সেই ধন্য নরকূলে লোকে যারে নাহি ভূলে,মনের মন্দিরে নিত্য সেবে সর্বজন
মূলভাব : পৃথিবীতে তারাই ধন্য, তাদের জীবনই সার্থক যারা উদার মহৎ ও পরার্থপর: যাদেরকে মানুষ সবসময় স্মরণ করে; অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভক্তি-শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
ভাব-সম্প্রসারণ : মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয়। একজন মানুষ বাঁচে পড়াশ-ষাট বা সর্বোচ্চ এক শ দশ-বিশ বছর ।তারপর কালের স্রোতে হারিয়ে যায় তার ক্ষমতা, প্রতিপত্তি আভিজাত্য-অহঙ্কার সব। এমনকি পরে তার নামটুকুও আর কারাে মুখে উচ্চারিত হয় না। কিন্তু অনেক মানুষ আছেন-যারা তারপরও টিকে থাকেন। মৃত্যুর পরও মানুষ তাদের প্রতিনিয়ত স্মরণ করে; অর থেকে ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। যেমন : ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (স)। তিনি সৎ ও মহত্ত্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত। নিজের জীবনের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে তিনি মানব জগতের মক্তি ও শান্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম সাধনা করেছেন। অধঃপিতত, বিপর্যস্ত বিশ্বমানবতাকে তিনি মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। উদারতা, ন্যায়পরায়ণতা, মহত্ত্ব, পরার্থপরতা এক কথায় এমন কোনাে মানবিক গুণাবলি নেই যা তার মধ্যে ছিল না। ফলে তার অর্ধানের প্রায় হাজার বছর পরও মানুষ তাকে সর্বক্ষণ স্মরণ করে, তাকে অনুকরণ করে। অনুরুপ প্লেটো, সক্রেটিস, এরিস্টটল তাদের জ্ঞান ও মহত্ত্বের মাধ্যমে পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন। তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। প্রকৃতপক্ষে সৎ কর্মই মানুষকে মহৎ করে তােলে এবং বাচিয়ে রাখে। মানুষের মহত্ত্বের মহামহিমাই জগতকে সুশােভিত ও সমৃদ্ধ করেছে। যার জন্য মহৎ ব্যক্তিরা কখনাে কালের স্রোতে হারিয়ে যায় না। মানবমনের মণিকোঠায় তাঁরা চিরদিন রাজা হয়ে রাজত্ব করেন। এই মানুষগুলাে পৃথিবীতে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। কবি বলেছেন-
তারা হয়ে যান সর্বযুগের, সর্বদেশের, সর্বমানবের অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয়। প্রকৃতপক্ষে এরাই হলেন জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ । কারণ মানুষ তাদেরকে প্রতিনিয়ত মনের মন্দিরে দেবতার মতাে ভক্তি-শ্রদ্ধায় অর্ঘ্য নিবেদন করে।
মন্তব্য : জীবনকে যারা মহৎ ও কর্মময় করতে পারে, জগতে ভালাে কিছু করতে পারে তাদের কখনাে মৃত্য হয় না। মানুষ সবসময় তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। আর সে জন্য তারাই জগতের শ্রেষ্ঠ মানুষ, তাদের জীবনই ধন্য।
ভাব-সম্প্রসারণ : মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয়। একজন মানুষ বাঁচে পড়াশ-ষাট বা সর্বোচ্চ এক শ দশ-বিশ বছর ।তারপর কালের স্রোতে হারিয়ে যায় তার ক্ষমতা, প্রতিপত্তি আভিজাত্য-অহঙ্কার সব। এমনকি পরে তার নামটুকুও আর কারাে মুখে উচ্চারিত হয় না। কিন্তু অনেক মানুষ আছেন-যারা তারপরও টিকে থাকেন। মৃত্যুর পরও মানুষ তাদের প্রতিনিয়ত স্মরণ করে; অর থেকে ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। যেমন : ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (স)। তিনি সৎ ও মহত্ত্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত। নিজের জীবনের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে তিনি মানব জগতের মক্তি ও শান্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম সাধনা করেছেন। অধঃপিতত, বিপর্যস্ত বিশ্বমানবতাকে তিনি মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। উদারতা, ন্যায়পরায়ণতা, মহত্ত্ব, পরার্থপরতা এক কথায় এমন কোনাে মানবিক গুণাবলি নেই যা তার মধ্যে ছিল না। ফলে তার অর্ধানের প্রায় হাজার বছর পরও মানুষ তাকে সর্বক্ষণ স্মরণ করে, তাকে অনুকরণ করে। অনুরুপ প্লেটো, সক্রেটিস, এরিস্টটল তাদের জ্ঞান ও মহত্ত্বের মাধ্যমে পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন। তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। প্রকৃতপক্ষে সৎ কর্মই মানুষকে মহৎ করে তােলে এবং বাচিয়ে রাখে। মানুষের মহত্ত্বের মহামহিমাই জগতকে সুশােভিত ও সমৃদ্ধ করেছে। যার জন্য মহৎ ব্যক্তিরা কখনাে কালের স্রোতে হারিয়ে যায় না। মানবমনের মণিকোঠায় তাঁরা চিরদিন রাজা হয়ে রাজত্ব করেন। এই মানুষগুলাে পৃথিবীতে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। কবি বলেছেন-
এমন জীবন তুমি করিবে গঠন ।
মরণে হাসিবে তুমি, কাদিবে ভুবন।
তারা হয়ে যান সর্বযুগের, সর্বদেশের, সর্বমানবের অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয়। প্রকৃতপক্ষে এরাই হলেন জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ । কারণ মানুষ তাদেরকে প্রতিনিয়ত মনের মন্দিরে দেবতার মতাে ভক্তি-শ্রদ্ধায় অর্ঘ্য নিবেদন করে।
মন্তব্য : জীবনকে যারা মহৎ ও কর্মময় করতে পারে, জগতে ভালাে কিছু করতে পারে তাদের কখনাে মৃত্য হয় না। মানুষ সবসময় তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। আর সে জন্য তারাই জগতের শ্রেষ্ঠ মানুষ, তাদের জীবনই ধন্য।