছে সেক্ষেত্রে শপিং সাইটেও এফিলিয়েট সিস্টেমের মাধ্যমে বুঝতে পারবে যে আপনার লিংকের মাধ্যমে এই বিক্রয় টি হয়েছে। এবং তারা অটোমেটিক আপনার এফিলিয়েট একাউন্টে কমিশন জমা করে দিবে। এটি আমরা আগে জানলেও বিষয়টি একটু ভিন্ন,
আপনি যে পন্যের লিংকটি ক্রেতা কে দিয়েছেন সে যদি ওই লিঙ্কের মাধ্যমে সেই নির্দিষ্ট পণ্যটি না কিনে অন্য কোনো পণ্য ক্রয় করে সেক্ষেত্রেও আপনি কমিশন পাবেন। তবে সেটা নির্ভর করে সম্পূর্ণই আপনি কোন মার্কেট প্লেসে কাজ করছেন এবং তাদের শর্তের উপর।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার মার্কেটিং দক্ষতা এবং আপনি কি পরিমান পণ্য বিক্রয় করতে পেরেছেন তার উপর। এছাড়াও আপনার বিক্রিত পণ্যের কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাহলে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং আয় এর পরিমাণ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে(মোট বিক্রয়+কত শতাংশ কমিশন+পন্য কতটা মূল্যবান=আপনার আয়)এই বিয়টি লক্ষ করতে পারি!
তবে অনেক এসএমএস মার্কেটার আছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে 1-2 লাখ টাকার উপরে আয় করে। সে ক্ষেত্রে কয়েক হাজার টাকা ইনকাম করা খুব ইজি ব্যাপার। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।কারণ দক্ষতা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়। তবে অধিকাংশ এফিলিয়েট মার্কেটিং বেশ ভালো পরিমাণ আয় করে থাকে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
মনে করুন একটি পন্যের মূল্য ১০০০ টাকা।বিক্রয় কমিশন ৫% এবং আপনার বিক্রির পারিমান ১১০ ইউনিট।
তাহলে আপনার আয়-
১০০০ টাকার ৫%=৫০ টাকা।
অর্থাৎ প্রতি ইউনিটে লাভ ৫০ টাকা।
অতএব,১২০ ইউনিটে আয় =১২০*৫০=৬০০০ টাকা।
কিভাবে এফিলিয়েট করবেন |
আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানলাম।এবার জানব কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনার প্রথমেই প্রয়োজন পড়বে একটি ব্লগ বা ওয়েব সাইট,একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজ ইত্যাদির।
এবং ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকতে হবে।কারণ ভিজিটর না থাকলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে পারবেন না। এবং ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভালো মানের কনটেন্ট লিখতে হবে কারণ আপনার কনটেন্ট এর মাধ্যমে ভিজিটর আপনার লিংকের মাধ্যমে পণ্যটি ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আর্টিকেলগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই আপনার প্রোডাক্ট প্রমোশন এর ভিডিও গুলো অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে। ভিডিও ডেসক্রিপশন বক্সে আপনার এফিলিয়েট লিঙ্ক প্রদানের মাধ্যমে আপনি আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলো প্রমোট করতে পারবেন। যখন আপনার ভিডিও দেখে কারো ভালো লাগবে তখন ডেসক্রিপশন বক্স থেকে আপনার এফিলিয়েট লিংক নিয়ে তারা প্রোডাক্ট অর্ডার করবেন।
⏩ব্রেভ ব্রাউজারে অ্যাফিলিয়েট করে আয় করুন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অর্থাৎ ফেসবুক পেজের ক্ষেত্রেও বিষয়টি আপনার ফেসবুক পেজটি যথেষ্ট অ্যাক্টিভ হতে হবে এবং ভিজিটর গুলো হতে হবে যারা অনলাইন শপিংয়ের জন্য আগ্রহী। এবং আপনার ফেসবুক পেইজে যথেষ্ট পরিমানে লাইক থাকতে হবে। কারণ এর ফলে আপনার প্রোডাক্ট রিভিউ গুলো অনেক লোকের কাছে পৌঁছে যাবে। এবং আপনার এফিলিয়েট করাটা সফল হবে তখনই যখন আপনার আর্টিকেলগুলো পাঠকের ভালো লাগবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কোন প্রোডাক্ট গুলো বেছে নিবেন?
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।কারণ আপনি যদি জনপ্রিয় পণ্য বেছে নিতে না পারেন তাহলে আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন না।
বর্তমানে অনলাইন শপিং সাইট গুলো থেকে বেশির ভাগ মোবাইল ফোন, পোশাক, কসমেটিক্স, ইলেকট্রনিক্স এর বিভিন্ন পণ্য ইত্যাদি সর্বাধিক ক্রয় করা হয়ে থাকে। তাই আপনি এই সকল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন।
এর বাহিরেও অনেকগুলো বিষয় আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যেমন প্রোডাক্ট এর মূল্য,চাহিদা, প্রোডাক্ট বিক্রির ক্ষেত্রে কমিশন কিরূপ ইত্যাদি। কারণ প্রচলিত প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রেও যদি প্রোডাক্ট এর মূল্য কম হয় এবং কমিশন কম হয় সে ক্ষেত্রে আপনি প্রচুর সেল থাকা সত্তে যথেষ্ট পরিমানে আয় করতে পারবেন না।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো ঠিক করা অবশ্যই আপনার প্রথম কাজ!
টার্গেট কাস্টমার খুঁজে বের করা:
আপনি যে সাইটের হয়ে এফেলিয়েট মার্কেটার হিসেবে জয়েন করবেন সেটি কোন দেশের সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়।এবং আপনি কোন ধরনের পণ্য নিয়ে মার্কেটিং শুরু করবেন।এবং সে সকল পণ্য কোন দেশে বেশি প্রচলিত সে বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই খোজ করতে হবে। কারণ আপনি টার্গেট কাস্টমার খুঁজে বের করতে না পারলে কোনোভাবেই সফল হতে পারবেন না।
টার্গেট কান্ট্রি সিলেক্ট করা:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কন্ট্রি টার্গেট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ আপনি মনে করুন, আপনি বাংলাদেশকে সিলেক্ট করেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য। সে ক্ষেত্রে আপনি কোন ভাবে লাভবান হতে পারবেন না কারণ বাংলাদেশের মানুষ অনলাইন থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ততটা আগ্রহী নয়। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কারণ যেমন পেমেন্ট গেটওয় ডেলিভারি ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের অনলাইন শপিং সাইট গুলো জনপ্রিয় হলেও অ্যাফিলিয়েট করার ক্ষেত্রে এবং সফল হওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। তাই আপনাকে অবশ্যই আমেরিকার মতো দেশকে বেছে নিতে হবে এফিলিয়েট করার জন্য কারণ কারণ সেখানে মানুষ অনলাইন শপিং এ অভ্যস্ত। আর এ কারণে খুব সহজেই আপনি আপনার প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন।
এফিলিয়েট ওয়েবসাইট তৈরি করা -
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। কারন আপনি যেসকল পন্য বিক্রি করবেন তা সবার কাছে তুলে ধরান জন্য একমাত্র উপায় হলো ওয়েব সাইট।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(seo) শিখতে হবে:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ আপনার প্রোডাক্ট গুলোর রিভিউ সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংক করতে হলে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও সম্পর্কে জানতে হবে।
কোয়ালিটি কন্টেন্ট রাইটিং:
আপনার যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সাইট থাকে সে ক্ষেত্রে কোয়ালিটি কন্টেন্ট তন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। কারণ আপনার কনটেন্ট কোয়ালিটি সম্পন্ন হলে একদিকে আপনার কনটেন্টগুলো সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংক করবে এবং পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
⏩ ICO এয়ারড্রপ থেকে আয় করবেন যেভাবে
কারো কনটেন্ট কপি পেস্ট থেকে বিরত থাকুন:
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গিয়ে কারো কন্টেন্ট কপি-পেস্ট করে আপনার সাইট তৈরি করেন তাহলে সেটি হবে আপনার চরম ভূল এবং আপনার সমস্ত কষ্ট বৃথা হয়ে যাবে। এ কারণে কনটেন্ট অবশ্যই ইউনিক এবং নিজের লেখা হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট গুলো প্রমোট করুন:
অবশ্যই আপনার এফিলিয়েট লিংক গুলো সোশ্যাল মিডিয়ার প্রমোট করতে হবে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমান সময়ের সর্বাধিক মানুষ একটিভ থাকে। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সফল সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হলো ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন, মিডিয়াম পিন্টারেস্ট ইত্যাদি। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হচ্ছে ফেসবুক এবং ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্টগুলো প্রমোট করতে পারবেন। এর জন্য নিজস্ব পেজ এর বাইরে ও আপনি বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন। অনেক মার্কেটার রয়েছে যারা শুধুমাত্র সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কাজ করে থাকেন।
যে সাইটের হয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন সে সাইটের রেটিং সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিন:
আপনি যে সাইটের এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে জয়েন করবেন সে সাইটের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই খোঁজ করতে হবে। অর্থাৎ সাইটটি কতটা জনপ্রিয় এবং কতটা বিশ্বস্ত সে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
সর্বোপরি আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে:
অনলাইনে ইনকামের ক্ষেত্রে ধৈর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনি যদি ধৈর্যশীল না হন তাহলে কোন ভাবে সফল হতে পারবেন না। তাই প্রথম দিক দিয়ে ব্যর্থতা থাকলে অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং কাজের মান উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে অবশ্যই আপনি সফল হতে পারবেন।
তাহলে এই আর্টিকেলটি হতে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সামান্য হলেও ধারনা অর্জন করতে পেরেছেন। এবং জানতে পারলেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি। কোন কোন সাইটের থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়। এবং অ্যাফিলিয়েট করার ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় মাথায় রাখতে হয় সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। আমাদের পরবর্তী পোষ্ট গুলোতে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বিষয়বস্তু তুলে ধরা হবে।
কিভাবে amazon affiliate program এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়?
এই পোস্টটি আমাজন এফিলিয়েট এর সম্পর্কেই ধারনা প্রদার করা হয়েছে।তবে এমাজনে এফিলিয়েট করে আয় করার জন্য আপনাকে প্রফেশনাল কাজ শিখতে হবে। এর জন্য আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং গ্রহন করতে পারেন।বা ইউটিউব এ অনেক ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন। সর্বোপরি আপনাকে ধৈর্য ধারন করে কাজ করতে হবে। তাহলে সফলতা পাবেনই।