পৃথিবীর অমিমাংসিত ৫টি রহস্য যার সমাধান কেউ দিতে পারেনি
এই বিশ্বে প্রতিনিয়তই ঘটে যাচ্ছে কতশত রহস্যময় ঘটনা।
কিছু রহস্যের সমাধান হয়ে যায় কিছুদিনের মধ্যেই আর কিছু রহস্য টিকে থাকে যুগ যুগ ধরে। মানুষ স্বভাবতই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছে সব রহস্যের সমাধান করতে। কালান্তরে টিকে থাকা এসব রহস্যময় স্থান আর বস্তুর মাঝে মানুষ খুঁজে ফেরে অজানা ঐতিহাসিক ঘটনা। আজ আপনাদের জানাব পৃথিবীর ৫ টি অমীমাংসিত রহস্যময় ঘটনার গল্প যা হয়তো আপনারা এর আগে কখনও শোনেন নি তবে চলুন শুরু করা যাক।
রহস্যময় ৫টি ঘটনা |
জিন হিলার্ড (Jean Hilliard frozen)
Forzen চলচিত্রের এলসা ও আন্নাকে নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। এলসার কারণে জমে যাওয়া আন্নাকে পরবর্তীতে জাগিয়ে তোলা হয়। এবার বাস্তবের আন্নার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।তার নাম জিন হিলিয়ার্ড। ঘটনাটা ১৯৮০ সালের ২০ ডিসেম্বর। অই দিন জিন যুক্তরাষ্ট্রের Lengby Minnesota থেকে গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ তার গাড়ির চাকা তুষার পড়া বরফের রাস্তায় পিছলে যায় এবং ছোট একটি এক্সিডেন্ট করে। সে গাড়ি চালাতে না পেরে গাড়ি থেকে নেমে যায় এবং ভাবেন কাছাকাছি এক বন্ধুর বাড়িতে যাবেন। যেতে গিয়ে বুঝতে পারলেন তিনি যতটুকু ভেবেছিলেন তার থেকেও দূরে তার বন্ধুর বাসা। আস্তে আস্তে তিনি ক্লান্ত হয়ে পরছিলেন এবং তার পা দুটো অসার হয়ে পড়ছিলো। কিছুক্ষন পর তিনি আর সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যায়। বাড়ির লোকেরা যখন তাকে খুজে পায় তখন তিনি অচেতন অবস্থায় ৬ ঘণ্টা তুষার পরা রাস্তায় পরে ছিলেন। সেসময় তাপমাত্রা ছিল -২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবাই ভেবেছিলেন তার বাঁচার কোনো আশংকাই নেই। বরফে থাকতে থাকতে তার স্কিন এতটাই শক্ত হয়ে গিয়েছিল যে ডাক্তাররা ইঞ্জেকশন দিতে পারছিল না । সবাই ভেবেছিলেন জিন মারা গেছে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে তিনদিন পরে তিনি হাত পা নারাতে শুরু করে সে। ছয় সপ্তাহ পরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সবার চোখের সামনে দিয়েই দিব্যি বাড়ি চলে যায় জিন।কিভাবে তিনি বেঁচে রইলেন তা সকলের কাছে আজও রহস্যাবৃত বিষয়।
চেঙ্গিস খান মৃত্যু রহস্য (The mystery of Genghis Khan's death )
বৃষ্টি মানব (don decker rain)
ঘটনাটি ১৯৮৩ সালের। আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার স্ট্রাউডসবার্গ নিবাসী ডন ডেকারের দাদা সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান শেষে জন ডেকার বাড়ি ফিরে আসেন। তার বাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ছাদ ও দেয়াল বেয়ে পানি পড়তে থাকে। অথচ তাদের বাড়ির কোনো পানির পাইপ ভাঙ্গা ছিল না এবং দেয়ালের সাথেও কোনো পাইপ ছিল না।
📎কোডেক্স গিগাস রহস্য
তখন ডন ডেকারের বন্ধু পুলিশকে ফোন করে এবং পুলিশের সহায়তায় ডন ডেকারকে বাড়ি থেকে বের করে কাছের একটি পিৎজা রেষ্টুরেন্টে নিয়ে যায়। তার বন্ধু এবং পুলিশ তখন আরো অবাক হয় এটি দেখে যে ডন রেষ্টুরেন্টের ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সেখানকার ছাদ এবং দেয়াল বেয়ও পানি পড়তে থাকে। আজ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী এই ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
📎কোডেক্স গিগাস রহস্য
তখন ডন ডেকারের বন্ধু পুলিশকে ফোন করে এবং পুলিশের সহায়তায় ডন ডেকারকে বাড়ি থেকে বের করে কাছের একটি পিৎজা রেষ্টুরেন্টে নিয়ে যায়। তার বন্ধু এবং পুলিশ তখন আরো অবাক হয় এটি দেখে যে ডন রেষ্টুরেন্টের ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সেখানকার ছাদ এবং দেয়াল বেয়ও পানি পড়তে থাকে। আজ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী এই ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
নাচের মহামারী রহস্য ( The epidemic mystery of dance )
ঘটনাটি ১৫১৮ সালের জুলাই মাসের। ক্রোফিয়া নামক এক মহিলা হঠাৎ করে নাচতে শুরু করে। সারাদিন পেরোলেও তিনি নাচতেই থাকেন। এক সপ্তাহ পর তার সাথে নাচতে শুরু করে আরও ৩৪ জন মানুষ। একমাস পর আরও শত শত মানুষ তাদের সাথে যোগ দিল। এর মধ্যে অনেক মানুষ ক্লান্তি ও হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যায়। কী কারণে তারা এই রকম অস্বাভাবিকভাবে নাচতে শুরু করেছিলেন তার যথাযথ ব্যাখ্যা বিজ্ঞানও দিতে পারেনি।