ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করবো
ফ্রিল্যান্সিং কি ? এবং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করে ? (What is Freelancing ? and How does it work?) অনেকেই হয়তো শুনেছেন Freelancing শব্দটি । আর তাই এখন জানতে চান এটি কি এবং এটি কিভাবে করতে হয় । তো চলুন জানা যাক ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ।
Freelancing একটি ইংরেজি শব্দ । এর অর্থ মুক্তপেশা । আপনার ইচ্ছামত কোনো কাজ বা পেশা বেছে নেওয়াকে Freelancing বা মুক্তপেশা বলা যায় । ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) বলতে শুধু অনলাইনে আয় করাকেই বুঝায় না । এটি আপনি যেকোনো মাধ্যমেই করতে পারেন । তবে তা মুক্ত প্রকৃতির হতে হবে। আপনার ইচ্ছা হলে করবেন আর না হলে নয়। মুক্ত পেশার আওতায় অনেক ধরনের কাজই রয়েছে। তার কিছু জনপ্রিয় আর কিছু তাতোটা জনপ্রিয় নয়। তবে আর দেরি না করে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন ইনকাম কিভাবে করতে হয় তা জেনে নেওয়া যাক ।
Freelancing কে প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি অনলাইন আর একটি অফলাইন। এটিকে অন্য ভাষায় আউটসোর্সিং ও বলা যেতে পারে।
অনলাইন ফ্রিলান্সিং (Online Freelancing):
অনলাইনে যে কোনো ব্যক্তীর কাজ করে দেওয়া বা তার কাজে সাহায্য করাকে Online Freelancing বলে । কারন সামনা সামনি কারো কাজ করে দেওয়াকে ফ্রিলেনসিং বলে না ।
এখন আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে এরকম কাজ কোথায় পাবো ?
তবে জেনে রাখুন অনলাইনে কাজের কোনো অভাব নেই । আপনি অনলাইন মার্কেট প্লেস থেকে খুব সহজেই কাজ পেয়ে ভালো ইনকাম করতে পারেন । আপনি গুগলে সার্চ করলেই অনেক মার্কেট প্লেস সম্পর্কে জানতে পারবেন । এগুলোর মাঝে কিছু জনপ্রিয় এবং বিশ্বাসযোগ্য মার্কেট প্লেস গুলো হলো,
Fiverr.com
Freelancer.com
Upowrk.com
99design.com
এখানে প্রতিদিন অসংখ্য কাজ পাওয়া যায় । যাদের মাঝে থেকে আপনি নিজের Skill এর মিল করে কাজ বেছে নিতে পারেন। এক বা একাধিক কাজও আপনি বেছে নিতে পারেন। এসব যায়গায় কাজ পাওয়ার আগে যেকোনো বিষয়ে নিজের Skill গরে নিতে হবে । যেকোনো একটি কাজ বেছে নিয়ে আপনি অনলাইন থেকে ফ্রি তেই শিখতে পারেন। এরকমও অনেক ওয়েবসাট আছে। যেমন: W3school.com যেখানে আপনি ফ্রিতে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারবেন! মার্কেট প্লেস গুলোতে যেসব কাজ জনপ্রিয় এবং চাহিদা বেশি,
১- গ্রাফিক ডিজাইন (Graphics Design)
২- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development)
৩- এপস ডেভেলপমেন্ট (Apps Development)
৪- ভিডিও এডিটিং এবং থ্রিডি এনিমেশন (Video Editing/3D animation.)
৫- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization-SEO))
৬-ডাটাএন্ট্রি (Data Entry)
৭- অনুবাদ (Translation)
এখান থেকে আপনি আপনার ইচ্ছামত একটা কাজ বেছে নিতে এবং কাজটি করতে পারবেন । আর এটাকেই বলা হয় Freelancing বা মুক্তপেশা। এসব বিষয়ে যখন কোনো ভাবে আপনি এক্সপার্ট হবেন, তখন আপনার Skill Advance, Beginner or Expert এর বর্ননা দিয়ে আপনার মার্কেটপ্লেস Profile আরো ভালোভাবে সাজাতে পারবেন ।
So, guys let's work as a Freelancer.
Don't waste your time in Fake site and with Scam. Just try with professional Freelancing Marketplace.
আর একটি বিষয় হলো আপনি এসব মার্কেটপ্লেস ছাড়াও অন্য ভাবেও ফ্রিলান্সিং করতে পারেন । এরকম কিছু জনপ্রিয় এবং বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যমের মধ্যে রয়েছে,
১- এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
২- সিপিএ মার্কেটিং (CPA Marketing)
৩- ব্লগিং (Blogging)
৪- ইউটিউব চ্যানেল (Youtube Channel)
৪- ইউটিউব চ্যানেল (Youtube Channel)
এবং আরো কিছু বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট আছে যারা কাজের জন্য খুবভালো পেমেন্ট দিয়ে থাকে । এখানে পেমেন্ট বিষয়ে অনেকেই দিধাগ্রস্ত থাকেন। তবে আপনি জেনে নিন উপরে যেসব কাজের বা সাইটের কথা বললাম এরা অনেক বছর ধরেই ভালো কাজ এবং ভালো পেমেন্ট সার্ভিস দিয়ে আসছে। এজন্য নিস্বন্দেহে আপনি এসব উপায়ে Freelancing করতে পারেন ।
★ ফ্রি বিটকয়েন আয় করার উপায়
★ ফ্রি বিটকয়েন আয় করার উপায়
অফলাইন ফ্রিলান্সিং (Offline Freelancing):
অফলাইন ফ্রিলান্সিং বলতে ইন্টারনেট ছাড়া যেসব মুক্ত পেশা রয়েছে সে গুলোকে বুঝায় ।
সাধারনত আপনি এবং অনেকেই এই অফলাইন ফ্রিলান্সিং সম্পর্কে আগেই জেনে গেছি এবং আশে পাশে দেখতেও পাচ্ছি। যেগুলো বিভিন্ন কাজের ফাকে বা ইচ্ছে অনুযায়ী করা হয়। যেমন সাধারন ভাবে বলতে গেলে ধরুন একজন শিক্ষার্থী তার পড়ালেখার ফাকে সময় পেলে কোন কাজ করছে। তার এই পেশাটি কখনোই নিন্দনীয় নয়। এবং এটি এক কথায় মুক্ত পেশা। অর্থাৎ ভার্চুয়াল জগতের বাইরের মুক্তপেশাই হলো অফলাই ফ্রিল্যান্সিং! তবে এটির জনপ্রিয়তা খুবই কম। এবং সাধারণ অর্থে ফ্রিল্যান্সিং বলতে অনলাইন ইনকামকেই বোঝায়।
তো আজ আপনি জানতে পারলেন কিভাবে Freelancing করা যায় এবং ফ্রিলান্সিং শব্দ সম্পর্কে।