রচনা মোবাইল ফোন

★রচনা: মােবাইল ফোন

★আধুনিক জীবনে মোবাইল ও ইন্টারনেট রচনা

★মোবাইল ফোন অনুচ্ছেদ রচনা

★মোবাইল ফোনের গুরুত্ব রচনা

★মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা রচনা

★মোবাইল ফোনের অপব্যবহার উপর প্রবন্ধ


সংকেত

(ভূমিকা- মােবাইল ফোন কী- মােবাইল ফোনের বিবর্তন ধারা - মােবাইল ফোন তৈরি কোম্পানি সমূহ- মােবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা সমূহ- মােবাইল ফোন ব্যবহারে অসুবিধা সমূহ- মােবাইল ফোনের কার্যপ্রণালী -  বাংলাদেশ ও মােবাইল ফোন - সিটিসেল কোম্পানি - গ্রামীণ কোম্পানি - বাংলালিংক কোম্পানি - একটেল কোম্পানি - টেলিটক কোম্পানি - ওয়ারিদ কোম্পানি - মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট - মােবাইল ফোনের গুরুত্ব - উপসংহার)

ভূমিকা : বিবর্তনের সােপান বেয়ে বর্বর পৃথিবীর বাগানে এক সময় ফুটেছিল সভ্যতার নতুন ফুল। তাও আবার বহু বছর আগের কথা। শিল্প বিপ্লবের হাত ধরে সভ্যতার প্রথম সময়ের মানুষেরা সৃষ্টির যে উন্মাদনায় মেতে ওঠে, তারই সুফল ভােগ করছি আমরা সভ্যতার যৌবন কালের মানুষেরা। আইনস্টাইন, আর্কিমিডিস কিংবা নিউটন, যার কথাই বলি না কেন, এঁরা সবাই সভ্যতাকে দিয়েছে গতি। তবে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে উনিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্তই ছিল বিজ্ঞানের জয়জয়কার। এই ধারা এখন শুধু উৎকর্ষ  লাভ করছে। তাই বিজ্ঞানের কল্যাণে শােভিত সভ্যতা বর্তমান শতাব্দীর সূচনা পাড়ে বসে নির্দ্বিধায় মাথা নত করে সম্মান জানাচ্ছে বিজ্ঞানের বৈচিত্র্যকে। বিজ্ঞানের এই মহাবিজয় রথের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযােগী হিসেবে যে যন্ত্রটি কাজ করে যাচ্ছে তা হলাে মােবাইল ফোন। মােবাইল ফোন বর্তমান টেলিযােগাযােগ ব্যবস্থায় এক নব দিগন্ত্রে সূচনা করেছে।


মােবাইল ফোন কী : মােবাইল ফোন একটি ছােট আকারের ইলেকট্রনিক ডিভাইস। এর মধ্যে একটি ইনপুট ও একটি আউটপুট ইউনিট আছে। তথ্য প্রেরণ এবং গ্রহণের কাজে এগুলাে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মােবাইল ফোনে একটি ডিসপ্লে ইউনিট থাকে যার মাধ্যমে যে কোনাে মােবাইলে অপর প্রান্ত থেকে কল আসলে ফোন কলের নাম্বার দেখা যায় এবং মােবাইলে যে কল আসছে তা জানা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের মােবাইল ফোন পাওয়া যায়। কিছু কিছু মােবাইলের সাথে ক্যামেরা থাকে যা দ্বারা ছবি তােলা যায়। আবার অনেক মােবাইলের মাধ্যমে গান ও সংবাদ শােনা যায় ।


মােবাইল ফোনের বিবর্তনের ধারা: পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে মােবাইল ফোন অনেক পথ অতিক্রম করে আজ বর্তমান অবস্থায় এসেছে। মােবাইল ফোনের যাত্রা শুরু ১৯৪০ সাল থেকে যদিও এর আগে থেকে বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছিল। এরপর মােবাইলে নতুন নতুন প্রােগ্রাম সংযােজনের মাধ্যমে আরও আধুনিক করা হয়েছে। আর এরই ফলশ্রুতিতে ২০০৫ সালে মােবাইল ফোনে ভিডিও সংযােজনের মধ্য দিয়ে মােবাইল জগতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। ড. মার্টিন কুপারকে মােবাইল ফোনের জনক বলা হয়। তিনি ১৯৭৩ সালের ১৭ অক্টোবর মটরােলা কোম্পানির পক্ষ থেকে রেডিও টেলিফোন সিস্টেম নামক একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন যা মােবাইল ফোন প্রযুক্তির উন্নত সংস্করণ। মূলত বেতার যন্ত্র আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানীরা মােবাইল ফোন আবিষ্কারে অনুপ্রাণিত হয়। ১৮৯৭ সালে মার্কনি রেডিও আবিষ্কার করেন। এরপর বিজ্ঞানী মাের্স ওয়ারলেস আবিষ্কারের জন্য গবেষণা শুরু করেন এবং বিজ্ঞানী এডিসন ও বিজ্ঞানী হাগস ওয়ারলেস প্রযুক্তি সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আর এই বিবর্তন ধারার মধ্য দিয়ে মানুষের হাতে চলে আসে আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার মােবাইল ফোন যা মুঠোফোন নামেও পরিচিত।


মােবাইল ফোন তৈরি কোম্পানি সমূহ : বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি মােবাইল ফোন বাজারে পাওয়া যায় । এই কোম্পানি গুলাের মধ্যে নকিয়া, স্যামসাং, মটোরােলা, সিমেন্স, সনি এরিকসন প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য। এছাড়া বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন চায়না মােবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ কোম্পানি গুলাের বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন দামের ফোন বাজারে পাওয়া যায়। কোনাে কোনাে মােবাইল ফোনে ক্যামেরা থাকে। আবার কোনাে কোনাে মােবাইল ফোনে ক্যামেরাসহ মেমােরি কার্ডের ব্যবস্থা থাকে যাতে অডিও, ভিডিও গান, ছবি সংরক্ষণ করে রাখা যায় এবং ইচ্ছেমতাে তা ব্যবহার করা যায়। তবে এই ফোনগুলাের দাম একটু বেশি। কিন্তু বাজারে সকল সুবিধাসহ চায়না মােবাইল গুলাের দাম অনেক কম এবং তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। ফলে বর্তমানে সাধারণ মানুষ বেশির ভাগই চায়না মােবাইল ব্যবহার করে থাকে। তবে অনেক শৌখিন মানুষ আছেন যারা উল্লেখ যােগ্য কোম্পানি গুলাের দামি মােবাইল ব্যবহার করেন।


মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা সমূহ : বিভিন্ন কাজে মােবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যােগাযােগ রাখা, ব্যবসায় বাণিজ্যের সুবিধার্থে অথবা জরুরি কোনাে বিষয়ে কাউকে খবর দেওয়া প্রভৃতি। মােবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে দূরে থেকেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যােগাযােগ করা যায়। এমনকি কেউ যদি দেশের বাইরে অর্থাৎ বিদেশে থাকে তাহলে ঐ বিদেশে বসেও তার পরিবারের সাথে যােগাযােগ করতে পারে। মােবাইল ফোনের মাধ্যমে মানুষ ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে। এর মাধ্যমে যে কোনাে খবরাখবর যে কোনাে মুহূর্তে যে কাউকে জানানাে যায়। মােবাইল ফোন বহন করাও সুবিধা জনক। এটি ব্যবহারকারী তার ফোন সব সময় কাছে নিয়ে ঘােরাফেরা করতে পারে। টেলিফোনের মতাে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থেকে কথা বলা লাগে না। তাই দিন দিন মােবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আর মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে মােবাইল আধুনিক থেকে আরাে আধুনিকতর হচ্ছে।


মােবাইল ফোন ব্যবহারে অসুবিধা সমূহ : আলাের পাশে যেমন অন্ধকার থাকে তেমনই মােবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা সমূহের পাশে রয়েছে অসুবিধা অর্থাৎ ক্ষতিকর দিক। অনেক সময় দেখা যায় মানুষ গাড়ি চালানাের সময় মােবাইল ফোনে কথা বলে। ফলে গাড়ি চালানাের প্রতি তার মনােযােগের ঘাটতি ঘটে ফলে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয় এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন ইসরাইল, জাপান, পর্তুগাল, সিঙ্গাপুর গাড়ি চালানাের সময় মােবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মােবাইল ফোন মানুষের শরীরের অনেক ক্ষতি করে। মােবাইল থেকে এক ধরনের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বের হয় যা মানুষের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তােলে। এটি ব্যবহারকারীর অনেক সময় কানের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মােবাইল মানুষের উপকারের জন্য আবিষ্কৃত হলেও দেশে কিছু অসৎ মানুষ আছে যারা এটাকে বিভিন্ন অপকাজে ব্যবহার করে থাকে।


মােবাইল ফোনের কার্যপ্রণালি : আধুনিক বিশ্বের একটি অন্যতম বিস্ময়কর আবিষ্কার মােবাইল ফোন। অধিকাংশ মােবাইল ফোনের ১৬টি বাটন থাকে। তবে কিছু কিছু মােবাইলের ১৬টির বেশি বাটন থাকে। মােবাইল শুধু কথা বলার কাজে ব্যবহার করা হয় না, এটা আরাে অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সব মােবাইলে অনেকগুলাে প্রােগ্রাম থাকে যেমন- Messages, Contacts, Clock, Games প্রভৃতি এসব প্রােগ্রামের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন কাজ করে থাকে। Messages এর মাধ্যমে একজন মােবাইল ব্যবহারকারী অপর এক মােবাইল ব্যবহারকারীর কাছে তার বক্তব্য লিখিত আকারে পাঠাতে পারে । Contacts অপশনে মােবাইল ব্যবহারকারী মােবাইলের নম্বর সংরক্ষণ করতে পারে। Games অপশনের মাধ্যমে মানুষ বিনােদনের সুযােগ পায়। অনেক মােবাইলে রেডিও আছে যা দ্বারা মানুষ খবর শুনতে পারে তাছাড়া মানুষকে বিনােদনের একটি সুযােগ করে দেয়। অনেক মােবাইলে ইন্টারনেট আছে যা ব্যবহার করে মানুষ অনেক নতুন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারে। মােবাইল ফোন মুহূর্তের মধ্যে দূর-দূরান্তের মানুষকে কাছে নিয়ে আসে। এছাড়াও মোবাইল ফোন এখন আরো উন্নয়ন সাধন করেছে। এখন টাচস্ক্রীন প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে এসেছে। এগুলো কথা বলার পাশাপাশি আরো অনেক কাজ করা যায়। যার বর্ণনা শেষ হবার নয়। এবং এসকল মোবাইল ফোন বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম চালিত। বর্তমান সময়  সর্বাধিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হলো এন্ড্রয়েড। এছাড়াও রয়েছে উইন্ডোজ, ম্যাক, জাভা, সিম্বিয়ান অপারেটিং সিস্টেম চালিত মোবাইল ফোন।                         


বাংলাদেশ ও মােবাইল ফোন : বাংলাদেশে মােবাইল ফোন ব্যবহার খুব বেশি দিনের নয়। সিটিসেল কোম্পানি ১৯৯৩ সালে প্রথম তাদের কার্যক্রম শুরু করে এদেশে । সে সময় মােবাইল ফোন মানুষের কাছে ছিল স্বপ্নের মতাে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের কাছে যাদের মােবাইল ফোন ক্রয় করার ক্ষমতা ছিল না। ১৯৯৬ সালে সরকার গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক যার পূর্বের নাম সেবা এবং একটেল (বর্তমান নাম রবি) কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদান করে বাংলাদেশের মােবাইল জগতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। এরপর বাজারে আসে টেলিটক এবং সর্বশেষ ২০০৭ সালে বাজারে আসে ওয়ারিদ কোম্পানি। ফলে কোম্পানিগুলাের মধ্যে তীব্র প্রতিযােগিতা শুরু হয়। এবং এই কোম্পানি গুলাের সেবা কার্যক্রম সারা দেশ জুড়ে বিস্তার লাভ করে চলেছে।


সিটিসেল কোম্পানি: এটি বাংলাদেশের প্রথম মােবাইল কোম্পানি। ১৯৯৩ সালে সিটিসেল কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এ কোম্পানি গ্রাহকদের বিভিন্ন সুযােগ সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন- সিটিসেলের গ্রাহকরা ২৫২৫ নম্বরে কল করে জানতে পারে হাসপাতালের তথ্যাদি, ব্লাড ব্যাংক, ফায়ার সার্ভিস, থানা প্রভৃতির তথ্য জানতে পারে, ৪৪৪-এ কল করে চ্যানেল আই সংবাদ শুনতে পারে, ১২৩-এ কল করে ছয় বিভাগের ঘটনাবলি জানতে পারে।


গ্রামীণ কোম্পানি: এটি বাংলাদেশে বেশি অগ্রসরমান কোম্পানি। বাংলাদেশে গ্রামীণ ফোন কোম্পানির গ্রাহক সবচেয়ে বেশি। এ কোম্পানি ১৯৯৭ সালে এ দেশে তার কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বত্র গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক আছে। এ কোম্পানি তার গ্রাহকদেরকে

বিভিন্ন রকম সুযােগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন- দেশের এবং বিশ্বের খবর শােনানাে, বৈদ্যুতিক বিল জমা, ব্যবসায় বাণিজ্যের খবর, খেলাধুলার খবর, অ্যাম্বুলেন্স, থানা, হাসপাতাল, সংবাদপত্র প্রভৃতির তথ্য প্রদান করে।


বাংলালিংক কোম্পানি: এটি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এর পূর্বের নাম ছিল ‘সেবা টেলিকম। কিন্তু ২০০৫ সালে এ কোম্পানি নাম পরিবর্তন করে বাংলালিংক নাম নিয়ে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ কোম্পানির মালিক মূলত মিসর ভিত্তিক টেলিকম জয়েন্ট কোম্পানি ওরাসকম টেলিকম হােল্ডিং। এ কোম্পানি তার গ্রাহককে বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে। যেমন- কল ওয়েটিং, শর্ট মেসেজ সার্ভিস, কল হােল্ডিং, ভয়েস মেইল সার্ভিস ইত্যাদি।


রবি (একটেল) কোম্পানি: ১৯৯৭ সালের ১৫ নভেম্বর এ কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এ কোম্পানি প্রথম এদেশে ৩০ দিন মেয়াদি ৩০০ টাকার প্রি-পেইড কার্ড চালু করে। বর্তমানে এ কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা ৩-৪ কোটির অধিক।


টেলিটক কোম্পানি: টেলিটক কোম্পানি বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ফোন কোম্পানি। এ কোম্পানির গ্রাহকরা কম খরচে বিশ্বের সকল  দেশে কথা বলতে পারে। তাছাড়া দেশের মধ্যে এর কলরেট মাত্র ৬০ পয়সার মত।


ওয়ারিদ কোম্পানি: এ কোম্পানি ২০০৭ সালে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এটি বাংলাদেশের সর্বশেষ মােবাইল কোম্পানি। এ কোম্পানি সবচেয়ে শেষে এসেও সারা দেশে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা অঞ্চলে গ্রাহক আছে। এ কোম্পানি তার গ্রাহক এর বিভিন্ন রকম সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন– ৫ টাকার কথা বললে এরা গ্রাহকদেরকে সাথে সাথে ১ টাকা ফিরিয়ে দেয় এমন অনেক সুবিধা তারা দিয়ে এসেছে। তাছাড়া অন্যান্য কোম্পানির এফএনএফ নাম্বারের চেয়ে ওয়ারিদে অনেক বেশি নাম্বার এফএনএফ করা যায় ।


মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট: একটা সময় ইন্টারনেট ব্যাবহারের কথা শুধু কম্পিউটারে ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু বর্তমানের সকল স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করার  সুবিধা রয়েছে।

        

মােবাইল ফোনের গুরুত্ব: মানব জীবনে মােবাইল ফোনের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান গতিশীল সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য মােবাইল ফোন অত্যাবশ্যক। মােবাইল ফোনের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে দূর-দূরান্তের মানুষের সাথে কথা বলা যাচ্ছে। মােবাইল ফোনের মাধ্যমে গান শােনা, ছবি তােলা, গেমস খেলা প্রভৃতি সেবা দানের মাধ্যমে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ মােবাইল ফোন ছাড়া চলতে পারে না। এটি মানবজীবনের সাথে ওতপ্রােত ভাবে জড়িয়ে গেছে। তাই মানবজীবনে মােবাইল ফোনের গুরুত্ব বর্ণনাতীত।


উপসংহার: মােবাইল ফোন আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটি মানবজীবনের একটি বিরাট অংশ জুড়ে স্থান করে নিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ নিজেদের সুখ-দুঃখ, হাসি কান্না ভাগাভাগি করে নিতে পারছে দূর-দূরান্তের আত্মীয়স্বজনের সাথে। আর এ ক্ষেত্রে মােবাইল ফোন রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এ প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url