ভাবসম্প্রসারন যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন
ভাবসম্প্রসারন:যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই,পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।
মূলভাব : সামান্য বলে কোনােকিছুকে তুচ্ছ মনে করা ঠিক নয়। জীবনকে কাজে লাগানাে হলাে বড় কথা। পৃথিবীতে সামান্যের মধ্যেই অসামান্যের আলােকচ্ছটা নিহিত।
ভাব-সম্প্রসারণ : পরম করুণাময় আল্লাহ তা'আলা এ বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডকে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে সুশােভিত করেছেন। তন্মধ্যে অনেক উপাদান আকারে বড় আবার অনেক উপাদান আকারে খুবই ছােট। অনেক উপাদান মূল্যবান, আবার অনেক উপাদান আছে যার মূল্য কম বা মূল্যহীন বলে তুচ্ছজ্ঞান করা হয়। মানুষ সাধারণত বড় বা মূল্যবান জিনিসের প্রতি মােহাবিষ্ট হয়ে পড়ে এবং ছােট বা নগণ্য জিনিসকে তুচ্ছজ্ঞান করে অবহেলার বস্তুতে পরিণত করে। তাই ঐ সব নগণ্য বা তুচ্ছ জিনিস চিরকাল অবহেলা ও অনাদরে থেকে যায়। আসলে এটি উচিত নয়। কারণ, অনেক ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ বস্ত্র মধ্যেও অনেক মূল্যবান জিনিস লুকিয়ে থাকতে পারে। বাইরের অবয়ব বা আকৃতি প্রকৃতি দেখে কোনাে জিনিসের সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। সঠিকভাবে অনুসন্ধান ও অনুধাবন করতে পারলে অনেক তুচ্ছ ও নগণ্য জিনিসের মধ্যেও মহামূল্যবান রত্নের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। দরিদ্র সন্তানও এ বিশ্বে রেখে যেতে পারে এমন এক অবদান যা বিশ্বমানবতার পরম উপকারে আসবে, এমন নজির বিরল নয়। পৃথিবীর বহু অবহেলিত সন্তান রাজনীতি, সমাজনীতি, ধর্মনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন শাখায় অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। ঝিনুক সাধারণ বস্ত, তেমন কোনাে বিশেষ প্রয়ােজনে এটা আসে না এবং সেজন্য সযত্নে রক্ষিতও হয় না। অথচ মুক্তা জাতীয় অতি মূল্যবান রত্নটি এ ঝিনুকের মধ্যেই পাওয়া যায়। বহু অনুসন্ধান করেই বের করতে হয় এসব মূল্যবান রত্ন। এ সত্য আজকাল কারও অবিদিত নয় যে, বৈজ্ঞানিকগণ কঠোর পরিশ্রম ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অতি নগণ্য ও তুচ্ছ জিনিস থেকেও অনেক মূল্যবান বক্ত আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। সেজন্যই বলা যেতে পারে যে, তুচ্ছ ছাইয়ের মধ্যেও খোজ করলে মূল্যবান পদার্থ পাওয়া যেতে পারে। কাজেই কোনাে বস্তুকেই তুচ্ছজ্ঞান করে উপেক্ষা বা অবহেলা করা উচিত নয়।
মন্তব্য:তুচ্ছ বলে পৃথিবীতে কিছু নেই। তুচ্ছকে শ্রম দ্বারা কাজে লাগিয়ে প্রচুর ঐশ্বর্যের অধিকারী হওয়া যায়। সুতরাং অযথা সময় নষ্ট না করে সামনে যা পাওয়া যায় তা তুচ্ছ হলেও গ্রহণ করতে হবে।
ফালতু