মেদ বা অতিরিক্ত ওজন কমানোর কয়েকটি সহজ উপায়
বর্তমান সময়ে মেদ বা চর্বি একটি কমন সমস্যা। প্রচুর পরিমাণে মানুষ বর্তমানে এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। এর প্রধান কারণ হচ্ছে শ্রমবিমুখতা, নিয়মিত ব্যায়াম না করা এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস। যার ফলে প্রতিনিয়ত মানুষের মেদ বা চর্বি বেড়ে চলছে। শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে মেদ হলে একদিকে যেমন আমাদের দৈহিক সৌন্দর্য নষ্ট করে অন্যদিকে স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের যাদের অতিরিক্ত মেদ রয়েছে তাদের অন্যান্য মানুষের চাইতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। আর এ কারণেই আমাদের মেদ কমানোর জন্য এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। না হলে ভবিষ্যতে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
আজ আমরা বর্ণনা করব কিভাবে আপনি আপনার অতিরিক্ত মেদ খুব সহজেই কমে নিতে পারেন এবং কোনরুপ ওষুধ ছাড়াই শুধুমাত্র ঘরোয়া উপায় এবং নিয়মিত জীবন যাপনের মাধ্যমে। শরীরের মেদ দ্রুত কমানোর জন্য আমাদের প্রথমেই নির্ভর করা উচিত খাদ্যাভ্যাসের ওপর কারণ মেদ কমানোর জন্য খাদ্য অভ্যাস অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।
আমাদের শরীরের মেদ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আমাদের খাবারের সাথে যে পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করে তা খরচ না করা। আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করে তা যদি আমরা কাজ করার মাধ্যমে খরচ না করে তাহলে এই অতিরিক্ত ক্যালরি গুলো আমাদের শরীরে মেদ বা চর্বি আকারে জমা হয়।যা প্রথমদিকে কোন সমস্যার কারণ না হলেও ভবিষ্যতে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর এ কারণেই আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন শুধুমাত্র ঘরোয়া উপায় এবং কিছু খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেই!
মেদ কমানোর পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রথমেই আপনাকে আপনার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। আপনার অতিরিক্ত ক্যালরি এবং চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। যার ফলে আপনার শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। কিন্তু এর দ্বারা আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ জমবে না। যে সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে সেগুলো আপনি অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন পক্ষান্তরে যে সকল খাবারে চর্বির পরিমাণ কম এবং ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ বেশি সেগুলো খেতে পারেন। কারণ আমাদের অবশ্যই জানা উচিত যে মেদ কমানোর জন্য আমরা যদি না খেয়ে থাকে তাহলে তা আমাদের উপকারের চাইতে বেশী ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে কারণ আমরা যদি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করি তাহলে আমাদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেবে এবং পরবর্তীতে দুর্বল হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
আর এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভাতের চাইতে শাকসবজি এবং ফলমূল এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। কারণ ভাত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা পেয়ে থাকে।এছাড়াও চিনি জাতীয় খাবার পরিহার করুন। কারণ তিনি আমাদের মেয়াদ বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত মেদ কে নিয়ন্ত্রন করতে আপনি নিয়মিত শসা খেতে পারেন কারণ শসা আমাদের শরীরে ক্যালরির ঘাটতি তৈরি করে। শসা খেলে আমাদের শরীরে যে পরিমাণ ক্যালরি পায় তার চাইতে শসা হজম করতে বেশি পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয়ে থাকে এবং এর ফলে আপনার শরীরে শসা খাওয়ার ফলে ক্যালোরি বৃদ্ধির পরিবর্তে আরো হ্রাস পাবে।
তবে আপনি যদি মনে করেন যে চর্বি যুক্ত খাবার বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। এটি একমাত্র সলিউশন নয় আপনার জন্য। আর এ কারণে আপনি যদি শাকসবজি এবং অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার দিয়ে একবারে প্রচুর পরিমাণে খাবার খান তাহলে আপনার কখনই মেদ কমবে না।এ কারণে প্রত্যেকবার অল্প পরিমাণে খান এবং যখন ক্ষুধা লাগবে তখন। অর্থাৎ বারবার খান তবে একবারে প্রচুর পরিমাণে খাবেন না।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার ফলে শরীরের চর্বিগুলো গলতে শুরু করবে। কারণ পানি আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এর সাথে সাথে চর্বি কমাতে ও মেদ কমাতেও পানি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও পানি আমাদের কিডনি ভালো রাখতে সহায়তা করে তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে আপনার একদিকে যেমন মেদ কমবে অপরদিকে আপনার কিডনি ও থাকবে সুস্থ।
নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভালো থাকে।এর সাথে সাথে নিয়মিত ব্যায়াম এর কারণে আমাদের শরীরের চর্বি ও কমতে শুরু করে। আর সুস্থ থাকতে এবং অতিরিক্ত মেদ কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম এর ভূমিকা অপরিসীম। প্রত্যেকদিন ব্যায়াম করার সময় না পেলেও অন্ততপক্ষে আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট করে হাঁটা উচিত।
এবং এই হাঁটার সময়টা সকালের দিকে হলে অনেক ভালো। সকালবেলা আপনি হাঁটার অভ্যাস করলে একদিকে যেমন আপনার ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা কোন হবে তেমনি আপনি পারবেন খুব সুন্দর একটি আবহাওয়া এবং সকালের বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণ করার সুযোগ।
আজ আমরা বর্ণনা করব কিভাবে আপনি আপনার অতিরিক্ত মেদ খুব সহজেই কমে নিতে পারেন এবং কোনরুপ ওষুধ ছাড়াই শুধুমাত্র ঘরোয়া উপায় এবং নিয়মিত জীবন যাপনের মাধ্যমে। শরীরের মেদ দ্রুত কমানোর জন্য আমাদের প্রথমেই নির্ভর করা উচিত খাদ্যাভ্যাসের ওপর কারণ মেদ কমানোর জন্য খাদ্য অভ্যাস অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।
আমাদের শরীরের মেদ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আমাদের খাবারের সাথে যে পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করে তা খরচ না করা। আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করে তা যদি আমরা কাজ করার মাধ্যমে খরচ না করে তাহলে এই অতিরিক্ত ক্যালরি গুলো আমাদের শরীরে মেদ বা চর্বি আকারে জমা হয়।যা প্রথমদিকে কোন সমস্যার কারণ না হলেও ভবিষ্যতে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর এ কারণেই আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন শুধুমাত্র ঘরোয়া উপায় এবং কিছু খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেই!
আর এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভাতের চাইতে শাকসবজি এবং ফলমূল এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। কারণ ভাত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা পেয়ে থাকে।এছাড়াও চিনি জাতীয় খাবার পরিহার করুন। কারণ তিনি আমাদের মেয়াদ বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত মেদ কে নিয়ন্ত্রন করতে আপনি নিয়মিত শসা খেতে পারেন কারণ শসা আমাদের শরীরে ক্যালরির ঘাটতি তৈরি করে। শসা খেলে আমাদের শরীরে যে পরিমাণ ক্যালরি পায় তার চাইতে শসা হজম করতে বেশি পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয়ে থাকে এবং এর ফলে আপনার শরীরে শসা খাওয়ার ফলে ক্যালোরি বৃদ্ধির পরিবর্তে আরো হ্রাস পাবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভালো থাকে।এর সাথে সাথে নিয়মিত ব্যায়াম এর কারণে আমাদের শরীরের চর্বি ও কমতে শুরু করে। আর সুস্থ থাকতে এবং অতিরিক্ত মেদ কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম এর ভূমিকা অপরিসীম। প্রত্যেকদিন ব্যায়াম করার সময় না পেলেও অন্ততপক্ষে আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট করে হাঁটা উচিত।