ভাবসম্প্রসারন অর্থ -সম্পদের বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞানসম্পদ কখনাে বিনষ্ট হয় না।
অর্থ-সম্পদের বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞানসম্পদ কখনাে বিনষ্ট হয় না।
মূলভাব : পৃথিবীতে যা কিছু দৃশ্যমান তার সবই ক্ষণস্থায়ী এবং তা সব সময় পরিবর্তনশীল। কিন্তু এর মধ্যে এমন এক অমূল্য জিনিস আছে, যার ক্ষয় নেই বরং বিকাশ আছে, তা হলাে জ্ঞান। জ্ঞানই মানুষের প্রকৃত বন্ধু, মহা মূল্যবান সম্পদ। নশ্বর এ পৃথিবীর বুকে জ্ঞান এমন এক বস্তু যা স্বমহিমায় বেঁচে থেকে মানুষকে আলাের পথ দেখায়।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে, অর্থ-সম্পদের প্রয়ােজন অনস্বীকার্য। অর্থ এমন একটি সম্পদ যা দিয়ে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে মানুষের অবস্থানকে নির্ণয় করা হয়। কিন্তু অর্থ-সম্পদ যতই শক্তির অধিকারী হােক না কেন, জ্ঞানসম্পদের কাছে তা নিষ্প্রভ। কেননা এ অর্থসম্পদ কেবল মানুষের বাইরের দিকটিকেই প্রকাশ করে মাত্র। প্রকৃতপক্ষে সত্যিকারের জ্ঞানী ব্যক্তি বিত্তশালী লােকের চেয়ে অনেক বেশি ধনবান ও শক্তিমান। বিত্তবানের ধনভাণ্ডার এক সময়ে নিঃশেষ হয়ে আসে, কিন্তু বিদ্বানের জ্ঞান ভাণ্ডার ক্রমাগত সমৃদ্ধ হতে থাকে। সময়ের ব্যবধানে সে অধিকতর জ্ঞানী হতে থাকে। আর তাই নশ্বর পৃথিবীতে জ্ঞান অবিনশ্বর। তাই অর্থ- সম্পদে নয় জ্ঞানসম্পদে সমৃদ্ধ ব্যক্তিগণই দেশ ও জাতির প্রকৃত সম্পদ। তাই, মহানবী (স) জ্ঞানীর কলমের কালিকে শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র বলেছেন। নেপােলিয়ন বলেছিলেন, “আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও আমি তােমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।” সুতরাং জ্ঞান সম্পদের মহত্ত্ব কতটা ভারি তা সহজেই অনুমেয়।
মন্তব্য : জ্ঞান মানুষের প্রকৃত সম্পদ, বিপদের বন্ধু। তাই এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, মহামূল্যবান মাণিক-রতন নয়; ‘শিক্ষা বা জ্ঞানই একমাত্র সম্পদ, যা তােমার জীবনের মতাে মহামূল্যবান।
মূলভাব : পৃথিবীতে যা কিছু দৃশ্যমান তার সবই ক্ষণস্থায়ী এবং তা সব সময় পরিবর্তনশীল। কিন্তু এর মধ্যে এমন এক অমূল্য জিনিস আছে, যার ক্ষয় নেই বরং বিকাশ আছে, তা হলাে জ্ঞান। জ্ঞানই মানুষের প্রকৃত বন্ধু, মহা মূল্যবান সম্পদ। নশ্বর এ পৃথিবীর বুকে জ্ঞান এমন এক বস্তু যা স্বমহিমায় বেঁচে থেকে মানুষকে আলাের পথ দেখায়।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষের বেঁচে থাকার জন্যে, অর্থ-সম্পদের প্রয়ােজন অনস্বীকার্য। অর্থ এমন একটি সম্পদ যা দিয়ে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে মানুষের অবস্থানকে নির্ণয় করা হয়। কিন্তু অর্থ-সম্পদ যতই শক্তির অধিকারী হােক না কেন, জ্ঞানসম্পদের কাছে তা নিষ্প্রভ। কেননা এ অর্থসম্পদ কেবল মানুষের বাইরের দিকটিকেই প্রকাশ করে মাত্র। প্রকৃতপক্ষে সত্যিকারের জ্ঞানী ব্যক্তি বিত্তশালী লােকের চেয়ে অনেক বেশি ধনবান ও শক্তিমান। বিত্তবানের ধনভাণ্ডার এক সময়ে নিঃশেষ হয়ে আসে, কিন্তু বিদ্বানের জ্ঞান ভাণ্ডার ক্রমাগত সমৃদ্ধ হতে থাকে। সময়ের ব্যবধানে সে অধিকতর জ্ঞানী হতে থাকে। আর তাই নশ্বর পৃথিবীতে জ্ঞান অবিনশ্বর। তাই অর্থ- সম্পদে নয় জ্ঞানসম্পদে সমৃদ্ধ ব্যক্তিগণই দেশ ও জাতির প্রকৃত সম্পদ। তাই, মহানবী (স) জ্ঞানীর কলমের কালিকে শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র বলেছেন। নেপােলিয়ন বলেছিলেন, “আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও আমি তােমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।” সুতরাং জ্ঞান সম্পদের মহত্ত্ব কতটা ভারি তা সহজেই অনুমেয়।
মন্তব্য : জ্ঞান মানুষের প্রকৃত সম্পদ, বিপদের বন্ধু। তাই এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, মহামূল্যবান মাণিক-রতন নয়; ‘শিক্ষা বা জ্ঞানই একমাত্র সম্পদ, যা তােমার জীবনের মতাে মহামূল্যবান।