হারানো শহর আটলান্টিস সভ্যতার রহস্য ও ইতিহাস
আটলান্টিস (Atlantis) একটি হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া রহস্যময় এই শহরটিকে এখনো একটি উন্নত, সভ্য এবং utopian সমাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অ্যাডভেঞ্চার (Adventure) প্রিয় মানুষের কাছে আটলান্টিস একটি স্বপ্ন ঘেরা শহর। যেখানে লুকিয়ে আছে ইতিহাসের একটি বিশাল রহস্য।
আটলান্টিস (Atlantis) শহর আছে নাকি নেই এই বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্কের শেষ বোধ হয় কখনোই হবে না। অনেক বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক দাবি করেছেন আটলান্টিস শহর আছে, আবার অনেকে এই শহরটিকে বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটোর নিছক কল্পনা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে নিছক কল্পনা হোক আর বাস্তবই হোক, Adventure প্রেমী মানুষ বার বার এই শহরের জন্য নিজের জীবন হুমকির মুখে ফেলেছে। এবং কেউ কেউ তাদের জীবন ও বিসর্জন দিয়েছেন। হয়তো এই রহস্যময় শহরের হদিশ এখনো পাওয়া যায় নি, কিন্তু রহস্যপ্রিয় মানুষ এখনো হাল ছাড়ে নি।
চলুন আজ আপনাদের আবার নতুন করে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি সেই হারানো শহর আটলান্টিস থেকে। এবং জেনে আসি এই শহরের কিছু অজানা রহস্য সম্পর্কে যা যুগ যুগ ধরেই মানুষের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে আছে!
রহস্যময় এক শহরের কাহিনি যার নাম আটলান্টিস!
আটলান্টিস শহরের প্রথম খোঁজ পাওয়া যায় প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর লেখনি হতে। টিমেউস ও ক্রিটিয়াস নামে প্লেটোর দুটি বিখ্যাত ‘ডায়ালগ’ রয়েছে। মূলত তার এই ডায়ালগ দুটিতে এই শহরটির উল্লেখ পাওয়া যায়। ৩৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্লেটো তার শিষ্যদেরকে এই নগরটির কথা বলেছিলেন।
অনেকে প্রত্নতাত্ত্বিক দাবি করে থাকেন যে, এই শহরটি প্লেটোর নিজের কল্পিত কোনো শহর এবং এর বাস্তবে কোন অস্তিত্বই কোনদিন ছিল না। কিন্তু এই সম্পর্কিত পুরনো নথি অনুসারে প্রত্নতাত্ত্বিকদের এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে বার বার প্রমানিত হচ্ছে।
প্লেটোর লেখনী থেকে জানা যায় যে, রহস্যময় শহর আটলান্টিসের কথা প্রথম জানতে পারেন গ্রিক "মহাজ্ঞানী সোলোন"। তবে এখানে মজার ব্যাপার হলো, সোলোন ও এই শহরটির কথা আগে জানতেন না।
এবং এই মহাজ্ঞানী সোলোন এই শহরটির কথা জেনেছেন মিশরের এক ধর্মযাজকের কাছ থেকে। মিশরীয় ধর্মযাজকের থেকে শোনা এই আটলান্টিস শহরের গল্পটি, সোলোন তার এক আত্মীয় "ড্রপাইডসের" কাছে বলেন। বংশ পরম্পরায় গল্পটি ড্রপাইডস তার সন্তান, তার প্রপৌত্র ক্রিটিয়াস এই গল্পটি প্লেটোর কাছে বলেন।
আটলান্টিস একটি শহরের নাম
আটল্যান্টিস শহর নিয়ে বেশীরভাগের একটি বহুল প্রচলিত ধারনা হল, আটলান্টিক মহাসাগরের কাছে অবস্থিত হওয়ায় নগরটির নাম দেওয়া হয়েছিল আটলান্টিস। কিন্তু তাদের এই ধারনাটি একদমই ভুল।
আটল্যান্টিস শহর নিয়ে বেশীরভাগের একটি বহুল প্রচলিত ধারনা হল, আটলান্টিক মহাসাগরের কাছে অবস্থিত হওয়ায় নগরটির নাম দেওয়া হয়েছিল আটলান্টিস। কিন্তু তাদের এই ধারনাটি একদমই ভুল।
প্লেটোর বর্ণনা অনুযায়ী, গ্রীক দেবতা পোসাইডন (গ্রীকদের মতে উনি সমুদ্রের দেবতা) ছিলেন আটলান্টিসের রাজা। এবং পোসাইডনের স্ত্রী ক্লিওটার ছিলেন খুব সুন্দরী। দ্বীপের মাঝখানে পাহাড়ের মাথায় স্ত্রীর জন্য এক অপরূপ প্রাসাদ তৈরি করেন পোসাইডন। তাদের পাঁচ জোড়া যমজ সন্তান ছিল। এবং এই সমুদ্র দেবতা তার দশ সন্তানকে দ্বীপের বিভিন্ন অংশ শাসনের ভার দিয়েছিলেন।
তার বড় যমজ সন্তানের একজনের নাম ছিল এটলাস। পোসাইডন এটলাসকে এই দ্বীপের একটি অংশ শাসনের ভার দিয়েছিলেন। পোসাইডনের পুত্র এটলাসের নামানুসারে এই দ্বীপের সেই অংশের নাম হয় আটলান্টিস। এটলাস পরবর্তীতে পুরো দ্বীপ এবং সমুদ্রের চারপাশের অঞ্চল নিজের অধিকারে নিয়ে নেন এবং এরপর পুরো দ্বীপের নাম তার নামে হয়ে যায় আটলান্টিস।
প্লেটোর লেখনী অনুসারে, আটলান্টিস ছিল এক স্বর্গোদ্যান। এবং সেখানকার মাটি ছিল অত্যন্ত উর্বর। কৃষকরা সেখানে নানারকম ফসল ফলাতো আর তাতে ফলতো নানা ফলমূল, শাকসবজি। প্রচুর পরিমাণে ফসল হওয়ার কারনে নগরীতে কোনো অভাব ছিল না।
রং-বেরঙের সুন্দর ফুলে ভরে থাকতো এই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই রাজ্যে সোনা, রূপো, তামা ইত্যাদি খনিজ সম্পদেরও কোনো অভাব ছিল না।
এখানের সেচ ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত উন্নত। পাহাড়ের গাঁ ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল কৃষকদের বাড়ি। আটলান্টিস নগর ঘিরে ছিল সুন্দর সুন্দর প্রাসাদ, বন্দর এবং মন্দির। অট্টালিকা গুলো ছিল সোনা ও রূপার কারুকার্য খচিত! এবং এ শহরের প্রধান আকর্ষণ ছিল এক সমুদ্র দেবতার মূর্তি। ধারনা করা হয় মূর্তিটি ছিল গ্রীক সমুদ্র দেবতা পোসাইডনের।
রাজধানীটির অবস্থান ছিল এক সবুজে ঘেরা পাহাড়ের চূড়ায়। পাহাড়ের চারিদিক ঘিরে ছিল বেশ কয়েকটি পরিখা। পরিখা গুলোকে পরস্পরের সাথে খাল দিয়ে যুক্ত করা ছিল।এবং বাইরের পরিখাটি খাল দিয়ে যুক্ত ছিল সমুদ্রের সাথে। মূলত সমুদ্র পথে বিভিন্ন রাজ্যের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য এ খাল গুলো ব্যবহার করা হতো।
আটলান্টিস নগরীর বাড়ি গুলোতে আধুনিক সব ব্যবস্থা ছিল। দামি ধাতু দ্বারা তৈরী পাথরের দেওয়াল, বিশাল সোনার মূর্তি, গরম আর ঠাণ্ডা জলের ঝরণা, এবং আরো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়ি গুলোতে সংযুক্ত করা ছিল।
এই উন্নত শহরটাতে এক সুগঠিত বিশাল সেনাবাহিনীও ছিল। প্লেটোর অনবদ্য বর্ণনা থেকে জানা যায়, আটলান্টিসের লোক জনের মধ্যে কেউ কেউ দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার কিংবা স্থপতিও ছিলেন।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে অনেক গবেষক দ্বিমত পোষন করেছেন। কেউ কেউ এটাকে নেহাৎ কল্পনা বলেছেন। তাদের মতে, "প্লেটো যে বর্ণনা দিয়েছেন, তার সময়েরও নয় হাজার বছর আগে প্রস্তর যুগের শুরুর দিকে এরকম উন্নত বুদ্ধিদীপ্ত নৌশক্তিসম্পন্ন সভ্যতা পৃথিবীর বুকে গড়ে ওঠা সত্যিই অকল্পনীয়"।
ধ্বংস হল স্বর্গীয় শহর আটলান্টিস
প্লেটোর লেখনি থেকে জানা যায়, যিশু খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ১,৫০০ বছর আগে এই নগরীর বিলুপ্তি ঘটে। এ নগরের ধ্বংস হওয়া নিয়ে প্লেটো তার লেখনিতে বলেছেন, "পোসাইডন তার দশ ছেলেকে দেশটির একেক অংশ শাসনের ভার দেন। এমনিতে বেশ শান্তিই ছিল। কিন্তু ক্রমশই দশজনের মধ্যে বিরোধ বাড়তে লাগল। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের রাজ্যের সীমা বাড়াতে চাইল। আটলান্টিসের নির্মল আকাশে লোভ আর হিংসার ছায়া পড়ল। স্বর্গের জিউস তখন ঠিক করলেন, এদের শিক্ষা দিতে হবে। সেজন্যই দেবতাদের ডেকে তড়িঘড়ি করে এক সভার আয়োজন করলেন তিনি"।
প্লেটোর গল্প এখানে এসে থেমে গিয়েছিল। এরপর কী হলো তা আর জানা যায় নি। যদিও এর শেষাংশ টুকু অনেকে তাদের নিজেদের মত করে বলেছেন।
এই শেষ অংশ টুকু যে মতবাদটি সর্বাধিক প্রচলিত তা হল যে, "স্বর্গের দেবতা জিউসের রোষানলে পড়ে এই নগরী ধ্বংস হয়ে যায়"। যদিও পরবর্তীতে অনেক গবেষক আটলান্টিসের ধ্বংস হওয়া নিয়ে নানা মত রেখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গ্রিক পুরাতাত্ত্বিক "অ্যাঞ্জেলোস গ্যালানোপুলো"।
গত শতাব্দীর ষাটের দশকের শেষে তার এই তত্ত্বটি আটলান্টিস সম্পর্কে সবার ধারনা পাল্টে দিয়েছিল। অ্যাঞ্জেলোস গ্যালানোপুলোর মতবাদ অনুসারে, "১,৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ এক ভয়ানক আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছিল ভূমধ্যসাগরের সান্তোরিনি দ্বীপে।
আগ্নেয়গিরির হঠাৎ জেগে ওঠা ও তার দরুণ এক ভয়াবহ ভূমিকম্প ও প্রবল জলোচ্ছাসের সৃষ্টি হয় পুরো নগর জুড়ে। ফলে এক রাতের মধ্যে আটলান্টিক মহাসাগরের নীচে তলিয়ে যায় এই শহর। আর সেই সাথে মুছে যায় এক উন্নত সভ্যতার যত চিহ্ন"।
এখন পর্যন্ত এই মতবাদটিকেই সত্যি বলে ধারনা করা হয়। কারন আরেক বিখ্যাত সমুদ্র গবেষক "রবার্ট বালার্ড" যিনি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছিলেন , তিনি এই মতবাদটির সঙ্গে একমত পোষন করেন।
তিনি বলেন যে,"আটলান্টিসের এই ধ্বংসের তথ্যটি সঠিক হতে পারে। কারণ, ইতিহাসের এই সময়টায় বড় ধরনের বন্যা এবং আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের তথ্য পাওয়া গেছে"।
আটলান্টিস এর অবস্থান কোথায়
আটলান্টিস নগরটি কোথায় ছিল তা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নাই। আটলান্টিসের খোঁজে এখনো অনেক বৈজ্ঞানিক তাদের গবেষণা এবং অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। যদিও এখনো এর প্রকৃত অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। প্রত্নতত্ত্ববিদরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানকে হারিয়ে যাওয়া আটলান্টিস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু তারা কোনো জোরালো প্রমাণ তুলে ধরতে পারেননি।
অনেক গবেষকদের মতে, গ্রিক দ্বীপ ক্রিটের কাছাকাছি আটলান্টিস এর অবস্থান ছিল । কারো কারো মতে, গ্রিসের সান্তোরিনি শহরটিই হচ্ছে অ্যাটলান্টিস। আবার কারো মতে, বলিভিয়ার আন্দিজ পর্বতমালার কাছে, এমনকি আফ্রিকায়ও নাকি থাকতে পারে আটলান্টিস।
কারো কারো মতে, আটলান্টিস গ্রিক পুরাণের শহর টান্টালিসও হতে পারে। এর কারণ হিসাবে বলা হয়, " "গ্রীক দেবরাজ জিউস রেগে গিয়ে বজ্রপাত করেন টান্টালিসের উপরেও" । অনেকে বলে থাকেন, ফ্লোরিডার উপকূলে বিমিনি দ্বীপের পাশে দিয়ে হারিয়ে যাওয়া আটলান্টিসের একটি পথের অস্তিত্ব রয়েছে।
প্লেটোর দেয়া তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, "আটলান্টিক মহাসাগর থেকে উৎপত্তি হওয়া একটি দ্বীপই হচ্ছে আটলান্টিস"। এ সম্পর্কে আরো বলা হয়ে থাকে, হারকিউলিস পিলার নামে এক ছোট দ্বীপের অস্তিত্ব ছিল তার পাশে যেটা বর্তমানে জিব্রাল্টার প্রণালী হিসেবে পরিচিত।
অনেকে মনে করে , জিব্রাল্টার প্রণালীর কাছাকাছি কোথাও ছিল আটলান্টিস শহরটি। ১৯৬৮ সালে লেখক 'এগার ক্যাচি' তার বই ‘'On Atlantis’' এ Atlantis এর সম্ভাব্য স্থান সম্পর্কে একটি ধারনা দেন।
তিনি বলেন যে, "মিশরের নীলনদ এবং স্ফিংস এর মূর্তির মাঝে হল অব রেকর্ডস যেখানে আবিষ্কৃত হয়েছে, সেখানেই পাওয়া যেতে পারে আটলান্টিসের ধ্বংসাবশেষ"।
২০১১ সালে হাটফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ "রিচার্ড ফ্রেউন্ড" ও তার দল কয়েকটি শহরের সন্ধান পান। তারা মনে করেন আটলান্টিস নগরটি এছখানেই ছিল। স্পেনের "কাদিজ" নামক এক শহরের উত্তরে ডোনা ন্যাশনাল পার্কের সোয়াম্প ফরেস্টের নীচে এই শহরগুলোর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে।
তবে দুঃখের বিষয় আটলান্টিসের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে কোনো গবেষকই এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।
সত্যি কি আটলান্টিস আছে? নাকি সবই কল্পনা?
আটলান্টিস আছে নাকি নেই? নাকি প্লেটোর এই কাহিনী কোনো পৌরাণিক কল্পকাহিনী কিনা তার ব্যাপারে ইতিহাসবিদরা এখনো একমত হতে পারেননি।
তবে ক্রিটিয়াস দাবি করেছিলেন যে, 'মহাজ্ঞানী সোলোনের কাছ থেকে তিনি এই গল্পটি শুনেছিলেন'। উল্লেখ্য সোলোন ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের এথেন্সের বিখ্যাত নীতিনির্ধারক।
অনেক গবেষক ধারনা করেন, সোলোন যখন মিশরে যান তখন সেখানের প্রাচীন কিছু পুঁথি থেকে এথেন্স এবং আটলান্টিস সম্পর্কে জানতে পারেন।
এই বিষয়ে আরেক দল মনে করেন, এই আটলান্টিস শুধু প্লেটোর কল্পনা মাত্র। তারা মনে করেন, প্লেটো প্রাচীন কিছু যুদ্ধের কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আটলান্টিসের এই কাহিনীটি রচনা করেন।
অনেকে এটাও মনে করেন, "আটলান্টিস শুধুই প্লেটোর কল্পনায় বোনা এক নগর সভ্যতা, যা তিনি তারা কল্পনায় সৃষ্টি করেছেন এবং কল্পনায় সেই নগরীর ধ্বংস ও করেছেন।
পৃথিবীর অধিকাংশ সংস্কৃতিতেই ‘হারানো সভ্যতা' নিয়ে অনেক উপকথা প্রচলিত রয়েছে। তাই অনেকেই এসব উপকথার ভিত্তি রয়েছে বলে মনে করেন।
একারনেই কিছু গবেষক আটলান্টিসের বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন এবং আটলান্টিস নিয়ে এখনো গবেষণা চালাচ্ছেন। হয়তো কোনো একদিন আমরা এই সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারবো।