পৃথিবীর সেরা ৫টি ভয়ঙ্কর ও আশ্চর্য ভূতুরে জায়গা
পৃথিবীর সেরা পাঁচটি ভুতুরে স্থান- "ভূত বা অশরীরী " নাম টা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হরর সিনেমার এক বিভৎস লাশের চিত্র। ভূত আছে নাকি নেই? এই প্রশ্নটি পৃথিবীর অমিমাংসিত রহস্যময় প্রশ্ন গুলোর একটি। অনেকে বলেন আছে , অনেকে বলে নেই। এই পৃথিবীতে এমন কিছু রহস্যময় স্থান রয়েছে যেগুলোকে ভুতুড়ে বলে দাবি করা হয়। এমনকি অনেকে ওই সব জায়গায় ভুত দেখেছেন বলেও দাবি করে থাকেন। ভূতের আনাগোনা আছে কি নেই এটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ,ওই সব স্থান গুলো ইতিমধ্যে ভৌতিক স্থান বলে খ্যাতি পেয়ে গেছে। চলুন দেখে আসি ভৌতিক খ্যাতি পেয়েছে পৃথিবীর এমন ৫টি রহস্যময় ভূতুরে স্থান।
ভানগড় দূর্গ বা কেল্লা ভারতের অন্যতম বিখ্যাত ভৌতিক স্থান। অনেক ঘোষ্ট হান্টার একাধিক বার এখানে তাদের অভিযান চালিয়েছে। কথিত আছে প্রাচীন কালে এটি একটি রাজার দূর্গ ছিল। ভানগড়ের রাজকন্যার রুপে মোহিত হয়ে এক তান্ত্রিক রাজকন্যাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু রাজকন্যা তাকে প্রত্যাখান করে। এরপর রাজকন্যাকে বশীকরণের জন্য তান্ত্রিক কৌশলে একটি তেল রাজকন্যার ব্যবহারের জন্য পাঠায়। কিন্তু রাজকন্যা সেটি বুঝতে পেরে তেলটি ফেলে দেয়। এতে তান্ত্রিক ভীষন ক্ষিপ্ত হয় এবং অভিশাপ দেয় এই অন্ঞ্চলের মানুষ কখনোই সুখে থাকতে পারবে না। এরপরই এই অন্ঞ্চলে মোগলরা আক্রমণ করে এবং রাজকন্যা সহ প্রায় ১০,০০০ মানুষ কে হত্যা করে। ধারনা করা হয় এটি এই তান্ত্রিকের অভিশাপের ফল। এই প্রাসাদটিতে সন্ধ্যার পর আর কাউকে ঢুকতে দেয়া হয় না।
ঐতিহ্যবাহী এই টাওয়ার অফ লন্ডন কে ঘিরে ও কথিত রয়েছে নানা ভৌতিক কাহিনী। কথিত আছে টাওয়ার অফ লন্ডন এর এক রক্ষী মি. সুইঘন্ট ও তার স্ত্রী রাতের বেলা তাদের ঘরে ডিনার করছিলেন। হঠাৎ সুইঘন্টের স্ত্রী তাদের ঘরের ছাদের নিচে অদ্ভুত ভাসমান এক মানুষের অবয়ব দেখতে পান। সুইঘন্টের স্ত্রী ভয় পেয়ে চেঁচামেচি শুরু করলে লন্ডনের অন্য রক্ষীরা ও চলে আসে। কিন্তু অবাক বিষয় হল এই ছায়াময় অবয়বটি শুধুমাত্র সুইঘন্টের স্ত্রী ই দেখতে পেয়েছিলেন। টাওয়ার অফ লন্ডনের একটি বিশেষত্ব হল এর জানালা দিয়ে গ্রিন টাওয়ারের ফাঁসির মন্ঞ্চ টি দেখা যায়। এখানেই রানী অ্যান বলিন কে হত্যা করা হয়। অ্যান বলিন হল রাজা অষ্টম হেনরির দ্বিতীয় স্ত্রী যাকে পুত্র সন্তান জন্ম না দিতে পারায় ব্যভিচারের মিথ্যে অভিযোগ এ হত্যা করা হয়। এই অ্যান বলিন এর আত্মাকে বিভিন্ন সময় টাওয়ার অফ লন্ডনের দেখা গেছে বলে অনেকে দাবি করে থাকেন। কথিত আছে কার্ল লোডি মারা যাওয়ার আগের দিন সবাই অ্যান বলিন কে দেখেছিল। তিনি ঠান্ডা হাওয়ার ঝলকের সাথে সাদা সিল্কের পোশাক এবং সাদা স্কার্ফ গায়ে হেটে যান এবং ৬ফুট চওড়া দেওয়ালে অদৃশ্য হয়ে যান।
হইয়া বাছিউ জঙ্গল, রোমানিয়া (Hoia Baciu, Romania)
সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞান নানা রহস্যকে মানুষের সামনে উন্মোচন করলেও এখন পর্য্ন্ত অনেক বিষয় আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গিয়েছে। আজও পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে এমন কিছু স্থান রয়েছে যেখানকার ঘিরে থাকা রহস্যকে আমরা ব্যাখ্যা করতে পারিনি।এমনই একটা জায়গা হল "হইয়া বেছিও "। রহস্যময় ভৌতিক জঙ্গল" হইয়া বাছিউ "এর অবস্থান রোমানিয়ার ট্রান্সিলভানিয়ার ক্লাজ নাপকা শহরের কাছে। বলা হয়ে থাকে একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত রোমানিয়ার এই জঙ্গলটি বিশ্বের কাছে অপরিচিত থেকে গিয়েছিল। ১৯৬০ সালে জীববিজ্ঞান বিজ্ঞানী আলেকজান্ড্রু এই জঙ্গলের আকাশে রহস্যময় কিছু চাকতির ছবি তোলেন। পরবর্তীতে আরো এক বিজ্ঞানী এমন কিছু চাকতির তোলেন এবং এটি অ্যালিয়েন প্রযুক্তি বলে গুন্জ্ঞন ওঠে এবং বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। তবে এখানকার অধিবাসীদের কাছে তা অনেক আগে থেকেই কুখ্যাত ভৌতিক জঙ্গল হিসেবে পরিচিত ছিল। এমনকি আজও পর্যন্ত সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে এ জঙ্গলটি নিয়ে নানা ভৌতিক উপকথা প্রচলিত। এসব ভৌতিক উপকথার কারণে জঙ্গলটির আশেপাশেও আজও পর্যন্ত লোকালয় বা আবাসস্থল গড়ে ওঠেনি। স্থানীয়রা খুব বেশি সেদিকে যাতায়াত করেন না বললেই চলে। পর্যটকদের মতে এই জঙ্গলে ভয়ঙ্কর নীরবতা কাজ করে। অনেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে কাটিয়ে কোনো প্রাণীর দেখা ও পান না। এখানের গাছ গুলো ও অদ্ভুত রকমের। দেখলে মনে হবে যেন এরা এই পৃথিবীর বাসিন্দা নয়। এই জঙ্গল নিয়ে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত দুটি ঘটনা আছে। প্রথমটি হল, এক রাখাল তার ২০০ টি ভেড়া নিয়ে এই জঙ্গলে প্রবেশ করে আর ফিরে আসে নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও রাখাল বা ভেড়াগুলোর কোনো অস্তিত্ব বা মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে একটি ছোট মেয়ে কে ঘিরে। একটি ছোট মেয়ে এই জঙ্গলে হারিয়ে যায়। অনেক খুঁজে ও থাকে পাওয়া যায় না। অবিশ্বাস্য ভাবে পাঁচ বছর পর মেয়েটি ফিরে আসে। এই পাঁচ বছরে তার বয়স ও বাড়ে নি এমনকি তার পরনের জামা ও বদলায়নি। এরকম আরো বহু ভৌতিক ঘটনার সাক্ষী এই "হইয়া বেছিও" জঙ্গল।
সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞান নানা রহস্যকে মানুষের সামনে উন্মোচন করলেও এখন পর্য্ন্ত অনেক বিষয় আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গিয়েছে। আজও পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে এমন কিছু স্থান রয়েছে যেখানকার ঘিরে থাকা রহস্যকে আমরা ব্যাখ্যা করতে পারিনি।এমনই একটা জায়গা হল "হইয়া বেছিও "। রহস্যময় ভৌতিক জঙ্গল" হইয়া বাছিউ "এর অবস্থান রোমানিয়ার ট্রান্সিলভানিয়ার ক্লাজ নাপকা শহরের কাছে। বলা হয়ে থাকে একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত রোমানিয়ার এই জঙ্গলটি বিশ্বের কাছে অপরিচিত থেকে গিয়েছিল। ১৯৬০ সালে জীববিজ্ঞান বিজ্ঞানী আলেকজান্ড্রু এই জঙ্গলের আকাশে রহস্যময় কিছু চাকতির ছবি তোলেন। পরবর্তীতে আরো এক বিজ্ঞানী এমন কিছু চাকতির তোলেন এবং এটি অ্যালিয়েন প্রযুক্তি বলে গুন্জ্ঞন ওঠে এবং বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। তবে এখানকার অধিবাসীদের কাছে তা অনেক আগে থেকেই কুখ্যাত ভৌতিক জঙ্গল হিসেবে পরিচিত ছিল। এমনকি আজও পর্যন্ত সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে এ জঙ্গলটি নিয়ে নানা ভৌতিক উপকথা প্রচলিত। এসব ভৌতিক উপকথার কারণে জঙ্গলটির আশেপাশেও আজও পর্যন্ত লোকালয় বা আবাসস্থল গড়ে ওঠেনি। স্থানীয়রা খুব বেশি সেদিকে যাতায়াত করেন না বললেই চলে। পর্যটকদের মতে এই জঙ্গলে ভয়ঙ্কর নীরবতা কাজ করে। অনেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে কাটিয়ে কোনো প্রাণীর দেখা ও পান না। এখানের গাছ গুলো ও অদ্ভুত রকমের। দেখলে মনে হবে যেন এরা এই পৃথিবীর বাসিন্দা নয়। এই জঙ্গল নিয়ে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত দুটি ঘটনা আছে। প্রথমটি হল, এক রাখাল তার ২০০ টি ভেড়া নিয়ে এই জঙ্গলে প্রবেশ করে আর ফিরে আসে নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও রাখাল বা ভেড়াগুলোর কোনো অস্তিত্ব বা মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে একটি ছোট মেয়ে কে ঘিরে। একটি ছোট মেয়ে এই জঙ্গলে হারিয়ে যায়। অনেক খুঁজে ও থাকে পাওয়া যায় না। অবিশ্বাস্য ভাবে পাঁচ বছর পর মেয়েটি ফিরে আসে। এই পাঁচ বছরে তার বয়স ও বাড়ে নি এমনকি তার পরনের জামা ও বদলায়নি। এরকম আরো বহু ভৌতিক ঘটনার সাক্ষী এই "হইয়া বেছিও" জঙ্গল।
বিশ্বের সব ভূতুড়ে হোটেলের তালিকায় বার বার যে হোটেলের নাম শীর্ষে উঠে আসে সেটি হল, যুক্তরাষ্ট্রের "স্ট্যানলি হোটেল"। ১৯০৯ সালে এই হোটেলটি নির্মাণ করা হয়। হোটেলটি যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো রাজ্যের এস্টেস পার্ক শহরে অবস্থিত। কথিত আছে যে, স্ট্যানলি হোটেলের মালিকের স্ত্রী ফ্লোরা স্ট্যানলির ভূত এই হোটেলের বিভিন্ন কামরায় হেঁটে বেড়ায়। অনেকে দাবি করেন ফ্লোরা স্ট্যানলির ভূত দৃশ্যমান। বিভিন্ন সময়ে চোখের সামনেই তাকে অনেকে দেখতে পেয়েছেন। ফ্লোরা স্ট্যানলি ভালো পিয়ানো বাজাতে পারতেন। স্ট্যানলি হোটেলে যারা যাত কাটিয়ছেন তাদের অনেকেরেই তারা রাতের বেলা পিয়ানোর আওয়াজ শোনার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই হোটেলের অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিখ্যাত লেখক " স্টিফেন কিং " তার বেস্ট সেলার হরর উপন্যাস ‘দ্য সাইনিং’ লিখেছিলেন ।
এক বার রাতে স্টিফেন কিং তার স্ত্রীকে নিয়ে উপস্থিত হন স্ট্যানলি হোটেলে।ওই সময় ট্যুরিস্ট সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় আর কোনো অতিথি হোটেলটিতে ছিল না। হোটেলের নিস্তব্ধ পরিবেশ, অন্ধকার করিডর, বিশাল ডাইনিং রুমসহ সবখানেই যেন ভৌতিক আবহাওয়া লেগে ছিল। স্টিফেন কিং হোটেলের ২১৭ নম্বর কামরাটি ভাড়া করেছিলেন। সারা রাত ধরে অদ্ভুত সব আওয়াজ, চিৎকার আর পায়ের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন তিনি। শেষ রাতে তিনি এক মারাত্মক দুঃস্বপ্ন দেখেন। তার নিজের এই বাস্তব অভিজ্ঞতাটা তিনি তার উপন্যাসের পাতায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন। ২০০৬ সালে টেলিভিশন শো “ঘোস্ট হান্টারের” একটি পর্বেও স্ট্যানলি হোটেলের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়। তবে এত কিছুর পরও কিন্তু থেমে থাকেনি স্ট্যানলি হোটেলে মানুষের আনাগোনা।
কলকাতার ভূতুড়ে হোটেলের তালিকা খরলেই যে হোটেলের নাম সবার প্রথমে আসে সেটি হল "গ্র্যান্ড হোটেল"। জওহরলাল নেহেরু রোডের উপর অবস্থিত অবরেয় হোটেল এন্ড রিসোর্ট। গুজব বা সত্যি যেটা হোক না কেন এই হোটেলের ভূতুড়ে কাণ্ড নিয়ে মানুষের আতঙ্ক আর কৌতূহলের কিন্তু কোনোরকম কমতি নেই। ১৯৪৫ সালে টেডি বেদাফোর নামের এক বিখ্যাত পিয়ানো বাদক এই হোটেলে থাকাকালীন অদ্ভুতভাবে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। দিনে সব ঠিক থিকলেও রাত হলেই শুরু হয় অদ্ভুত সব ঘটনা। কখনোও হোটেলের সুইটের পাশের ঘর থেকে ভেসে আসে নারীর কান্নার আওয়াজ, কখনো মধ্যরাতে রুমের বাইরে ফিসফিসানির শব্দ, মানুষের পদচারনা, কোনও বাতাস বা নড়াচড়া ছাড়াই টেবিলের গ্লাস মেঝেতে পড়ে যাওয়া, জানালা খোলা ছাড়াও হঠাত দমকা হাওয়া ইত্যাদি অভিযোগ আসে হোটেল বাসিদের কাছ থেকে। এসবের কারন খুঁজতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তদন্ত করা হলেও কোনো সমাধান এখনো পাওয়া যায়নি।
আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রিয় হন তবে সময় সুযোগ মত এসব স্থানে ঘুরে আসতে পারেন। এখন পর্যন্ত অনেকেই ভুত দেখার আসায় এসব স্থানে পরিদর্শন করেন। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন। হয়তো ভূতের দেখা পেলেও পেতে পারেন।