গরমে সুস্থ থাকার গুরুত্বপূর্ণ ৫ টিপস

প্রচন্ড শীতের রেশ কাটতে না কাটতেই চলে এসেছে গরম।এই মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ জ্বর, সর্দি, কাশির মত বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।এছাড় গরমের কারনে ডিহাইড্রোশন,হিট স্ট্রোক, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।একারনে গরমে সুস্থ থাকার উপায় গুলো আমাদের সকলের জানা উচিত।জানতে হবে গরমে সুস্থ থাকতে আমাদের কি করণীয়।এবং গরমে সুস্থ থাকতে যা খাবেন বা খাবেন না।আসুন জেনে নেই গরমে সুস্থ থাকার উপায় কি!

গরমে সুস্থ থাকতে আমাদের দৈনিক লাইফস্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন সাধন করা দরকার।এছাড়াও পরিবর্তন করতে হবে দৈনি খাদ্যভ্যাস কতগুলো খাবার আছে যা গরমে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অনেক জটিল সমস্যা সৃষ্টি করে।আবার একই ভাবে কতগুলো খাবার আমাদের গরমে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।এরকম কয়েটি উপায় জেনে নেই!

১:পোশাক পরিচ্ছদে পরিবর্তন আনুন : মৌসুম ভিত্তিক আমাদের পোশাক পরিচ্ছদ ও পরিবর্তন হয়।যেমন শীতে আমরা এর প্রকোপ থেকে বাচতে মোটা কাপড়ের পোশাক পরেছি,শীতের পোশাক পরেছি।কিন্তু গরমে কেউ এ ধরনের পোশাক পরবে না।তাই গরমে আস্থা  রাখুন ঢিলেঢালা ও পাতলা পোশাকের উপর।এর ফলে শরীর বাতাশের সংস্পর্শে আসে।এতে করে গরমের তিব্রতা থেকে সামান্য হলেও রক্ষা পাবো।টাইটফিট পোশাক পরিহার করতে হবে।টাইট পোশাক গুলো বাতাশ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে। 

২:প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন- পানির অপর নাম জীবন। হোক গরম বা শীত সকল মৌসুমেই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। পানি আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তবে স্বভাবতই আমরা গরমের তুলনা শীতে পানি কম পান করে থাকি।কিন্তু গরমে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা উচিত। কারন ঘামের সাথে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়। তাই শরীরে পারিনা ঘাটতি বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। তবে তা কখনোই একবারে নয়।একবারে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলে শরীরে অস্বস্তি বোধ হতে পারে।কিছু সময় পরপর অল্প অল্প পানি পান করুন।এবং বাইরে কোথাও বের হলে সাথে পানির বোতল রাখুন।

৩:খাদ্য তালিকায় শাকসবজি পরিমান বেশি রাখুন - গরমের সময় শীতের চাইতে মাছ মাংস জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত। এর পরিবর্তে শাক সবজির পরিমাণ বাড়াতে পারেন।এবং মাছ মাংস খাওয়া পরিমিত করুন।কারন এগুলো গরমে পরিপাক হতে সময় নেয় এবং অস্বস্তি তৈরি করে। এছাড়া এমনিতেই অতিরিক্ত প্রানিজ আমিষ গ্রহণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। 

৪:চা-কফি ও ক্যাফেইন যুক্ত খাবার পরিহার করুন- চা কফি বা ক্যাফেইন যুক্ত খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের এনার্জি ড্রিংকস।ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। প্রচুর পরিমাণ গরমে এসকল কোমল পানিয় প্রচুর পরিমাণ ক্ষতি সাধন করে।


৫:ডাব এবং শরবত জাতীয় খাবার খান- ডাব আমাদের শরিরের জন্য প্রচুব পরিমানে উপকারী একটি উপাদান।ডাবের পানিতে রয়ছে আমাদের শরিরের জন্য প্রচুর পরিমাণ উপকারী উপাদান।এছাড়াও গরমে আমাদের শরিরের প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। ডাবের পানি এর ঘাটতি পুরন করে।ডাবে পানির পাশাপাশি বেলের শরবত, স্যালাইন ইত্যাদি খেতে পারেন।রাস্তার পাশের খোলা অবস্থায় তৈরি শরবত  এবং বিভিন্ন পানিয় পরিহার করুন।কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসকল পানিয় তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। তাই এগুলোর দ্বারা ডায়রিয়া ইত্যাদির মত অসুখের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। 

উপরোক্ত টিপস গুলো মেনে চললে আমরা গরমের বিভিন্ন সমস্যা হতে রেহাই পাবো।এবং গরমের অসহ্য ভোগান্তি হতে কিছুটা হলেও রেহাই মিলবে!
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url