ওয়েব সাইট বা ব্লগে google adsence এপ্রুভ করার সহজ উপায় A to Z guidelines

গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করে থাকি।এর প্রধান কারন হলো ব্লগ কিংবা ওয়েব সাইট থেকে টাকা আয়ের একটি অন্যতম উৎস এই google Adsence. গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের অনেকের মধ্যেই বিভিন্ন চিন্তা কাজ করে থাকে।কারন গুগল এডসেন্স এর নিয়ম রয়েছে কিছু।আপনি যদি সেই নিয়ম গুলো ফলো না করেন তাহলে জীবনেও আপনার সাইটে google adsense approve করাতে পারবেন না।


আর একারনেই আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে খুব স্বল্প পরিমান শ্রম ও সময়ের মধ্যেই আপনার সাইটের জন্য গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে পারেন।এবং তার থেকে অর্থ উপার্যন করতে পারেন।এই টিপস গুলো ফলো করলে আপনি খুব সহযেই এডসেন্স এপ্রুভ করাতে পারবেন আপনার সাইটের জন্য।
🔆 আরো দেখুন- ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধি করার কিলার টিপস!
তবে গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় এ বিষয়ে আমাদের মাঝে কিছু ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে।সেগুলো হলো,অনেকেরই ধারনা রয়েছে সাইটের বয়স কমপক্ষে ১ বছর বা ৬ মাস না হলে এডসেন্স একাউন্ট কোন ভাবেই এপ্রুভ করানো সম্ভব নয়।এর পরে সাইটের ভিজিটর কমপক্ষে ২ লক্ষ না হলে হবে না ইত্যাদি।তবে এগুলো ভ্রান্ত ধারনা।আপনি চাইলে কোন ভিজিটর ছাড়াও এবং নতুন সাইটেও  google adsence approve করাতে পারেন।


আমার সাইটে যেভাবে গুগল এডসেন্স পেলাম তা আপনাদের বলছি।কারন এর থেকে আপনারা অনেক শিক্ষা পাবেন এবং আপনাদের ভূল গুলো শুধরে নিতে পারবেন।আমার সাইট www.gganbitan.com এটিতে আমি মাত্র দুই মাস সময়ের আগেই এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়েছি।এবং মোট ভিউ ছিল মাত্র ২০০০ এর মত।এবং কন্টেন্ট ছিল মাত্র ২৩ টি।ডেইলি ভিজিটর ও তখন ছিল খুবই কম।যার কারনে আমি অনেকটা হতাশা গ্রস্থ ছিলাম।

এমন একটা সময় ছিল ভাবতাম ব্লগিং ছেড়ে দিব।কারন আমি কোন পেশাগত দক্ষতা ছাড়াই ব্লগিং শুরু করেছিলাম।তবে এক বড় ভাইয়ের পরামর্শ এবং অনুপ্রেরনাই আমি আমার কাজ চালিয়ে যাই এবং এক পর্যায় সফলও হই।আর এ কারনেই আমার লক্ষ্য যারা নতুন ব্লগিং শুরু করেছে তাদের সাহায্য করা।এবং তাদের মনোবল যোগানো।আর এ কারনে আপনারা এটিকে শুধু মাত্র একটি আর্টিকেল না ভেবে পড়ুন।এবং টিপস গুলো ফলো করুন।আমি আমার অভিজ্ঞতা এবং ক্ষুদ্র জ্ঞানের আলোকে যতটুকু পারি সাহায্য করব।অনলাইনে সবাই সবার স্বার্থে ব্যস্ত তাই সঠিক গাইডলাইন পাওয়া দুষ্কর।সবাই আপনাকে প্রোরচনা দেখিয়ে তার স্বার্থ হাসিল করতে ব্যস্ত।তবে আমি চাই যারা আগ্রহি এবং পরিশ্রমী তার সবাই সফল হোক।

🔆আরো দেখুন- ব্লগিং করে আয় করুন মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা।


গুগল এডসেন্স এর একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় এবং চিঠি কিভাবে হাতে পাবেন সে বিষয়ে আজ আপনাদের মাঝে বর্ননা করব আমি।প্রথমেই কি করবেন এটা না যেনে জানুন কি বর্জন করতে হবে সেগুলো।কারন কেউ যদি একবার বিষপান করে তারপরে যতই ভাবুক না কেন কোন কাজে আসবে না তার ভাবনা।

তাহলে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে কি বর্জন করবেন?প্রথমেই আপনাকে কপি পেষ্ট বর্জন করতে হবে।কারন গুগল একজন সৃষ্টা কে মূল্য দিতে জানে।তাই গুগল কখনোই চায়না কারো সৃষ্টি কেউ চুরি করুক।এবং নিজের নামে চালিয়ে দিক।আমরা জানি ইউটিউবের কপিরাইট সম্পর্কে।আপনি যদি অন্য কারো ভিডিও বা ভয়েস কপি করে আপ্লোড করেন তাহলে তারা আপনার চ্যানেল সাসপেন্ড করে দেবে।তেমনি ওয়েব সাইটের ক্ষেত্রেও একই।

🔆আরো দেখুন- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে আয় করবেন।

তবে ওয়েব সাইটের ক্ষেত্রে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন না বিষয়টি।কিন্তু আপনার সাইটের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে তা আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন।আপনি যদি কপি-পেষ্ট করেন তাহলে আপনার সাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিনের স্ট্রাইক খাবেন এবং সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটের কন্টেন প্রদর্শ করবেনা।দ্বিতীয়ত এডসেন্স এপ্রুভ করাতে পারবেন না।

তাই কপি-পেস্ট বর্জন করুন।তবে আপনি অন্যের লেখা পড়ে তার থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিজের ভাষায় আরো সুন্দর করে লিখতে পারেন।এবং আরো তথ্য যুক্ত করে আর্টিকেলটি আরো তথ্যপূর্ন করে তুলতে পারবেন।

দ্বিতীয়ত অসৎ উপায়ে ট্রাফিক নেওয়া অর্থাৎ ভিজিটর নেওয়া বন্ধ করতে হবে।বন্ধ বলতে এ কাজ কখনোই করা যাবেনা।যারা ২ লক্ষ ভিজিটর করার জন্য এই উপায় ভেবেছেন।তারা এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।এসকল ভিজিটর যেমন সাইটের জন্য ক্ষতিকর তেমনি কোনই লাভ হয় না এর দ্বারা।এবং আপনি যখন এসকল ট্রাফিক নিবেন তখন আপনার সাইট এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার যোগ্যতাও হারাবে।তাই এই কাজ কখনোই করবেন না।

এবার আসি এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে এবং গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে কি কি করতে হবে তার বিষয়ে!প্রথমত আপনাকে এডসেন্স পেতে ইউনিক আর্টিকেল লিখতে হবে।যা আগেও বলেছি।এবং আপনার সাইটটি গুগল সার্চ কনসোল এ সাবমিট করতে হবে।

🔆আরো দেখুন- Brave Browser থেকে কিভাবে মাসে আয় করবেন ১০০-২০০ ডলার।

এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন পেইজ তৈরি করতে হবে সাইটের জন্য।যেমন,প্রাইভেসি পলিসি(Privacy Policy),এবাউট আস(About Us),কন্টাক্ট আস(Contact Us),সাইট ম্যাপ(Sitemap).তবে এটি মনে রাখতে হবে পেইজগুলো অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে।আমি আবারো বলছি পেইজগুলো অবশ্যই ইংরেজিতে তৈরি করবেন।আপনার সাইট বাংলায় হলেও এই পেইজ গুলো ইংরেজিতে তৈরি করবেন।তা না হলে এডসেন্স এপ্রুভ করাতে পারবেন না।

মোটামুটি SEO(Search engine optimization) এর জন্য মোটামুটি কাজ করুন।এবং Google Search consol এ সাবমিট করুন।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ SEO কি বিস্তারিত! 

আপনার সাইটটি ইউজার ফ্রেইন্ডলি করে তুলুন।এবং মিনিমান ২০ টি আর্টিকেল ও উল্লেখিত সকল পেইজ গুলো তৈরি করা হয়ে গেলে আপনার সাইটটি Google Adsence এর আবেদনের জন্য প্রস্তুত।


google adsense খোলার নিয়ম খুবই সহজ তাই এ বিষয়ে বর্ননা করলাম না।আপনি গুগল এডসেন্সের সাইটে গিয়ে আপনার জিমেইল দ্বারা সাইন আপ করুন।এবং আপনার সাইটটি যদি ব্লগারে হয় তাহলে আপনার ব্লগার কন্ট্রোল প্যানেল হতে আর্নিং ট্যাবে গিয়েই আবেদন করতে পারবেন।

এবার আপনি আপনার সাইটটির জন্য এডসেন্স আবেদন করুন।এবং আবেদন করা সঠিক হলে তারা আপনার সাইটটি রিভিউতে রাখতে এবং আপনাকে একটি মেইল করবে।যে তারা সাত দিনের মধ্য আপনার সাইটটি দেখবে যে আপনার সাইটটি এডসেন্সে জন্য উপযুক্ত কি না।এর পরে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করুন।এবং মেইল চেক করে দেখুন তারা মেইল করেছি কিনা।

যদি দেখেন কনফার্ম করেছে তাহলে তো আপনাকে Congratulations আর যদি না করে তাহলেও হতাশ হবেন না।কারন আপনি আবারও আবেদন করতে পারবেন।আপনার মেইলে জানানো হবে কোন কারনে এডসেন্স এপ্রুভ হয় নাই।সে গুলো ঠিক করে আবার আবেদন করুন।তাহলেই কাজ হবে ১০০%


আরো সকল টিপস এবং আপডেট পেতে ই-মেইল সাবস্ক্রিপশন করুন।
আপনার এ বিষয়ে আরো কোন সমস্যা থাকলে কমেন্ট করে জানান।যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করবো।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url