সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার সহজ উপায় গুলো কি জানুন
সকালে ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা রয়েছে অনেক।সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগার ফলে একদিকে যেমন আমাদের শারিরীক সুস্থতা নিশ্চিত হয় তেমনি আমরা কর্মক্ষেত্রেও অনেক সুফল পাই।সকালে ঘুম থেকে জেগে আপনি আপনার সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।এবং সকালে ঘুম ভেঙেই যে কাজ করবেন তা দ্রুত শেষ হবে হবে আপনি সারাদিনে প্রচুর সময় পাবেন।যা দেরিতে ঘুম থেকে উঠে কখনোই পাবেন না।দেরিতে ঘুম থেকে উঠার কুফল রয়েছে অনেক।দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ফলে মৃত্যু ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।এবং এটি আপনাকে ক্রমশ অলস করে তুলবে।সকালে ঘুম থেকে উঠার টিপস গুলো আপনাকে অনেক দিক থেকে উপকার করবে।
ব্যাক্তি জীবনে আমরা সকলেই বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়োজিত।কারন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের কর্ম করতে হয়।কাজ না করে কেউই যেমন সুস্থ শরীর গঠন করতে পারেনা।তেমনি সাবলম্বী হওয়ার জন্যও কাজ করা প্রয়োজন।আমাদের এসকল কাজের জন্য নির্ধারিত সময় রয়েছে।যারা শিক্ষার্থী তাদের নির্ধারিত সময়ে স্কুল কলেজে যেতে হয়।আবার যে চাকুরিজীবী তাকেও নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যেতে হয়।আমরা যে যে পেশায় নিয়োজিত থাকি না কেন সকলেরই সকাল ১০টার ভিতরেই কর্মস্থলে পৌঁছাতে হয়।তবে কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আমাদের অনেক কাজ থাকে।যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়া।সকালের নাস্তা খাওয়া।অনেকের সকালে হাঁটার অভ্যাস রয়েছে তারা হাটতে বের হন।আর যদি সকালে দেরি করে ওঠা হয় তাহলে তার প্রভাব বিস্তার করে এসকল কাজের উপার।
এছাড়াও সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা রয়েছে অনেক।তাই আমাদের সকলকে সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে হবে।সকাল বেলা দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার ফলে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পায়।সকালের আবহাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভিষণ উপকারী।যা আপনি সকাল সকাল ঘুম থেকে না উঠলে কখনোই উপভোগ করতে পারবেন না।সকাল বেলার রোদে ভিটামিন ডি থাকে।তাই সকালের রোদ গায়ে লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আপনি সকাল ৬ টার ভিতরে ঘুম থেকে উঠে একটু নির্মল পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে পারেন।এর পরে সকল কাজ সেরে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিরিবিলি কাজের উদ্দেশ্যে বের হতে পারবেন।ছাত্ররা স্কুল কলেজে যাওয়ার আগে কিছুটা পড়ালেখারও সময় পায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠার উপায় রয়েছে অনেক।সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার উপায় আমাদের সকলের জানা উচিত।সকাল বেল দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে আমাদের দৈনিক রুটিনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার উপায় হিসেবে যা করতে পারেন তা হলোঃ
দেরি করে না ঘুমানোঃআমাদের প্রতিটি মানুষের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘুমানো উচিত।একটি সুস্থ সবল মানুষের দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।তাই আপনি যদি দেরি করে ঘুমাতে যান আর এই ঘুমের চাহিদা পুরন করতে চান তাহলে আপনাকে দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে হবে।এ কারনে সকাল সকাল ঘুমাতে হবে।প্রতিদিন রাত ১০ মধ্যে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত তাহলে আপনি সকলা ৬ টার ভিতরে ঘুম থেকে উঠে পড়তে পারবেন।এর জন্য রাত জেগে টেলিভিশন দেখা,ফেসবুক এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা,মোবাইল টেপাটেপি করা ইত্যাদি বন্ধ করে দিতে হবে।
মোবাইল ও টেলিভিশনের স্ক্রিনের ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের ঘুমের উপর পড়ে।তাই রাত যেগে বেশি সময় এগুলো ব্যাবহার করবেন না।এবং রাতে এগুলোর পরিমিত পরিমাণ ব্যাবহার নিশ্চিত করতে হবে।তাহলেই আপনার দ্রুত ঘুম আসবে এবং ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।
রাতে ঘুমতে যাবার আগে ঘরের পরিবেশ ঘুমের উপযোগী করে তুলুন।কারন ঘুমের স্থান যদি ঘুমের উপযোগী না হয় তাহলে সুন্দর ঘূম আসা সম্ভব নয়। এবং রাতে ভালো ঘুম না হলে কখনোই সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না।তাই ঘুম কে পূর্ণ করতে রাতে ঘুমের ঘরের লাইট বন্ধ করে নিন।তাহলে ভালভাবে ঘুমাতে পারবেন।
সকালে ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে বিছানা ছেড়ে উঠুন। কারন আমরা অনেকেই ঘুম থেকে উঠে আলস্য করে বিছানা ছেড়ে উঠি না।তাই আলস্য করে বিছানা ছেড়ে না ওঠার কারনে আমরা দিন দিন আলসে হয়ে পড়ি।এবং ঘুম থেকে দেরি করে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলি।যা পরিত্যাগ করার ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে বিছানা ছেড়ে উঠুন।
সকালে চোখে ঘুম লেগে থাকলে কফি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।কফি আমাদের ঘুম দুর করে।কিন্তু দুপুর বা বিকালের পড়ে কফি পান করা পরিহার করুন।কারন বিকালে কফি পান করলে রাতে ঘুম আসতে দেরি হয়।
প্রতিদিন দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে এবং আগে-ভাগে ঘুমাতে না পারলে প্রতিদিন একটি নিয়ম করুন।প্রতিদিন ১৫ মিনিট আগে ঘুমান এবং ১৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে উঠুন।তাহলে ক্রমশ সময় টা বদলাতে থাকলে আপনি একসময় সঠিক সময় ঘুমানো এবং সকাল সকাল উঠতে পারবেন।
প্রতিদিন সকালে করতে হবে এমন কাজের রুটিন করুন।তাহলে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অনুপ্রেরণা তৈরি হবে এবং উঠতে পারবেন।
ঘুম থেকে ওঠানোর দায়িত্ব পরিবারের অন্য কারো হাতে দিন।এবং সকালে ডেকে দিতে বলুন।তাহলে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন।এবং প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও হাল ছাড়বেন না তাহলেই সফল হবেন।