রহস্য এবং রোমাঞ্চ ঘেরা নেইত্রন হ্রদ কি আছে এখানে?
রহস্যে ঘেরা পৃথিবী-তে রয়েছে হাজারো অজানা রহস্য ও গল্প। রহস্যময় ঘটনা জানতে আমাদের সকলেরই ভালো লাগে। এ কারনে আমরা জানতে চালছি রহস্য ঘেরা নেইত্রন হ্রদের গল্প। এটা যদিও গল্প বললে ভূল হবে কারন এটি সম্পূর্ণ সত্যি।
বিপুল সৌন্দর্য এবং রহস্যময় আমাদের এই পৃথিবী। এই পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে রহস্য। যখন থেকে মানব সভ্যতা তার যাত্রা শুরু করেছে তখন থেকেই এই পৃথিবীর অমিমাংসিত রহস্যময় স্থান গুলো মানুষকে বার বার আকর্ষণ করেছে। তাই তো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বার বার ছুটে গেছে অমিমাংসিত রহস্যের পানে।
আজকে আমরা তেমনই এক জায়গায় কথা বলব যেখানে মৃত্যু এবং সৌন্দর্য একসাথে বাস করে। "নেত্রন হ্রদ" হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর সুন্দর জলাশয়। হ্রদ বললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্বচ্ছ সুন্দর জলপ্রবাহ । যেখানে ডুব দিলে শরীর মন শীতল হয়ে যাবে কিন্তু এমন ও কিছু হ্রদ আছে যেখানে আপনি ডুব দিলে আপনার শরীর শীতল হওয়া তো দূরে থাক, আপনি সরাসরি মিশরের মমিতে রূপান্তরিত হবেন। শুনতে অবাক লাগলেও নেত্রন হ্রদ হল সেই ধরনের ভয়ঙ্কর সুন্দর হ্রদ।
৫৭কিমি দৈর্ঘ্য, 22 কিমি প্রস্থ এবং ৯.৮ কিমি গভীরতার এই লেকটির অবস্থান দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার আরুসা অন্ঞ্চলে। পৃথিবীর বহু বিখ্যাত ছবি যেগুলো সারা পৃথিবীতে সাড়া ফেলেছিল সেগুলো এই অন্ঞ্চলেই তোলা হয়েছিল। একে "প্রাকৃতিক মমির কারখানা" বলে আখ্যায়িত করা হয়, কারন এই হ্রদে কোনো পশু, পাখি বা মানুষ কিছু সময় ধরে ডুবে থাকলে জীবন্ত মমিতে পরিনত হয়। কেন এমন হচ্ছে? অন্যান্য সুন্দর এই হ্রদের ভয়াবহতার পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে এর পিছনে? শুরু হয় গবেষণা।
জানা যায় , হ্রদটির পাশেই "ওল দন্নো লেঙ্গাই" নামক একটি বিরল প্রকৃতির আগ্নেয়গিরি রয়েছে। আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় এবং এটি " সোডিয়াম কার্বনেট ও পটাশিয়াম কার্বনেট" সমৃদ্ধ লাভা উদগিরন করে। এদের সংমিশ্রণকে একত্রে " ন্যাট্রকার্বনাটাইট" বা "নেট্রন" বলা হয়, আর এটিই ছিল প্রাচীন কালে মমি তৈরির প্রধান উপাদান। এছাড়াও "এওয়াসা নায়াগ্রা" নদীর জল এবং আশেপাশের বেশ কয়েকটি উষ্ণ প্রস্ব্রবনের জল এই হ্রদে এসে মেশে ।যার ফলে এই হ্রদের জল বিভিন্ন খনিজ পদার্থের সমৃদ্ধ। এই হ্রদ এতই ক্ষারীয় যে এর pH এর মাত্রা ১০.৫ এর উপরে। এই হ্রদের জলে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর পরিমাণ খুবই কম।
কেউ যদি এই পানিতে লাফিয়ে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে উঠে যায় তবে তার কোনো সমস্যা হয় না। তবে কেউ যদি বেশিক্ষণ ধরে অবস্থান করে তাহলে পায়ের চামড়া শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে পানি শূন্য হয়ে পাথরের মত শক্ত হয়ে যায়। ন্যট্রনের একটি বিশেষ দিক হল এটি একটি "উত্তম সংরক্ষক"। যার ফলে এখানে মৃত পশু পাখির দেহ দীর্ঘদিন ধরে অবিকৃত অবস্থায় থাকে।
মজার বিষয় হল পাখিদের এক বিশেষ প্রজাতি "ফ্লেমিঙ্গো " এখানে অবাধে ঘুরে বেড়ায় ,এমনকি এই হ্রদের জল ও তারা পান করে থাকে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে কী এমন বিশেষত্বআছে "ফ্লেমিংগো " পাখিদের যার ফলে এদের এই পানিতে কোনো সমস্যা হয় না? এর উত্তর হল, " ফ্লেমিংগো" পাখিদের নাকে এক বিশেষ গ্রন্থি থাকে। যার ফলে এরা পানি থেকে "ন্যাট্রন" আলাদা করতে পারে।এদের শক্তিশালী পাকস্থলী হ্রদের দূষিত পদার্থ হজম করতে সক্ষম। এদের পা বিশেষ আশ যুক্ত তাই এরা দীর্ঘক্ষণ পানিতে থাকতে পারে।
যদি কখনো সময় পান ঘুরে আসবেন এই অপরূপ জলাভূমিতে। দেখতে পাবেন মৃত্যু এবং সৌন্দর্য কীভাবে একসঙ্গে বাস করছে সেখানে। উপভোগ করতে পারবেন ফ্লেমিঙ্গোদের কোলাহল। তবে সাবধান, জলে নামবেন না।
আজকে আমরা তেমনই এক জায়গায় কথা বলব যেখানে মৃত্যু এবং সৌন্দর্য একসাথে বাস করে। "নেত্রন হ্রদ" হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর সুন্দর জলাশয়। হ্রদ বললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্বচ্ছ সুন্দর জলপ্রবাহ । যেখানে ডুব দিলে শরীর মন শীতল হয়ে যাবে কিন্তু এমন ও কিছু হ্রদ আছে যেখানে আপনি ডুব দিলে আপনার শরীর শীতল হওয়া তো দূরে থাক, আপনি সরাসরি মিশরের মমিতে রূপান্তরিত হবেন। শুনতে অবাক লাগলেও নেত্রন হ্রদ হল সেই ধরনের ভয়ঙ্কর সুন্দর হ্রদ।
জানা যায় , হ্রদটির পাশেই "ওল দন্নো লেঙ্গাই" নামক একটি বিরল প্রকৃতির আগ্নেয়গিরি রয়েছে। আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় এবং এটি " সোডিয়াম কার্বনেট ও পটাশিয়াম কার্বনেট" সমৃদ্ধ লাভা উদগিরন করে। এদের সংমিশ্রণকে একত্রে " ন্যাট্রকার্বনাটাইট" বা "নেট্রন" বলা হয়, আর এটিই ছিল প্রাচীন কালে মমি তৈরির প্রধান উপাদান। এছাড়াও "এওয়াসা নায়াগ্রা" নদীর জল এবং আশেপাশের বেশ কয়েকটি উষ্ণ প্রস্ব্রবনের জল এই হ্রদে এসে মেশে ।যার ফলে এই হ্রদের জল বিভিন্ন খনিজ পদার্থের সমৃদ্ধ। এই হ্রদ এতই ক্ষারীয় যে এর pH এর মাত্রা ১০.৫ এর উপরে। এই হ্রদের জলে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর পরিমাণ খুবই কম।
কেউ যদি এই পানিতে লাফিয়ে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে উঠে যায় তবে তার কোনো সমস্যা হয় না। তবে কেউ যদি বেশিক্ষণ ধরে অবস্থান করে তাহলে পায়ের চামড়া শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে পানি শূন্য হয়ে পাথরের মত শক্ত হয়ে যায়। ন্যট্রনের একটি বিশেষ দিক হল এটি একটি "উত্তম সংরক্ষক"। যার ফলে এখানে মৃত পশু পাখির দেহ দীর্ঘদিন ধরে অবিকৃত অবস্থায় থাকে।