জাতীয় বৃক্ষ রােপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়ােজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর কাছে একটি পত্র

ব্যাক্তিগত পত্রঃজাতীয় বৃক্ষরােপণ সপ্তাহ পালনের প্রয়ােজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর কাছে একখানা পত্র রচনা কর।
ব্যাক্তিগত পত্র
৪১ গুলশান এভিনিউ
ঢাকা-১২১২
২০-০৩-২০১৯ ইং
প্রিয় রানা,
শুভেচ্ছা নিস। কেমন আছিস? তাের কথা খুব মনে পড়ছে, তাই লিখতে বসেছি। এখন বৃষ্টি হচ্ছে। আজ মন খুব ভালাে, কারণ আজ স্কুলে সহপাঠীরা মিলে বৃক্ষরােপণ করেছি। শাল, শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া এবং নারকেল এ পাঁচ রকমের গাছ আমরা রােপণ করেছি। ভালাে লেগেছে এই ভেবে যে দেশের আগামী প্রজন্মের জন্য কিছুটা হলেও কাজ করতে পারলাম।আসলে বৃক্ষরােপণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অথচ এ কাজটিতে আমাদের ব্যাপক অনীহা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে যে বৃক্ষরােপণ ১ সপ্তাহ শুরু হয়েছে, তার অংশ হিসেবে আজ আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করি। তুই তাে জানিস বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের বা মােট ভূখন্ডের ২৫% বনভূমি থাকা আবশ্যক। তাছাড়া গাছ নানাভাবে আমাদের উপকারে আসে। গাছের অক্সিজেন থেকে শুরু করে ফল, কাঠ, ছায়া সবই মানুষের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অথচ আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ মােট ভূখণ্ডের মাত্র ১৭%। ফলে আমাদের দেশের আবহাওয়া ইদানীং ব্যাপকভাবে বিরূপ আচরণ করছে। পর পর ২ টি বিশাল বন্যা আমাদের জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, বর্তমানে যে পরিমাণ বনভূমি আছে তা যত দিন যাচ্ছে ততই কমে চলেছে। আর এর বিরূপ ফল স্বরূপ বাংলাদেশ সমুদ্রগর্ভে বিলীন হতে পারে। এ ভয়াবহ পরিণতি থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম উপায় হলাে বৃক্ষরােপণ করা। এ কারণেই সরকার প্রতিবছর বৃক্ষরােপণ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। সরকার আশা করছে তিন
মাসব্যাপী এ অভিযানকালে প্রতিটি সক্ষম মানুষ অন্তত একটি করে গাছ লাগাবে। বস্তুত আমাদের প্রায় ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে যদি ৪.৫ কোটিকেও সক্ষম ধরি, তাহলে প্রতিবছর দেশে অন্তত সাড়ে চার কোটি গাছ বাড়তে পারে । অথচ এ গুরুত্বপূর্ণ কাজটিতে দেশের মানুষের আগ্রহ কম। তারা বুঝতে পারছে না যে, এ অবহেলা আমাদেরকে করুণ পরিণতির দিকে ধাবিত করছে। তাই আমাদের এ বিষয়ে এখনই সচেতন হওয়া উচিত। তুই কী বলিস? আশা করি তুই তাের স্কুলে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবি।
আজ আর নয়। তাের সুন্দর ও সুস্থ জীবন কামনা করে শেষ করছি। চিঠির উত্তর দিস। আল্লাহ হাফেজ।
,ইতি
তোমার বন্ধু
সবুজ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url