ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এবং কতদিন সময় লাগে সাথে দাড়ুন টিপস
ব্লগ তৈরি করে আয় করার ইচ্ছে যাদের আছে তাদের জন্য আজকের লেখা। এখানে ব্লগ লেখার নিয়ম বা কিভাবে ব্লগ খুলতে হয় তা নিয়ে কোন আলোচনা করবো না। বরং বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয় সম্পর্কে যেসকল প্রশ্ন যেমন ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় বা ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে কত সময় লাগে এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি কিভাবে ব্লগিং করে লাভবান হবে তা নিয়ে আলোচনা করবো। সাথে স্টুডেন্ট অবস্থায় ব্লগিং করার চমৎকার টিপস শেয়ার করবো। যা থেকে আপনিও লাভবান হতে পারেন।
আপনি যদি আয় করার উদ্দেশ্য নিয়ে ব্লগিং করতে চান তাহলে হাতে অন্তত পক্ষে ২-৩ বছর সময় রাখুন। কিন্তু যদি মনে করেন এখন আপনার আয় করা উচিত ২-৪ মাসে বা এ ১ বছরের ভিতর তাহলে ব্লগিং নয় অন্য পেশা বেছে নিন। কারন ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে টাকার আগে দরকার সাইটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং ভিজিটর বৃদ্ধি করা। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই সময় নিতেই হবে!
কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই এমন নয়। একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগে এডসেন্স এপ্রুভ করানো আসলে কঠিন কোন কাজ না। আমার ব্লগ শুরু করার মাত্র এক দেড় মাসের মাথায় এডসেন্স এপ্রুভ পাই। কিন্তু ভিজিটর ছিল ডেইলি ৩০-৪০ জন৷ যার কারনে আমার আয় ছিল শূন্যের কোঠায়। তবে দেখতে দেখতে বছর দেড়েক পার করে ফেলেছি কোন টাকা এখনও হাতে পাইনি। তবে ভিজিটর আগের তুলনায় অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে সাথে সাথে আয়ও হওয়া শুরু করেছে।
একটি নতুন ব্লগারের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং যতটা সহজ হয় ততোটা কঠিন হয় সেই কন্টেন্ট দিয়ে ব্লগে ভিজিটর নিয়ে আসা। কারন কন্টেন্ট লেখা যতই ভালো হোক ভিজিটর সেটা খুজে পাবে তবেই তো পড়বে এবং বুঝবে। এর জন্য ব্লগে আরও অনেক কাজ থাকে। যেগুলো নতুন ব্লগারদের বুঝো উঠতে সময় লাগে। এবং বুঝে সেটা প্রয়োগ করে সফলতা অর্জন করার সময় সাপেক্ষ।
তবে এই কাজ গুলো চাইলে কোন প্রফেশনাল ফ্রিলান্সার হায়ার করেও করতে পারবেন। তবে তার জন্য দরকার হবে মোটা অঙ্কের টাকার। এবং বাস্তবিক অর্থে ব্লগিং করতে গিয়ে যদি মনে করেন এসব কাজ ইনভেস্ট করে করবেন তাহলে একদিক থেকে সেটা ভূলও হবে বলা চলে। কারন ব্লগিংয়ে যা আয় হবে তার কাছে খরচ খুবই বেশি হবে। এবং আরেকটা সত্যি কথা হচ্ছে যারা ব্লগিং করতে চান তারা এতো টাকা ইনভেস্ট করে করতে চান না। তবে ইনভেস্ট করলে লাভবান হবেন না এটা বলছি না তবে ইনভেস্ট তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন সঠিক খাতে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করবেন। আবার অনেকের সামর্থ্যের ব্যাপারও হয়ে দাড়ায়। এর পিছনে অনেক পারিপার্শ্বিক কারন জড়িয়ে আছে যা আপনাকে না বললেও আপনি বুঝতে পারছেন আশা করি।
এবার আসি ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় প্রসঙ্গে। এখানে আপনি লিখলেই টাকা পাবেন এমন কিন্তু নয়। এবং আপনার লেখাপড়লেই টাকা পাবেন তাও নয়। ব্লগে আয় হয় মূলত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এডসে ক্লিক যত বেশি হবে এবং যত বেশি মানুষ এডস দেখবে ততই আয় হবে। এখানে থেকে আপনি আনলিমিটেড আয় করতে পারবেন। আবার ভিজিটর না থাকলে যতই কন্টেন্ট পাবলিশ করুন না কেন আয় শুন্য। আপনি ১০০ ডলার হলে পেমেন্ট নিতে পারবেন। ব্যাংক একউন্টে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা পাঠানো হয়। প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০০ / ৩০০০ ডলার আয় করে এমন ব্লগার বাংলাদেশে অনেক আছে।
আমি এখানে কোন টিউটোরিয়াল দিচ্ছি না। কারন এটা যাস্ট সকলের কমন একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য লেখা মাত্র। আমার ব্লগে এমন কোন পোস্ট পাবলিশ করা হয় না অনলাইন আর্নিং বিষয়ে যা আপনাকে কোন কিছু না বুঝেই কাজে নেমে পরার আগ্রহ যোগাবে। বরংচ আপনাদের সঠিক ধারনা প্রদান করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। যার মাধ্যমে আপনি জেনে বুঝে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। যাইহোক আপনাদের অনেক হতাশার কথা বললাম এবার ব্লগিং নিয়ে কিছু টিপস দিব যার ফলে এখান থেকে আপনি তাত্ক্ষণিক ভাবে লাভবান না হতে পারলে একটি দীর্ঘ মেয়াদি আয়ের পথ খুঁজে পাবেন।
আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং লেখাপড়া করেন তাহলে ব্লগিং হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ। কারন এখন থেকে যদি আপনি ব্লগিং শুরু করেন তাহলে একটা সময় দেখবেন আপনি লাভবান হবেনই। এবং একটি রানিং আয়ের পথ উন্মুক্ত হবে আপনার জন্য। এখানে রানিং কথাটা বলার কারন হলো আপনার আয়টা এককালীন না হয়ে নিয়মিত হবে সেটা হোক প্রতিমাসে বা দুই তিন মাস অন্তর অন্তর।
কারন একটি আর্টিকেল আপনার সাইটে যতদিন থাকবে ততদিনই সেটি মানুষ কমবেশি পড়বে এবং সেখান থেকে আয় আসবে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে প্রচুর খাটনি আয় পর্যন্ত পৌঁছাতে। কিন্তু একটা সময় নিয়মিত পরিশ্রম করতে হবে না। সপ্তাহে একদিন দুইদিন ঘন্টা দুইয়েক সময় নিয়ে করলেই হবে।
শিক্ষার্থীরা কিভাবে ব্লগিং থেকে লাভবান হবেন এবং লেখাপড়ার ক্ষতি না করেই বরং ব্লগিংয়ের মাধ্যমে লেখাপড়ার উন্নতি পাশাপাশি আয় করবেন। ধরুন আপনি সাইন্সের একজন ছাত্র বা ছাত্রী। আপনার পাঠিত বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞান। যা আপনাকে প্রতিদিন অনুশীলন করতে হবে। এবং নতুন নতুন পাঠ শিখবেন এবং পড়বেন। আপনি যদি এখন একটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগ করেন তাহলে আপনার লেখাপড়ার বিষয় গুলো নিয়েই আর্টিকেল রাইটিং করতে পারেন।
এতে কি হলো আপনার ব্লগে একটি কন্টেন্ট পাবলিশ হলো। পাশাপাশি আপনার জানা বিষয়টিও দীর্ঘস্থায়ী হলো কারন যখন এটি নিয়ে লিখবেন তখন আপনার সামনে আরো তথ্য হাজির হবে। এবং যখন দেখবেন আপনি এটা নিয়ে লিখছেন এবং হাজার হাজার লোক দা পড়ছে। আপনার তখন নতুন নতুন জানার আগ্রহ বৃদ্ধি তথা জ্ঞান অর্জন হবে। পাশাপাশি একটি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আপনি যে বিষয়েরই হোন না কেন আপনি সেটি নিয়েই ব্লগ শুরু করতে পারেন কারন ইন্টারনেটে সব ধরনের বিষয়ই খোজা হয় প্রতিদিন। এবং যদি স্টুডেন্ট না হয়ে কর্মজীবী হন আপনিও কাজের ফাকে একই টিপস ফলো করতে পারেন।
আশাকরি আর্টিকেলটি থেকে ব্লগিং সম্পর্কে কিছুটা হলে ধারনা এসেছে এবং কিছুটা হলেও বুঝাতে পেরেছি ব্লগিং এর উপকার ও অপকারিতা সম্পর্কে। আরো কিছু জানতে চাইল কমেন্ট করে জানান পরবর্তী আর্টিকেলে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো।
amar blog visit korun