তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ ও ব্রণের কালে দাগ দূর করার উপায়
মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার সহজ উপায় গুলো জানলে তবেই সহজেই এসকল সমস্যা হতে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। বাজারে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম এবং ঔষধ পাওয়া যায় অনেক ধরনের। কিন্তু এ ধরনের ক্রিমে বা ঔষধে রয়েছে প্রচুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এ কারনে একমাত্র প্রাকৃতিক উপায় আমাদের সঠিক সমাধান দিতে সক্ষম হবে। চলুন ছেলেদের বা মেয়েদের মুখের ব্রণের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় জেনে নেই।
ত্বক মূলত তিন ধরনের হয়, যথা: শুষ্ক, তৈলাক্ত, এবং মিশ্র। অন্যান্য ত্বকের তুলনায় তৈলাক্ত ত্বক অনেকবেশী সমস্যার মুখোমুখি হয়। অন্যান্য ধরনের ত্বক কিংবা যেকোনো স্বাভাবিক ত্বকের যতখানি যত্নের প্রয়োজন হয়, তৈলাক্ত ত্বকের এর চেয়ে বেশী যত্নের প্রয়োজন হয়।
তৈলাক্ত ত্বকের প্রধান সমস্যা হল , এই ধরনের ত্বক থেকে অনেক বেশী তেল নিঃসৃত হয়। তৈলাক্ত ত্বকেরলোমকূপ অন্যান্য ত্বকের তুলনায় একটু বড় থাকে। বড় লোমকূপ এবং অধিক তেল নিঃসৃত হওয়ার কারনে , তৈলাক্ত ত্বকে বাইরের ধুলোবালি অনেক বেশী আটকে যায়। যার ফলাফল লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ব্রনের জন্ম হওয়া।
তৈলাক্ত ত্বকের আরেকটি প্রধান সমস্যা হল ব্রনের দাগ হয়ে যাওয়া। মুখে ব্রনের দাগ খুবই দৃষ্টিকটু একটিবিষয়। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা এ সমস্যার প্রধান ভুক্তভোগী। কারো কারো ক্ষেত্রে ব্রনের স্থানে ছোট ছোট গর্তের তৈরি হয়। তবে দুশ্চিন্তার কোনো কারন নেই, এর সমাধান ও রয়েছে। চলুন জেনে নেই এর সমাধান গুলো:
১.বিটরুট: তৈলাক্ত ত্বকে ব্রনের দাগ দূর করার জন্য বিটরুট ম্যাজিকের মত কাজ করবে । একটি বিটরুট কিনে একেপাতলা করে কেটে গুরো করে নিন। বিটরুটের গুড়ো এবং আলু গুড়ো মিক্স করে ব্যবহার করুন।
২.আলু: যেকোনো দাগ দূরীকরণে আলু একদম ম্যাজিকের মত কাজ করবে। একটি মাঝারি আকারের আলু স্লাইস করে কেটে নিন। এবার আলুর স্লাইসটি ব্রনের কালো দাগের উপর নিয়মিত লাগান। কয়েকদিনের ব্যবধানে পার্থক্য আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
৩.তুলসী ও নিম: ব্রনের যেকোনো দাগ দূর করার জন্য তুলসী এবং নিম বিশেষ ভূমিকা রাখে। তুলসী এবং নিম এ রয়েছেএমন কিছু বিশেষ উপাদান যা ব্রনের দাগ দূরীকরণে এবং ব্রন স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে সহায়ক ভূমিকারাখে। তুলসী তৈলাক্ত ত্বকের তেল নিঃসরণ কে ব্যহত করে।
৪.হলুদ: তৈলাক্ত ত্বকের ব্রনের দাগ দূরীকরণে কাঁচাহলুদ এবং টক দই খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক চামচ টক দই এবং এক চিমটি কাঁচা হলুদ এক সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন এবং কয়েকদিনেই পার্থক্য লক্ষ্য করুন।
৫.ভিটামিন 'সি' সিরাম: ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানে সিরাম বিশেষ ভূমিকা রাখে। তৈলাক্ত ত্বকের ব্রন এবং যেকোনো দাগদূরীকরণে ভিটামিন 'সি' সিরাম খুবই কার্যকরী। 'সি' সিরাম ত্বকের যেকোনো ব্রনের দাগ, গর্ত ইত্যাদি দূরীকরণে 'সি' সিরাম ম্যাজিকের মত কাজ করবে।
৬.কাঁচা দুধ: তৈলাক্ত ত্বকের ব্রনের দাগ দূরীকরণে কাঁচা দুধ খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। একটি বাটিতে কাঁচা দুধনিন। এবার একটি তুলো ভিজিয়ে ওই দাগের উপর লাগান। কয়েকদিনের মধ্যেই দাগ ভ্যানিস।
উপরের পদ্ধতি গুলো একশ ভাগ কার্যকরী এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। এই পদ্ধতিগুলোতে আপনার ব্রন এবংব্রনের দাগ উভয়েই দূর হবে। তবে যেহেতু পদ্ধতি গুলো প্রাকৃতিক তাই হয়তো একটু সময় বেশী লাগতেপারে। আশা করি পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আশাহত হবেন না।
অনেক সুন্দর পোস্ট ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে