মহাকাশ অভিযানে (Space Exploration) আইসিটির ভূমিকা
আকাশে দৃশ্যমান বস্তুগুলাে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার সূচনা ঠিক কবে ঘটেছিল তা সঠিক করে বলা যাবে না। তবে ১৬৮৭ সালের ৫ জুলাই স্যার আইজাক নিটউন তার Mathematical Principles of Natural Philosophy গ্রন্থে সর্বজনীন মহাকাশ তত্ত্বের বক্তব্য সর্বপ্রথম প্রকাশ করেন। বিংশ শতাব্দীতে তরল জ্বালানির মাধ্যমে রকেট ইঞ্জিন নির্মিত হওয়ার পূর্বে মহাকাশ অভিযান সম্ভব হয়নি।
মহাকাশযাত্রা ব্যবহারিক মাত্রা পেয়েছে রকেট ইঞ্জিন আবিষ্কার হওয়ার পর। জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে বহির্বিশ্বে অভিযান পরিচালনার নাম মহাকাশ অভিযান। মহাকাশ অভিযানের জন্য ব্যবহৃত নভােযানগুলােতে মানুষ থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। মনুষ্যবাহী নভােযানের তুলনায় রােবটিকস নভােযানের সংখ্যা অনেক বেশি। ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর সােভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম স্পুতনিক-১ নামে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে যার মাধ্যমে মহাকাশ হতে প্রথমবারের মতাে সংকেত পাওয়া সম্ভব হয়।
☑ ক্রোয়োসার্জারি সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন!
দীর্ঘ পথপরিক্রমায় ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর নাসা কিউরিওসিটি রােভারটি মঙ্গল গ্রহে প্রেরণ করে। এ যানটি তৈরি করতে খরচ হয় ২.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ওজন ছিল ২০০০ পাউন্ড, পৃথিবী হতে মঙ্গলে যেতে সময় লেগেছে প্রায় ১ বছর, শক্তির জন্য ব্যবহার করছে রেডিওআইসােটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মানুষ জন্মের পর থেকে প্রকৃতিগত ভাবে কৌতূহলপ্রবণ। চাহিদা মেটাতে পৃথিবীর বাইরে তথা মহাশূন্যে বর্তমানে অতিমাত্রায় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে তা নিম্নরূপ :
জৈবিক-
১. জৈব কার্বন যৌগের প্রকৃতি এবং তালিকা নির্ধারণ করা,
২. জীবনের রাসায়নিক বিল্ডিং ব্লক অনুসন্ধান করা (কার্বন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি),
৩. বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা যা জৈবিক প্রক্রিয়ার প্রভাবকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে ।
ভূ-রসায়ন-
১. গ্রহের রাসায়নিক, আইসােটোপিক এবং খনিজ উপাদানগুলাের অনুসন্ধান করা,
২. শিলা ও মাটির গঠন ও পরিবর্তন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা।
গ্রহ প্রক্রিয়া-
১. চার বিলিয়ন বছর ধরে সৌরবলয়ের গ্রহ গুলােতে যে বায়ুমণ্ডলীয় বিবর্তন হচ্ছে তার প্রক্রিয়া মূল্যায়ন।
২. পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড চক্র, বিভাজন ও বর্তমান অবস্থা নির্ধারণ করা।
সারফেস বিকিরণ- ছায়াপথ, মহাজাগতিক বিকিরণসহ পৃষ্ঠ বিকিরণের বিস্তৃত বর্ণালি প্রভেদ করা।
মহাকাশযাত্রা ব্যবহারিক মাত্রা পেয়েছে রকেট ইঞ্জিন আবিষ্কার হওয়ার পর। জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে বহির্বিশ্বে অভিযান পরিচালনার নাম মহাকাশ অভিযান। মহাকাশ অভিযানের জন্য ব্যবহৃত নভােযানগুলােতে মানুষ থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। মনুষ্যবাহী নভােযানের তুলনায় রােবটিকস নভােযানের সংখ্যা অনেক বেশি। ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর সােভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম স্পুতনিক-১ নামে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে যার মাধ্যমে মহাকাশ হতে প্রথমবারের মতাে সংকেত পাওয়া সম্ভব হয়।
☑ ক্রোয়োসার্জারি সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন!
দীর্ঘ পথপরিক্রমায় ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর নাসা কিউরিওসিটি রােভারটি মঙ্গল গ্রহে প্রেরণ করে। এ যানটি তৈরি করতে খরচ হয় ২.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার, ওজন ছিল ২০০০ পাউন্ড, পৃথিবী হতে মঙ্গলে যেতে সময় লেগেছে প্রায় ১ বছর, শক্তির জন্য ব্যবহার করছে রেডিওআইসােটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মানুষ জন্মের পর থেকে প্রকৃতিগত ভাবে কৌতূহলপ্রবণ। চাহিদা মেটাতে পৃথিবীর বাইরে তথা মহাশূন্যে বর্তমানে অতিমাত্রায় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে তা নিম্নরূপ :
জৈবিক-
১. জৈব কার্বন যৌগের প্রকৃতি এবং তালিকা নির্ধারণ করা,
২. জীবনের রাসায়নিক বিল্ডিং ব্লক অনুসন্ধান করা (কার্বন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি),
৩. বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা যা জৈবিক প্রক্রিয়ার প্রভাবকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে ।
ভূ-রসায়ন-
১. গ্রহের রাসায়নিক, আইসােটোপিক এবং খনিজ উপাদানগুলাের অনুসন্ধান করা,
২. শিলা ও মাটির গঠন ও পরিবর্তন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা।
গ্রহ প্রক্রিয়া-
১. চার বিলিয়ন বছর ধরে সৌরবলয়ের গ্রহ গুলােতে যে বায়ুমণ্ডলীয় বিবর্তন হচ্ছে তার প্রক্রিয়া মূল্যায়ন।
২. পানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড চক্র, বিভাজন ও বর্তমান অবস্থা নির্ধারণ করা।
সারফেস বিকিরণ- ছায়াপথ, মহাজাগতিক বিকিরণসহ পৃষ্ঠ বিকিরণের বিস্তৃত বর্ণালি প্রভেদ করা।