seo বাংলা টিউটোরিয়াল ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ভিজিটর এবার বৃদ্ধি পাবেই
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় উপায়।কিন্তু এর মাধ্যমে ভিজিটর আনার জন্য সঠিক নিয়মে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও search engine optimization (seo) ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে।এর ফলে কোন ওয়েবসাইট র্যাংক করানো খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট র্যাংক(Rank) করার আগ পর্যন্ত ভিজিটর পাওয়া খুবই দুরূহ একটি ব্যাপার।তবে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে সফলতা ১০০% নিশ্চিত। এর জন্য জানতে হবে এসইও কি এবং এসইও কিভাবে করতে হয়।মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো এক ধরনের টেকনিক যার মাধ্যমে সাইটের আর্টিকেল গুলোকে প্রথম পাতায় নিয়ে যাওয়া যায়।
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করেছি কতদিন হলো। কিন্তু কোন ভিজিটর পাচ্ছিনা।তাদের জন্য আজকের এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে এসইও শিখুন নিজেই।এসইও কিভাবে করতে হয় তা জানতে পারলে আপনি অবশ্যই সফলতা পাবেন। অনেক এসইও এক্সপার্টদের দিয়ে কাজ করান।এবং বাংলাদেশে অনেক এসইও সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছে। যারা টাকার বিনিময়ে যে কারো ওয়েব সাইট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার কাজ করে দেয়। তবে এর জন্য মোটা টাকাও গুনতে হয়।তাই আমাদের এসইও কিভাবে করে এবং এসইও কিভাবে করব তা জানতে হবে।কারন সবার পক্ষে এসইও এক্সপার্ট হায়ার করা সম্ভব নয়। তাই আজকের এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল।
আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের এড্রেস তো আর পৃথিবীর সকল লোকে জানে না।তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি সকলের কাছে পৌঁছবে কি করে? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এসইও(SEO) করতে হবে।
বর্তমানে অধিকাংশ লোক কোন ওয়েবসাইটের এড্রেস মনে রাখার চাইতে কোন বিষয়ে খুঁজতে হলে তারা সার্চ ইঞ্জিনে সেই বিষয়ে লিখে সার্চ করে।তাই আপনার সাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি করতে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন এর উপর গুরুত্ব আরোপ করুন। কারণ সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ব্লগকে র্যাংক করাতে পারলে অবশ্যই আপনার ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। এগুলো হলো অন পেইজ এসইও এবং অফ পেইজ এসইও। এই দুইটি কাজের মধ্যমে একটি সাইট পূর্নাঙ্গ ভাবে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজেশন করতে পারবেন।সাইটে অভ্যান্তরে যেসকল কাজ করা হয় তাকে অন-পেজ (On-Page) এসইও বলে।এবং ওয়েব সাইট র্যাংক করাতে ওয়েব সাইটের বাইরেও অনেক কাজ থাকে এসকল কাজকে অফ-পেজ (Off-Page) এসইও বলে। তবে এই দুইটি কাজের ভিতরে আবার অনেক কাজ রয়েছে।
তবে আমরা আজকের পোস্টে অফ পেইজ এসইও থেকে অন পেজ এসইও এর উপর বেশি গুরুত্ব দিব।তাই এই পোস্টে অনপেইজ এসইও এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলবো। যার ফলে আপনি আপনার সাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবেই।
ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধি করতে আমাদের যে সকল কাজ করতে হবে তা হল:
ব্লগে অবশ্যই ভাল মানের এসইও ফ্রেন্ডলি ( SEO Friendly) আর্টিকেল লিখতে হবে। ব্লগকে জনপ্রিয় করে তোলার প্রধান উপকরণ হচ্ছে তার আর্টিকেল।কারণ আর্টিকেল যত ভালো মানের হবে ব্লগটি তত দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এবং ভিজিটর সংখ্যা ততই দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলগুলো যথেষ্ট তথ্য সম্বলিত হতে হবে। কারণ আপনি যতই তথ্য সম্বলিত আর্টিকেল লিখবেন ততই সার্চ ইঞ্জিন আপনার আর্টিকেল গুরুত্ব দেবে। এবং সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আপনার আর্টিকেলটি নিয়ে আসার চেষ্টা করবে।এ কারণে অবশ্যই হাবিজাবি আর্টিকেল বাদ দিয়ে ভাল মানের আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন। এবং এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য কিওয়ার্ডকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ মনে করুন।
অবশ্যই নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করবেন।কারণ সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ভিজিটর পরবর্তীতে আপনার ওয়েব এড্রেস এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে নতুন কোন আর্টিকেলের জন্য।তখন যদি আপনার সাইটটি নিয়মিত আপডেট করা না হয় তাহলে আপনি আপনার নিয়মিত ভিজিটরদের হারাবেন।তখন ব্লগ বা ওয়েব সাইটের ভিজিটর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হুমকির সম্মুখীন হবেন।
ব্লগিং করে আয় করার A To Z গাইডলাইন!
ভালো মানের আর্টিকেল বলতে আর্টিকেলটির যে সকল বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে তা হলো-
আর্টিকেলটি অবশ্যই এসইও(SEO) ফ্রেন্ডলি হতে হবে। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হতে হলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেল এর টাইটেলে কিওয়ার্ড(keyword)ব্যবহার করতে হবে। এবং পোষ্টের ভিতরেও যথেষ্ট পরিমাণে কী-ওয়ার্ড(Keyword) ব্যবহার করতে হবে।এর ফলে ভিজিটররা সার্চ করার মাধ্যমে আপনার আর্টিকেলটি তাদের সামনে চলে যাবে। কারণ কি ওয়ার্ড বলতে বোঝায় একটি ভিজিটর কি দিয়ে আপনার ব্লগের পোস্ট টি সার্চ করে সেটি। তাহলে বুঝতেই পারছেন কিওয়ার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার সাইটটি জনপ্রিয় করে তুলতে। পোস্টগুলো অবশ্যই বেশি শব্দ ব্যবহার করে লিখতে চেষ্টা করবেন।কমপক্ষে পোস্ট গুলো ৫০০ - ১০০০ ওয়ার্ড বেশি ব্যাবহার করে লিখতে হবে।এবং যথেষ্ট তথ্য (Information)সম্বলিত করতে হবে আপনার আর্টিকেলটি।গুরুত্বপূর্ন টেক্সট(Important Text) গুলি ব্লড করে দিন।এটাড়াও ইমেজ যুক্ত করুন।ইমেজের ক্ষেত্রে ক্যাপশন দিতে ভুলবেন না।এছাড়াও ইমেইজের পোপার্টি সেট করুন।এবং ছবি আপলোড করার জন্য ছবি নামটি কিওয়ার্ডের মাধ্যমে দিন। কারন গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ইমেজের জন্য আলাদা একটা সেকশন রয়েছে। তাই ইমেজকে যথেস্ট গুরুত্ব দিতে হবে।
পোস্টের মাঝে লিংকিং করুন-
লিংকিং হচ্ছে ব্লগের নতুন পোস্টের সাথে পুরনো সম জাতীয় পোস্টের লিংক যুক্ত করা।অর্থাৎ আরো তথ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলোকে লিংকিং করা। লিংকিং প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে ইনবউন্টলিঙ্ক এবং আউটবাউন্টলিংক।পোস্টের মান বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পরিমানে inbound link এবং Outbound link যুক্ত করুন।
ইনবাউন্ড লিংক-
নতুন কোন পোস্ট করার সময় আরো অতিরিক্ত তথ্য যোগ করার জন্য ব্লগের অন্যান্য যেসকল পোস্টের লিংক যুক্ত করা হয় তাকে ইনবাউন্ড লিংক বলে।
আউটবাউন্ড লিংক-
পোস্ট এর মান বৃদ্ধি করার জন্য অন্যান্য ওয়েবসাইটের তথ্য মূলক পোস্ট এ যুক্ত করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় আউটবাউন্ট লিংক।এর ফলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেলের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। এবং পোস্ট গুলো র্যাংক করবে দ্রুত।
লিংক কাস্টমাইজড করতে হবে -
গুগল একটি ওয়েবসাইটের লিংককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।যার ফলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার জন্য লিংক কাস্টমাইজড করতে হবে।এক্ষেত্রে লিংকটির মাধ্যমে যেন বোঝা যায় পোস্টটির ভিতরে কি আছে।এক্ষেত্রে পোস্টের টাইটেল কিওয়ার্ডের মাধ্যমে কাস্টমাইজড করতে হবে। এর ফলে গুগলে পোস্টটির ভ্যালু অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।
ব্লগ পোষ্টের কমেন্ট অপশন অন রাখা:
ব্লগ পোষ্টের কমেন্ট অপশন অন রাখার ফলে আপনার ব্লগের ভিজিটর এর চাহিদা সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। এবং আপনাদের কনটেন্টের মানোন্নয়ন করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও ভিজিটর কমেন্ট করার ফলে আপনার ব্লগের মান বৃদ্ধি পাবে। তাই অবশ্যই আপনার ব্লগে কমেন্ট অপশনটি অন রাখুন এছাড়া ভিজিটরদের প্রত্যেকটি কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করুন। এর ফলে আপনার ব্লগের একটিভিটি সম্পর্কেও ভিজিটররা একটি ধারণা পাবে এবং ভিজিটররা বুঝতে পারবে আপনার ব্লগটি একটি একটিভ ব্লগ। এবং বিভিন্ন ভিজিটর আপনার ব্লগে কমেন্ট এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরী করবে যা তাদের সাইটের জন্য যেরকম উপকারী তেমনি আপনার সাইটের জন্য অত্যন্ত উপকারী ভূমিকা রাখবে।
SEO Search Engine Optimisation কি বিস্তারিত জানতে পোস্টটি ফলো করুন!
প্রচুর পরিমাণে ব্যাকলিংক তৈরি করুন-
ব্যাকলিংক(Backlink)হলো অন্য ওয়েব সাইটে বা ব্লগে আপনার সাইটের লিংক শেয়ার করা।
ব্লগ বা ওয়েবসাইট র্যাংক করার অন্যতম উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকলিংক তৈরি করা।সেটি হতে পারে ডুফলো(Do flow Backlink) ব্যাকলিংক।অথবা নোফলো(no flow Backlink) ব্যাকলিঙ্ক।
সাইট রাঙ্কিং করার জন্য দুটোই গুরুত্বপূর্ণ তবে নো ফলো ব্যাকলিংক(No Flow Backlink) অপেক্ষা ডুফলো ব্যাকলিংক(Do flow backlink)অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওয়েবসাইট বা ব্লগ র্যাংক করার ক্ষেত্রে।
আপনি ডুফলো ব্যাকলিংক(Do flow Backlink) গেস্ট ব্লগিং এবং বিভিন্ন উপায়ে পেতে পারেন।এবং নো ফলো ব্যাকলিংক এর জন্য বিভিন্ন ব্লগে কমেন্ট করতে পারেন। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন রেংক করার ক্ষেত্রে প্রশ্ন-উত্তর সাইট গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর সাইটে বিভিন্ন প্রশ্ন করা এবং উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার সাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন।
আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রশ্ন উত্তর সাইট গুলোর বিভিন্ন প্রশ্ন গুলো ফলো করুন। এবং খেয়াল করুন এর উত্তর আপনার সাইটে রয়েছে কিনা। যদি সে সকল প্রশ্ন উত্তর আপনার সাইটে থাকে তাহলে আপনি সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার মাধ্যমে সেখানে আপনার ব্লগের লিংক গুলো শেয়ার করতে পারেন। যার ফলে সার্চইঞ্জিনে আপনার সাইটের র্যাংক বৃদ্ধি পাবে।অপরদিকে সকল প্রশ্নোত্তর সাইট থেকে আপনার ব্লগের ভিজিটর আসতে শুরু করবে।
গেস্ট ব্লগিং(guest blogging) করুন-
গেস্ট ব্লগিং(guest blogging)বলতে বোঝায় অন্য ব্লগে লেখালেখি করাকে।আপনি অন্যান্য ব্লগ সাইটে পোস্ট করবেন!হয়তো আপনি ভাবতে পারেন নিজের ব্লক থাকতে কেন আপনি অন্যের ব্লগে পোস্ট করবেন।
কিন্তু ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গেস্ট ব্লগিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি গেস্ট ব্লগিং করার সময় ভাল মানের আর্টিকেল লিখুন তাদের ওয়েবসাইটে।এবং তার পাশাপাশি আপনি আপনার ব্লগের লিংক সেখানে শেয়ার করুন। ওয়েবসাইট রাঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে গেস্ট ব্লগিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। এবং প্রচুর পরিমাণে অন্য সাইটে গেস্ট ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনার ব্লগের লিংক ছড়িয়ে দিন।
কারণ সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগ বা ওয়েবসাইট রাঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে ব্যাকলিঙ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্য ওয়েবসাইটে পোস্ট করার মাধ্যমে আপনি ডুফলো ব্যাকলিংক পেতে পারেন।তবে এ বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে ব্লগ টিতে গেস্ট ব্লগিং করবেন অবশ্যই সে ব্লগটি ভালো রেংকিংএ থাকতে হবে।সার্চ ইঞ্জিনের এবং প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকতে হবে সেটিতে। আপনার যদি সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংক করে নাই এমন কোন ব্লগ বা ওয়েব সাইটে গেস্ট ব্লগিং করেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের লিংকিং করেন তাহলে আপনার কষ্ট বৃথা হবে।তাই গেস্ট ব্লগিং করতে অবশ্যই জনপ্রিয় ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে বেছে নিন।
ইউজার ফ্রেন্ডলি থিম বা টেমপ্লেট (template) ব্যবহার করুন:
অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি থীম ব্যবহার করতে হবে।এবং অবশ্যই ফাস্ট লোডিং হতে হবে।কেন লোডিং টাইম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য।আপনার সাইটের লোডিং টাইম জানতে পারেন পিংডম টুলের মাধ্যমে(Pingdom websit speed test)।যদি আপনার ব্লগের লোডিং টাইম বেশি হয় তাহলে ভিজিটর অতিষ্ঠ হয়ে আপনার ব্লগ থেকে চলে যাবেন। কারণ কেউই চাইবেনা পোস্ট পড়ার সময় অপেক্ষা করতে সম্পুর্ন পোস্ট লোড হওয়ার জন্য। ব্লগে অবশ্যই পপুলার পোষ্ট এবং পোষ্টের শেষে রিলেটেড পোস্ট অপশনগুলো যুক্ত করুন। এটা আপনার ব্লগের যেমন বেশি পেজ ভিউ হবে তেমনি আপনার ব্লগের বাউন্স রেট কমবে।
আয় করুন ১০০% বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে!১০০% পেমেন্ট গ্যারান্টি!
ব্লগ বা ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট(Bounce Rate) কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা-
একটি ব্লগ বা ওয়েব সাইটের পপুলারিটি অনেকটা নির্ভর করে ব্লগ সাইটের বাউন্স রেট এর উপর। তাই অবশ্যই বাউন্স রেট কমিয়ে আনার চেষ্টা করা উচিত। ব্লগের পোস্ট এর মাঝে ইন্টারলিংক করুন।এর ফলে আপনার ব্লগে ভিজিটর বেশি সময় থাকবে।বাউন্স রেট হচ্ছে একটি ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে এসে কতক্ষণ সময় কাটালো তার একটি গড় অনুপাত।এবং রিলেটেড পোষ্ট(Related post) এবং পপুলার পোস্ট(Popular Post) ইত্যাদি গ্যাজেট যুক্ত করুন। এর ফলে বাউন্স রেট কমে আসবে।
রিলেটেড পোস্ট এবং পপুলার পোস্টস জনপ্রিয় পোস্টগুলো ভিজিটরের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন এর ফলে আকৃষ্ট হয়ে ভিজিটর আপনার পোস্টগুলো বেশি পড়বে এবং তার চাইতে বেশি সময় দিবে বলে আপনার সাইটের বাউন্স রেট কমে আসবে।
google AMP(Accelerated Mobile Pages)ব্যবহার করা:
গুগোল এএমপি(AMP-Accelerated_Mobile_Pages) হলো এমন একটি সিস্টেম যেটি আপনার ওয়েবসাইটের ওয়েব পেজগুলো বা পোস্ট গুলো গুগল তার তাদের নিজস্ব কাস্টমাইজেশন সিস্টেমের মাধ্যমে মোবাইল ভিউ করে গ্রাহককে প্রদর্শন করে।এর ফলে মোবাইল ব্যবহারকারীরা আপনার ওয়েবপেজ দ্রুত লোড করতে পারে। আর আপনার ওয়েবপেজ যত দ্রুত লোড হবে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার ওয়েবপেজের ভ্যালু তত বৃদ্ধি পাবে। তাই ওয়েব সাইট এর ভিজিটর বৃদ্ধিতে গুগল এএমপির(google AMP) ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধিতে অবশ্যই গুগল এএমপি ( google AMP-Accelerated Mobile Pages) কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে আপনার ব্লগ থিম কাস্টমাইজ করতে হবে।অথবা আপনি এএমপি ব্লগার থিম ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ব্লগকে এএমপি সাপোর্টেড বানাতে পারেন। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য এএমপি প্লাগিন(plug-in) রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট কে খুব সহজেই Google AMP সাপোর্টেড করে তুলতে পারেন। বর্তমান সময়ে কম্পিউটার এর চাইতে মোবাইলের ভিজিটর সংখ্যা বেশি এবং ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। আর গুগল তাদের এমপি সুবিধা চালু করেছে যাতে মোবাইল ব্যবহারকারীদের খুব দ্রুত ওয়েব পেজ লোডিং এর সুবিধা প্রদান করতে পারে তার জন্য। আর এ কারনে কারণে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে এএমপি(AMP)সাপোর্টেড হলে সার্চ ইঞ্জিন অবশ্যই আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে বেশি ভ্যালু দেবে।এবং সার্চের প্রথম দিকে আপনার ওয়েবসাইটটি নিয়ে আসবে।
Google কোম্পানি তৈরির ইতিহাস!
সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং:
ব্লগের বা ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া(Social media)শেয়ারিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কারণ বর্তমানে অধিকাংশ লোকজন সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social media)বেশি সময় পার করেন।এর মধ্য অন্যতম হচ্ছে ফেসবুক(Facebook.com)।বর্তমানে প্রত্যেকদিন ফেসবুকে প্রবেশ করে না এরকম লোক খুবই কম রয়েছে। অনেকেই আছেন দিনের অর্ধেকের বেশি সময় পার করে দেয় ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ারিং,চ্যাটিং ইত্যাদির মাধ্যমে। তাই আপনার ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ফেসবুক ছাড়াও অনেক সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেখানে আপনি আপনার ব্লগের বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করার মাধ্যমে ভিজিটর সংগ্রহ করতে পারেন। বর্তমানে ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর অধিকাংশ ভিজিটর পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে।কারণ বর্তমান সময়ে মানুষের সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটি প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে।
আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েব সাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়া লিংক শেয়ার করার ক্ষেত্রে আপনি আপনি কিছু টেকনিক ব্যবহার করুন।যাতে করে সর্বাধিক ভিজিটর পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার পোস্ট রিলেটেড গুরুপ বা ফেসবুক পেজ গুলো খুঁজে বের করুন। এবং সেগুলোতে আপনার লিংক শেয়ার করুন।লিংকে সাথে পোস্টের কিছু ডেসক্রিপশন যুক্ত করুন। তবে ফেসবুকে লিংক শেয়ার করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন অতিরিক্ত পরিমাণে লিংক শেয়ার করা যাবে না।এছাড়াও আপনি একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে পারেন আপনার সাইটের জন্য।
আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লিঙ্ক অতিরিক্ত পরিমাণে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তাহলে ফেসবুক আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের লিঙ্ক কে স্প্যামিং হিসেবে ব্লক করে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি কোন ভাবেই আর আপনার ব্লগের পোস্ট গুলো ফেসবুকে শেয়ার করতে পারবেন না। একটি লিংক শেয়ার করার পরে অন্ততপক্ষে 10 মিনিট অপেক্ষা করুন দ্বিতীয় লিংক শেয়ার করার জন্য। এবং প্রত্যেক দিন 5 থেকে 10 টির বেশি শেয়ার করবেন না। আপনি যদি সঠিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর আসতে শুরু করবে। একদিকে যেমন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলো ক্লিক করার মাধ্যমে ভিজিটর আসবে অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটির কারণে আপনার ওয়েব সাইট সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত র্যাংক করবে।
ফেসবুক ছাড়াও আরো অনেক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেমন টুইটার(tweeter.com), লিংকডইন(linkedin.com), মিডিয়াম(medium.com), পিন্টারেস্ট(pinterest.com), ইনস্টাগ্রাম(instagram.com) আরো অনেক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া।
আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য আপনি এসব বলছিস আর মিডিয়াকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
ভিজিটর বৃদ্ধির কিলার টিপস! |
বর্তমানে অধিকাংশ লোক কোন ওয়েবসাইটের এড্রেস মনে রাখার চাইতে কোন বিষয়ে খুঁজতে হলে তারা সার্চ ইঞ্জিনে সেই বিষয়ে লিখে সার্চ করে।তাই আপনার সাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি করতে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন এর উপর গুরুত্ব আরোপ করুন। কারণ সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ব্লগকে র্যাংক করাতে পারলে অবশ্যই আপনার ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। এগুলো হলো অন পেইজ এসইও এবং অফ পেইজ এসইও। এই দুইটি কাজের মধ্যমে একটি সাইট পূর্নাঙ্গ ভাবে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজেশন করতে পারবেন।সাইটে অভ্যান্তরে যেসকল কাজ করা হয় তাকে অন-পেজ (On-Page) এসইও বলে।এবং ওয়েব সাইট র্যাংক করাতে ওয়েব সাইটের বাইরেও অনেক কাজ থাকে এসকল কাজকে অফ-পেজ (Off-Page) এসইও বলে। তবে এই দুইটি কাজের ভিতরে আবার অনেক কাজ রয়েছে।
ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধি করতে আমাদের যে সকল কাজ করতে হবে তা হল:
ইউনিক আর্টিকেল রাইটিং |
ব্লগে অবশ্যই ভাল মানের এসইও ফ্রেন্ডলি ( SEO Friendly) আর্টিকেল লিখতে হবে। ব্লগকে জনপ্রিয় করে তোলার প্রধান উপকরণ হচ্ছে তার আর্টিকেল।কারণ আর্টিকেল যত ভালো মানের হবে ব্লগটি তত দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এবং ভিজিটর সংখ্যা ততই দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলগুলো যথেষ্ট তথ্য সম্বলিত হতে হবে। কারণ আপনি যতই তথ্য সম্বলিত আর্টিকেল লিখবেন ততই সার্চ ইঞ্জিন আপনার আর্টিকেল গুরুত্ব দেবে। এবং সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আপনার আর্টিকেলটি নিয়ে আসার চেষ্টা করবে।এ কারণে অবশ্যই হাবিজাবি আর্টিকেল বাদ দিয়ে ভাল মানের আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন। এবং এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য কিওয়ার্ডকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ মনে করুন।
অবশ্যই নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করবেন।কারণ সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ভিজিটর পরবর্তীতে আপনার ওয়েব এড্রেস এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে নতুন কোন আর্টিকেলের জন্য।তখন যদি আপনার সাইটটি নিয়মিত আপডেট করা না হয় তাহলে আপনি আপনার নিয়মিত ভিজিটরদের হারাবেন।তখন ব্লগ বা ওয়েব সাইটের ভিজিটর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হুমকির সম্মুখীন হবেন।
ব্লগিং করে আয় করার A To Z গাইডলাইন!
ভালো মানের আর্টিকেল বলতে আর্টিকেলটির যে সকল বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে তা হলো-
আর্টিকেলটি অবশ্যই এসইও(SEO) ফ্রেন্ডলি হতে হবে। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হতে হলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেল এর টাইটেলে কিওয়ার্ড(keyword)ব্যবহার করতে হবে। এবং পোষ্টের ভিতরেও যথেষ্ট পরিমাণে কী-ওয়ার্ড(Keyword) ব্যবহার করতে হবে।এর ফলে ভিজিটররা সার্চ করার মাধ্যমে আপনার আর্টিকেলটি তাদের সামনে চলে যাবে। কারণ কি ওয়ার্ড বলতে বোঝায় একটি ভিজিটর কি দিয়ে আপনার ব্লগের পোস্ট টি সার্চ করে সেটি। তাহলে বুঝতেই পারছেন কিওয়ার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার সাইটটি জনপ্রিয় করে তুলতে। পোস্টগুলো অবশ্যই বেশি শব্দ ব্যবহার করে লিখতে চেষ্টা করবেন।কমপক্ষে পোস্ট গুলো ৫০০ - ১০০০ ওয়ার্ড বেশি ব্যাবহার করে লিখতে হবে।এবং যথেষ্ট তথ্য (Information)সম্বলিত করতে হবে আপনার আর্টিকেলটি।গুরুত্বপূর্ন টেক্সট(Important Text) গুলি ব্লড করে দিন।এটাড়াও ইমেজ যুক্ত করুন।ইমেজের ক্ষেত্রে ক্যাপশন দিতে ভুলবেন না।এছাড়াও ইমেইজের পোপার্টি সেট করুন।এবং ছবি আপলোড করার জন্য ছবি নামটি কিওয়ার্ডের মাধ্যমে দিন। কারন গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ইমেজের জন্য আলাদা একটা সেকশন রয়েছে। তাই ইমেজকে যথেস্ট গুরুত্ব দিতে হবে।
লিংকিং হচ্ছে ব্লগের নতুন পোস্টের সাথে পুরনো সম জাতীয় পোস্টের লিংক যুক্ত করা।অর্থাৎ আরো তথ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলোকে লিংকিং করা। লিংকিং প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে ইনবউন্টলিঙ্ক এবং আউটবাউন্টলিংক।পোস্টের মান বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পরিমানে inbound link এবং Outbound link যুক্ত করুন।
ইনবাউন্ড লিংক-
নতুন কোন পোস্ট করার সময় আরো অতিরিক্ত তথ্য যোগ করার জন্য ব্লগের অন্যান্য যেসকল পোস্টের লিংক যুক্ত করা হয় তাকে ইনবাউন্ড লিংক বলে।
আউটবাউন্ড লিংক-
পোস্ট এর মান বৃদ্ধি করার জন্য অন্যান্য ওয়েবসাইটের তথ্য মূলক পোস্ট এ যুক্ত করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় আউটবাউন্ট লিংক।এর ফলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেলের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। এবং পোস্ট গুলো র্যাংক করবে দ্রুত।
লিংক কাস্টমাইজড করতে হবে -
গুগল একটি ওয়েবসাইটের লিংককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।যার ফলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার জন্য লিংক কাস্টমাইজড করতে হবে।এক্ষেত্রে লিংকটির মাধ্যমে যেন বোঝা যায় পোস্টটির ভিতরে কি আছে।এক্ষেত্রে পোস্টের টাইটেল কিওয়ার্ডের মাধ্যমে কাস্টমাইজড করতে হবে। এর ফলে গুগলে পোস্টটির ভ্যালু অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।
ব্লগ পোষ্টের কমেন্ট অপশন অন রাখা:
ব্লগ পোষ্টের কমেন্ট অপশন অন রাখার ফলে আপনার ব্লগের ভিজিটর এর চাহিদা সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। এবং আপনাদের কনটেন্টের মানোন্নয়ন করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও ভিজিটর কমেন্ট করার ফলে আপনার ব্লগের মান বৃদ্ধি পাবে। তাই অবশ্যই আপনার ব্লগে কমেন্ট অপশনটি অন রাখুন এছাড়া ভিজিটরদের প্রত্যেকটি কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করুন। এর ফলে আপনার ব্লগের একটিভিটি সম্পর্কেও ভিজিটররা একটি ধারণা পাবে এবং ভিজিটররা বুঝতে পারবে আপনার ব্লগটি একটি একটিভ ব্লগ। এবং বিভিন্ন ভিজিটর আপনার ব্লগে কমেন্ট এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরী করবে যা তাদের সাইটের জন্য যেরকম উপকারী তেমনি আপনার সাইটের জন্য অত্যন্ত উপকারী ভূমিকা রাখবে।
SEO Search Engine Optimisation কি বিস্তারিত জানতে পোস্টটি ফলো করুন!
প্রচুর পরিমাণে ব্যাকলিংক তৈরি করুন-
ব্লগ বা ওয়েবসাইট র্যাংক করার অন্যতম উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকলিংক তৈরি করা।সেটি হতে পারে ডুফলো(Do flow Backlink) ব্যাকলিংক।অথবা নোফলো(no flow Backlink) ব্যাকলিঙ্ক।
সাইট রাঙ্কিং করার জন্য দুটোই গুরুত্বপূর্ণ তবে নো ফলো ব্যাকলিংক(No Flow Backlink) অপেক্ষা ডুফলো ব্যাকলিংক(Do flow backlink)অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওয়েবসাইট বা ব্লগ র্যাংক করার ক্ষেত্রে।
আপনি ডুফলো ব্যাকলিংক(Do flow Backlink) গেস্ট ব্লগিং এবং বিভিন্ন উপায়ে পেতে পারেন।এবং নো ফলো ব্যাকলিংক এর জন্য বিভিন্ন ব্লগে কমেন্ট করতে পারেন। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন রেংক করার ক্ষেত্রে প্রশ্ন-উত্তর সাইট গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর সাইটে বিভিন্ন প্রশ্ন করা এবং উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার সাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন।
আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রশ্ন উত্তর সাইট গুলোর বিভিন্ন প্রশ্ন গুলো ফলো করুন। এবং খেয়াল করুন এর উত্তর আপনার সাইটে রয়েছে কিনা। যদি সে সকল প্রশ্ন উত্তর আপনার সাইটে থাকে তাহলে আপনি সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার মাধ্যমে সেখানে আপনার ব্লগের লিংক গুলো শেয়ার করতে পারেন। যার ফলে সার্চইঞ্জিনে আপনার সাইটের র্যাংক বৃদ্ধি পাবে।অপরদিকে সকল প্রশ্নোত্তর সাইট থেকে আপনার ব্লগের ভিজিটর আসতে শুরু করবে।
গেস্ট ব্লগিং(guest blogging) করুন-
গেস্ট ব্লগিং(guest blogging)বলতে বোঝায় অন্য ব্লগে লেখালেখি করাকে।আপনি অন্যান্য ব্লগ সাইটে পোস্ট করবেন!হয়তো আপনি ভাবতে পারেন নিজের ব্লক থাকতে কেন আপনি অন্যের ব্লগে পোস্ট করবেন।
কিন্তু ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গেস্ট ব্লগিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি গেস্ট ব্লগিং করার সময় ভাল মানের আর্টিকেল লিখুন তাদের ওয়েবসাইটে।এবং তার পাশাপাশি আপনি আপনার ব্লগের লিংক সেখানে শেয়ার করুন। ওয়েবসাইট রাঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে গেস্ট ব্লগিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। এবং প্রচুর পরিমাণে অন্য সাইটে গেস্ট ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনার ব্লগের লিংক ছড়িয়ে দিন।
কারণ সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগ বা ওয়েবসাইট রাঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে ব্যাকলিঙ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্য ওয়েবসাইটে পোস্ট করার মাধ্যমে আপনি ডুফলো ব্যাকলিংক পেতে পারেন।তবে এ বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে ব্লগ টিতে গেস্ট ব্লগিং করবেন অবশ্যই সে ব্লগটি ভালো রেংকিংএ থাকতে হবে।সার্চ ইঞ্জিনের এবং প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকতে হবে সেটিতে। আপনার যদি সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংক করে নাই এমন কোন ব্লগ বা ওয়েব সাইটে গেস্ট ব্লগিং করেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের লিংকিং করেন তাহলে আপনার কষ্ট বৃথা হবে।তাই গেস্ট ব্লগিং করতে অবশ্যই জনপ্রিয় ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে বেছে নিন।
ইউজার ফ্রেন্ডলি থিম বা টেমপ্লেট (template) ব্যবহার করুন:
অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি থীম ব্যবহার করতে হবে।এবং অবশ্যই ফাস্ট লোডিং হতে হবে।কেন লোডিং টাইম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য।আপনার সাইটের লোডিং টাইম জানতে পারেন পিংডম টুলের মাধ্যমে(Pingdom websit speed test)।যদি আপনার ব্লগের লোডিং টাইম বেশি হয় তাহলে ভিজিটর অতিষ্ঠ হয়ে আপনার ব্লগ থেকে চলে যাবেন। কারণ কেউই চাইবেনা পোস্ট পড়ার সময় অপেক্ষা করতে সম্পুর্ন পোস্ট লোড হওয়ার জন্য। ব্লগে অবশ্যই পপুলার পোষ্ট এবং পোষ্টের শেষে রিলেটেড পোস্ট অপশনগুলো যুক্ত করুন। এটা আপনার ব্লগের যেমন বেশি পেজ ভিউ হবে তেমনি আপনার ব্লগের বাউন্স রেট কমবে।
ব্লগ বা ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট(Bounce Rate) কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা-
একটি ব্লগ বা ওয়েব সাইটের পপুলারিটি অনেকটা নির্ভর করে ব্লগ সাইটের বাউন্স রেট এর উপর। তাই অবশ্যই বাউন্স রেট কমিয়ে আনার চেষ্টা করা উচিত। ব্লগের পোস্ট এর মাঝে ইন্টারলিংক করুন।এর ফলে আপনার ব্লগে ভিজিটর বেশি সময় থাকবে।বাউন্স রেট হচ্ছে একটি ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে এসে কতক্ষণ সময় কাটালো তার একটি গড় অনুপাত।এবং রিলেটেড পোষ্ট(Related post) এবং পপুলার পোস্ট(Popular Post) ইত্যাদি গ্যাজেট যুক্ত করুন। এর ফলে বাউন্স রেট কমে আসবে।
রিলেটেড পোস্ট এবং পপুলার পোস্টস জনপ্রিয় পোস্টগুলো ভিজিটরের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন এর ফলে আকৃষ্ট হয়ে ভিজিটর আপনার পোস্টগুলো বেশি পড়বে এবং তার চাইতে বেশি সময় দিবে বলে আপনার সাইটের বাউন্স রেট কমে আসবে।
google AMP(Accelerated Mobile Pages)ব্যবহার করা:
uuseing google amp and get more traffic |
Google কোম্পানি তৈরির ইতিহাস!
ব্লগিং এ সোস্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব |
ফেসবুক ছাড়াও অনেক সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেখানে আপনি আপনার ব্লগের বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করার মাধ্যমে ভিজিটর সংগ্রহ করতে পারেন। বর্তমানে ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর অধিকাংশ ভিজিটর পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে।কারণ বর্তমান সময়ে মানুষের সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটি প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে।
আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লিঙ্ক অতিরিক্ত পরিমাণে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তাহলে ফেসবুক আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের লিঙ্ক কে স্প্যামিং হিসেবে ব্লক করে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি কোন ভাবেই আর আপনার ব্লগের পোস্ট গুলো ফেসবুকে শেয়ার করতে পারবেন না। একটি লিংক শেয়ার করার পরে অন্ততপক্ষে 10 মিনিট অপেক্ষা করুন দ্বিতীয় লিংক শেয়ার করার জন্য। এবং প্রত্যেক দিন 5 থেকে 10 টির বেশি শেয়ার করবেন না। আপনি যদি সঠিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর আসতে শুরু করবে। একদিকে যেমন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলো ক্লিক করার মাধ্যমে ভিজিটর আসবে অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটির কারণে আপনার ওয়েব সাইট সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত র্যাংক করবে।
ফেসবুক ছাড়াও আরো অনেক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেমন টুইটার(tweeter.com), লিংকডইন(linkedin.com), মিডিয়াম(medium.com), পিন্টারেস্ট(pinterest.com), ইনস্টাগ্রাম(instagram.com) আরো অনেক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া।