পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সেরা ৪ হরর মুভির তালিকা
লকডাউনে বাসার বসে বিরক্ত হচ্ছেন? সময় কীভাবে কাটাবেন তা বুঝতে পারছেন না? কোনো সমস্যা নেই। এবার আপনার সময় ঝড়ের গতিতে কাটবে। কারন আপনার জন্য ভয়ংকর চারটি ভুতের ছবি বা হরর মুভি রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি! ভয়ংকর ইংলিশ মুভি দেখলে আপনিও অন্য জগতে হারাবেন এটা নিশ্চিত। আসুন জেনে নেই বিখ্যাত হরর মুভি (Best horror movies of all time) গুলো সম্পর্কে!
ভূতের ছবি দেখতে কে না পছন্দ করে। রোমান্স, কমেডি, থ্রিলার সব কিছুকে পিছনে ফেলে এখনো ভূতের ছবি গুলো দর্শকদের কাছে এক অন্য রকম আবেদন ধরে রেখেছে। ছবি হোক বা গল্পের বই।হাড় হিম করা ভৌতিক গল্প পেলে আর অন্য কোনো কিছুর ই প্রয়োজন হয় না। আট থেকে আশি সবার কাছেই ভূতের গল্প মানে এক অন্য রকম ভালোলাগা। বাইরে ঝুম বৃষ্টি সঙ্গে গরম চা আর মুড়ি মাখা সহযোগে দেখেই ফেলা যায় হাড় হিম করা সব ভূতের সিনেমা। আপনার বিরক্তির সময়কে দূর করার জন্য আজকে আপনার জন্য রইল কিছু গা হিম করা ভৌতিক ছবির তালিকা।
ভূতের পাল্লায় পড়ে ছোট্ট রেগনের কী অবস্থা হয় তা চাক্ষুস প্রত্যক্ষ করুন। দি এক্সজরসিস্ট কে ভৌতিক ছবির দুনিয়ায় অন্যতম বলা হয়। খাটের উপর রক্তাক্ত মাথা মুখের রেগান কেড়ে নিতে পারে আপনার হৃদস্পন্দন।
ডেভিড অমিতো এবং মাইকেল লইচিনি পরিচালিত এই হরর মুভিটিকে অভিশপ্ত সিনেমা বলেও অভিহিত করা হয়। অনেকে দাবি করে থাকে যারা এখন পর্যন্ত এই ছবিটি দেখেছে তারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে।
এই ছবিটি মূলত শয়তান দেবতা আন্ত্রামের গল্প নিয়ে। চলচ্চিত্রটি 70 এর দশকের শেষদিকে মুক্তি পেয়েছিল। রহস্য জনক ব্যাপার হলো এই, যারা এই ছবিটি দেখেছিলেন তারাই এই ছবিটি দেখার পর রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। এই মুভিটির গল্পটি একটি অল্প বয়সী ছেলে এবং মেয়েকে ঘিরেগড়ে ঊঠেছে যারা তাদের মৃত পোষা প্রাণীর প্রাণ বাঁচাতে বনে যায়। তারা এন্ট্রাম নামক একটি জায়গা খুঁজে পায় (কথিত আছে, স্বর্গ থেকে নিক্ষেপ করার পরে শয়তান এই স্থানেই অবতরণ করেছিল) এবং ঐ ছেলেমেয়ে গুলো নরকের গর্ত খুঁড়তে শুরু করে।
এখন পর্যন্ত প্রায় 60 টি মৃত্যুর জন্য এই ছবিটিকে দায়ী করা হয়। একসময় এই ছবির ফুটেজটি হারিয়ে যাওয়ার গুজব ওঠে তবে সর্বশেষ 2018 সালে ছবির একটি অনুলিপি খুঁজে পাওয়া যায় এবং পরে আবার তৈরি করা হয়েছিল।
এই ছবির শুরুতেই দর্শকদের জন্য একটি সতর্ক বার্তা দেওয়া আছে। যেখানে ছবিটি নিজ দায়িত্বে দেখতে বলা হয়েছে।
আনাবেলে মুভিতে দেখা যায়, স্বামী জন ফর্ম তার গর্ভবতী স্ত্রী মিয়া কে উপহার হিসাবে পুতুলটি দিয়েছিলেন। এরপরই ঘটতে থাকে নানা রকম ভৌতিক ঘটনা। তবে আসল আনাবেলের গল্পটি কিন্তু অন্যরকম। আসল আনাবেল পুতুলটি একজন মা তার ২৮ বছর বয়সী কন্যা দোনা,যিনি একজন নার্সিংয়ের ছাত্রী তাকে তার জন্মদিনের উপহার হিসেবে দিয়েছিল। দোনা, তার রুমমেট অ্যাঞ্জি খেয়াল করেন যে পুতুলটি নড়াচড়া করতে সক্ষম। এ অ্যাঞ্জির বাগদত্তা লু ভূতত্ত্ববিদ এড এবং লরেন ওয়ারেনকে এই পুতুলের অস্বাভাবিকতা সম্পর্কে বলেছিলেন। ওয়ার্নসের গল্প অনুসারে, ডোনা, সেই নার্সিংয়ের ছাত্রী, যে তার রুমমেট অ্যাঞ্জির সাথে একটি ছোট রুম ভাগ করে থাকতো। প্রথমে, এর চলাচলগুলি সূক্ষ্ম এবং বিছানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে এর চলাচল আরও লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। ডোনা এবং অ্যাঞ্জি পুতুলটি যেখানে রাখত পরবর্তীতে পুতুলটিকে অন্য স্থানে খুঁজে পাওয়া যেতো। এমনকি ডোনার ঘরে দরজা বন্ধ থাকা স্বত্বেও পুতুলটি ওই ঘরে যেতে পারত। এই মুভিটি একবার দেখা শুরু করলে আপনি শেষ না করে উঠতেই পারবেন না।
হলিউডেরবিখ্যাত প্রয়াত ভৌতিক লেখক স্টিফেন কিং- একটি বিখ্যাত হরর উপন্যাস থেকে এই মুভিটি তৈরি করা হয়েছে। হরর মুভির তালিকায় এটি অন্যন্য স্থান দখল করে আছে ।গল্পে দেখা যায়, মাইনের ডেরি শহরে "হারানো ক্লাব" নামে পরিচিত একদল শিশুদের চারপাশে ঘোরাফেরা করে।, কেন তাদের শহরের এত লোক কেন নিখোঁজ হয় তার রহস্য সমাধানের চেষ্টা করে এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করে।
মুভি গুলো আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও অন্য জগতে নিয়ে যাবে। তবে দুর্বল চিত্তেরা সাবধান। এই ছবি গুলো রাতে দেখবেন না।