পর্ন আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
বর্তমান সময়ে পর্ণ আসক্তি বেড়েই চলেছে। আমাদের যুব সমাজ ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে এই পর্ন আসক্তির কারণে। ধ্বংস হচ্ছে আমাদের সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা। মদ গাঁজা ইয়াবা ইত্যাদির মত পর্ণাসক্তি ও আপনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং আপনার সুস্থ এবং সুন্দর জীবন কে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দিতে পারে। আর এ কারণেই পর্ণ আসক্তি থেকে দূরে থাকার অত্যন্ত জরুরি।
Stop Porn Addiction
Stop Porn Addiction
আমাদের যুব সমাজ পর্নের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে তার প্রভাব পড়ছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার উপর। আর যারা পর্ণোর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে তাদের থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কষ্টসাধ্য। যারা পর্ণোর প্রতি আসক্ত তাদের জন্যই মূলত আজকে লিখতে বসা। তবে আপনি পর্ন করতে আসতাম না হলেও এই পোস্টটি পড়তে পারেন। অন্যের থেকে আপনি পর্নের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং এর থেকে বিরত থাকতে পারবেনা।
পর্ন ভিডিও তে যেগুলো দেখানো হয় সেগুলো সম্পূর্ণ অভিনয় যার মাধ্যমে তারা দর্শককে মুগ্ধ করার চেষ্টা করো। এবং এসকল পর্ন ভিডিও তে সঙ্গিনী প্রতিমা ভালোবাসা দেখানো হয় না বরং বর্বরতাকে তুলে ধরা হয়। এবং এগুলো খুব নোংরা ভাবে উপস্থাপন করা। এবং ঘুমাও তাহলে পড়তে অভ্যস্ত হয়ে জান এসব নোংরামি দেখতে দেখতে। আস্তে আস্তে স্বপ্নের মানে আপনার ভালো লাগতে শুরু করবে।
কিভাবে পর্ণ আসক্তি তৈরি হয় এবং পর্ন আশক্তির পিছনের কারন কি- পর্ণ আসক্তির প্রধান কারণ হচ্ছে সেক্স ভিডিও বা পর্ন ভিডিও র সহজলভ্যতা। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ যুবক-যুবতী স্মার্টফোন বা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন। এবং ইন্টারনেট সুবিধাও সহজলভ্য। এর সাথে সাথে পর্ন ভিডিওর প্রকোপ তো রয়েছে। এসব ভিডিও বর্তমান সময়ে খুবই সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে। খুব সহজেই মানুষ পর্ন ভিডিও গুলো পেয়ে থাকে। ওর জন্য তাকে অতিরিক্ত কোন ব্যায়ও করতে হয় না ফ্রিতেই এ গুলো দেখতে পারে। এবং একদিন দুই তুমি দেখবে দেখবে তারা একসময় এর প্রতি আসক্ত হয়ে যায় এবং অন্যান্য বিনোদনের মাধ্যম গুলোকে তারা সম্পূর্ণরূপে ভুলে যায়।
how to quit sex video addiction |
পর্ন আশক্তি আপনার যে সকল ক্ষতিসাধন করে থাকে- পর্ণ আসক্তি সর্বাধিক আপনাকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি আপনার শারীরিক ক্ষতিও করে থাকে। মূলত পরে সঙ্গীকে খুব আবেদনময়ী দেখানো হয়। যার অঙ্গভঙ্গি আপনাকে খুব সহজেই উত্তেজিত করে। কিন্তু বাস্তবের আপনি আপনার সন্তানকে কখনোই এভাবে পাবেন না। কারণ আপনার সঙ্গিনীর কোন পর্ন স্টার নয়। তাই সে আপনাকে কখনই এভাবে উত্তেজিত করতে পারবে না। যার ফলে আপনি কখনো তাকে নিয়ে সুখী হতে পারবেনা। আপনার ভিতর সব সময় অতৃপ্ততা কাজ করবে। এর ফলে আপনার বাস্তব জীবনে অশান্তির সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। অতিরিক্ত পরাশক্তি কর্মবিমুখ করে তোলে। যারা অতিরিক্ত পর্ণ আসক্ত তাদের কাজ করার ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যায় এবং তাদের ধ্যান-ধারণা সব সময় থাকে পর্ন এর প্রতি। তাই এটি ব্যাক্তির সাফল্য অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
পর্ণ আসক্তি থেকে মুক্তি পাবার জন্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন তা হল-
পর্ন হতে দুরে থাকুন |
২- মোবাইল ফোন কম্পিউটার ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে রুটিন তৈরি করুন। আপনি যে সকল সময় পর্ন দেখতেন সে সময়গুলোকে চিহ্নিত করুন।এবং সে সময়গুলোতে এমন কোন কাজ করুন যাতে করে পর্ন দেখার সুযোগ না পান। এভাবে নিয়মিত কয়েকদিন চলতে থাকলে আসক্তি ক্রমশই কমতে থাকবে।
৩- খেলাধুলা এবং বিনোদন মূলক কাজ করুন। কারণ পর্ণ দেখার আসক্তির তখনই বেশি জন্মে যখন বিনোদনের অভাব দেখা দেয়। এবং যখন একটি মানুষ বিনোদনের অভাব বোধ করে তখন বিনোদনের মাধ্যম খুঁজে নিতে ভুল করেই এই পর্নের প্রতি ডুবে যায়।
Self Control For Porn Addiction |
৪- একা থাকা পরিহার করুন। আপনি যদি অল্প বয়সী হন এবং অবিবাহিত হন তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় একা থাকার প্রবণতা। তাই একা থাকা পরিহার করুন।এবং এমন কারো সাথে থাকুন, জার থাকলে আপনার এগুলো করার মানসিকতা কাজ করোবেনা। এবং এবং এগুলো থেকে দুরে থাকতে পারবেন। যেমন আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার অবিবাহিত বড় ভাই থাকলে তার সাথ থাকতে পারে। অনুভব মেয়েদের ক্ষেত্রে বড় আপু বা এমন কারো সাথে।
৫- কোন পর্নাসক্ত বন্ধ থাকলে তার থেকে দূরে থাকুন। যাদের মোবাইল বা কম্পিউটার ডিভাইস সব সময় গুলো থাকে তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। কারন তারা আপনাকে আমার এই বিপথে চালনা করার চেষ্টা করতে পারে। যদি কেউ থেকে থাকে তাহলে তাদেরকে পরামর্শ দেন এসকল আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য।
৬- একা থাকা কালিন সময় বিভিন্ন ধরনের গল্প-উপন্যাস ইত্যাদি পড়তে পারেন। এতে করে আপনার সময়টা সুন্দর কেটে যাবে এবং জ্ঞান অর্জন হবে। এবং পর্নাশক্তি ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করবেন।
৭- মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে এগুলো সব ডিলিট করে দেন। এবং ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকলে সব এডাল্ট কন্টেন্ট সাইট ব্লক করে রাখতে পারেন রাউটার থেকে। এর ফলে কখনো আপনি চাইলে খুব সহজেই আর এগুলো পাবেন না। এবং তখন এগুলো দেখার ইচ্ছা নষ্ট হতে শুরু করবে।
আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন। লজ্জা নয় যুব সমাজের ধ্বংস রোধ করতে পারে আপনার একটি শেয়ার!মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ ধন্যবাদ!
বর্তমানে পর্ন সমাজের ভাইরাস তাই এর থেকে দুরে থাকতে হবে সবাইকে!https://blog.khaasfood.com