ব্যবসায় সংগঠন (Business Organizations) অধ্যায় এর গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর
ব্যবসায় পরিচিতি অনার্স ১ম বর্ষ হতে ব্যবসায় সংগঠন (Business Organizations) অধ্যায় এর গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর। (ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র mcq)
১. ব্যবসায় সংগঠন (Business Organization) কাকে বলে?
উত্তর: ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে প্রাপ্ত উৎপাদন উপকরণসমূহের একত্রিকরণের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কার্যাবলি ও দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের সুসামঞ্জস্যপূর্ণ সমন্বয় সাধনের প্রক্রিয়াকে ব্যবসায় সংগঠন বলে।
২. মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় সংগঠন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় সংগঠনকে ৭ ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
১. একমালিকানা সংগঠন,
২. অংশীদারি সংগঠন,
৩. কোম্পানি সংগঠন,
৪. সমবায় সংগঠন,
৫. রাষ্ট্রীয় সংগঠন,
৬. ব্যবসায়িক জোট এবং
৭. যৌথ উদ্যোগে ব্যবসায় সংগঠন।
৩. একমালিকানা সংগঠন (Sole proprietorship) কি?
উত্তর: একজন মালিকের তত্ত্বাবধানে সংগঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে এক মালিকানা সংগঠন বলে ।
৪. একমালিকানা সংগঠনের ৫টি বেশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর: একমালিকানা সংগঠনের ৫টি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ১. সহজ গঠন প্রক্রিয়া; ২. অসীম দায়; ৩. অভিন্ন মালিকানা, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ; ৪. স্বল্প পুজি ও আয়তন; ৫. আইনের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত; ৬. সহজ বিলােপ সাধন ইত্যাদি।
৫. অংশীদারী সংগঠন (Partnerslip) কাকে বলে?
উত্তর: চুক্তির ভিত্তিতে দুই বা ততােধিক ব্যক্তি বৈধ উপায়ে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে যে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে তাকে অংশীদারী ব্যবসায় সংগঠন বলে।
৬. অংশীদারি ব্যবসায় কত সালের আইন দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত হয়?
উত্তর: ১৯৩২ সালের অংশীদারী আইন দ্বারা এ সংগঠন গঠিত ও পরিচালিত হয়।
৭. অংশীদারি ব্যবসায়ের মূলভিত্তি কি?
উত্তর: পদমর্যাদা নয়, চুক্তিই অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি।
৮. অংশীদারী সংগঠনের সদস্য সংখ্যা কতজন থাকে?
উত্তর: অংশীদারী সংগঠনে সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ২০ জন অংশীদার থাকতে পারে। তবে ব্যাংকিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ জন সদস্য থাকে।
৯. অংশীদারী সংগঠনের অংশীদারদের দায় কিরূপ?
উত্তর: অংশীদারী সংগঠনের অংশীদারদের দায় অসীম এবং সকল অংশীদার অথৰ সকলের পক্ষে যে কোন অংশীদার ব্যবসায় পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করতে পারে।
উত্তর: অংশীদারি ব্যবসায়কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা : সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায় এবং সীমিত দায়সম্পন্ন অংশীদারি ব্যবসায়।
১১. সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায় (General Partnership) কাকে বলে?
উত্তর: ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন অনুযায়ী সাধারণ ব্যবসায়ে কমপক্ষে ২ জন এবং সর্বাধিক ২০ জন এবং ব্যাংকিং ব্যবসায়ে ২ থেকে সর্বোচ্চ ১০ জন সদস্য নিয়ে যে অংশীদারি ব্যবসায় গড়ে তােলা হয় তাকে সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায় বলা হয়।
১২. সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায়কে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর: সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায়কে দু'ভাগে ভাগ করা হয়; যথা : ক. ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় এবং খ. বিশেষ অংশীদারি ব্যবসায় ।
১৩. ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় কি?
উত্তর: অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অথবা নির্দিষ্ট সময়ের পর বা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের পরও যে সংগঠন চলতে থাকে তাকে ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় বলে।
১৪. সীমিত দায়সম্পন্ন বা পরিমিত অংশীদারি ব্যবসায় (Limited partnership) কি?
উত্তর: যে অংশীদারি ব্যবসায় কমপক্ষে একজন সীমাবদ্ধ দায়সম্পন্ন অংশীদার বা কমপক্ষে এক জন অসীম দায়সম্পন্ন অংশীদার নিয়ে গঠিত হয় তাকে পরিমিত বা সীমিতদায়সম্পন্ন অংশীদারি ব্যবসায় বলে।
১৫. সাধারণ বা সক্রিয় অংশীদার কি?
উত্তর: যে অংশীদার সংগঠনের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে তাকে সাধারণ বা সক্রিয় অংশীদার বলে।
১৬. নিষ্ক্রিয় বা ঘুমন্ত অংশীদার কি?
উত্তর: যে অংশীদার ব্যবসায়ে শুধু পুঁজি বিনিয়ােগ করে কিন্তু এর ব্যবস্থাপনা পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করে না তাকে নিষ্ক্রিয় বা ঘুমন্ত অংশীদার বলে।
১৭. পরিমিত বা সীমিত দায়সম্পন্ন অংশীদার কি?
উত্তর: যে অংশীদার ব্যবসায়ে পুঁজি বিনিয়ােগ করে এবং মুনাফা ভােগ করে কিন্তু ব্যবসায় পরিচালনায় অংশ গ্রহণ করতে পারে না এবং ব্যবসায়ে তার দায় বিনিয়ােগকৃত পুঁজি দ্বারা সীমাবদ্ধ তাকে পরিমিত বা সীমিত দায়সম্পন্ন অংশীদার বলে । সীমিত দায় সম্পন্ন অংশীদারিত্বেই সীমাবদ্ধ দায়-সম্পন্ন অংশীদার গ্রহণ করা হয়। তার দায়ের সীমা বিনিয়ােজিত মূলধন দ্বারা নিহিত থাকে।
১৮. নবাগত অংশীদার (Incoming partner) কি?
উত্তর: কোন প্রতিষ্ঠিত অংশীদারি সংগঠনে নতুন কোন অংশীদার গ্রহণ করা হলে সে নবাগত ব্যক্তিকে নবাগত অংশীদার বলা হয়। নবাগত অংশীদার প্রতিষ্ঠানের পূর্বতন দায়-দায়িত্বের জন্য দায়ী থাকে না।
১৯. অংশীদারি চুক্তিপত্র কি?
উত্তর: ভবিষ্যতে অংশীদারদের মধ্যে কোন প্রকার কলহ সৃষ্টি, বিরােধ ও ভুল বােঝাবুঝি যাতে সংঘটিত না হতে পারে তার জন্য অংশীদারি ব্যবসায়ের যাবতীয় শর্তাদি উল্লেখ করে যে লিখিত দলিল প্রস্তুত করা হয় তাকে অংশীদারি চুক্তিপত্র বলে।
উত্তর: অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধকের নিকট সংরক্ষিত বইতে অংশীদারি ব্যবসায়ের নাম তালিকাভুক্তিকরণকে অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন বলা হয়।
২১. অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন কি বাধ্যতামূলক?
উত্তর: ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন অনুযায়ী অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়। অংশীদারদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।
২২. অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধনের জন্য আবেদনপত্রে কোন কোন বিষয় অন্তর্ভূক্ত আবশ্যক?
উত্তর: অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধনের জন্য আবেদনপত্রের বিবরণীতে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের অন্তর্ভুক্তি আবশ্যক ।
১. অংশীদারি ব্যবসায়ের নাম।
২, সংগঠনের প্রধান কার্যালয় ও অন্যান্য শাখা।
৩. প্রত্যেক অংশীদারের ব্যবসায়ে যােগদানের তারিখ।
৪. সকল অংশীদারদের পূর্ণ নাম, ঠিকানা ও পেশা।
৫. ব্যবসায়ের মেয়াদকাল।
২৩. অংশীদারি ব্যবসায়ে নাবালক কারা?
উত্তর: বাংলাদেশে প্রচলিত চুক্তি আইন অনুযায়ী যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি নাবালক।
২৪. “কোন চলমান অংশীদারি ব্যবসায়ের সকল অংশীদার সম্মত থাকলে নাবালককে সাময়িক ভাবে অংশীদারি ব্যবসায়ে শুধু সুবিধা ভােগের জন্য গ্রহণ করা যায়।” এই কথাটি অংশীদারি আইনে কত ধারায় বলা হয়েছে?
উত্তর: ধারা ৩০, ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন।
২৫. অংশীদারি ব্যবসায়ে নাবালককে অংশীদার হিসেবে গণ্য করা যায় কি?
উত্তর: অংশীদারি ব্যবসায়ে নাবালককে একজন অংশীদার হিসেবে গণ্য না করে একজন সুবিধাভােগী হিসেবে গণ্য করা যায়।
২৬. অংশীদারের ক্ষমতাকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর: অংশীদারের ক্ষমতাকে দু'ভাগে ভাগ করা যায় । যথা : ক, প্রকাশ্য বা ব্যক্ত ক্ষমতা এবং খ. অপ্রকাশ্য বা অনুক্ত ক্ষমতা।
২৭. যৌথ মূলধনী কোম্পানি (Joint stock Company) কাকে বলে?
উত্তর: মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধ দায়ের ভিত্তিতে কতিপয় বক্তি স্বেচ্ছায় যৌথভাবে মূলধন বিনিয়ােগ করে আইনের ধারামতে কৃত্রিম ও স্বতন্ত্র সত্তার অধিকারী চিরন্তন অস্তিত্ব সম্পন্ন যে ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তােলে তাকে কোম্পানী সংগঠন বা যৌথমূলধনী কোম্পানি বলে।
২৮. বাংলাদেশে কত সালের কোম্পানি আইন দ্বারা যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়?
উত্তর: বাংলাদেশে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন দ্বারা যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়।
২৯. যৌথ মূলধনী কোম্পানির ৫টি বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর: যৌথ মূলধনী কোম্পানির ৫টি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ১. আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান, ২. কৃত্রিম ও স্বতন্ত্র সত্তার অধিকারী, ৩. চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন, ৪. সীমাবদ্ধ দায় এ শেয়ারের মালিকানা হস্তান্তর যােগ্য, ৬, মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথক ইত্যাদি।
উত্তর: সমমনা কিছু সংখ্যক ব্যক্তি পারস্পরিক সহযােগিতা ও সম অধিকারের ভিত্তিতে স্বেচ্ছায় মিলিত হয়ে সমবায় আইনের আওতায় স্বল্প পুঁজি বিনিয়ােগের মাধ্যমে যে সংগঠন গড়ে তােলে তাকে সমবায় সমিতি বা সংগঠন বলে।
৩১. সমবায় সমিতি সর্বনিম্ন কতজন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়?
উত্তর: সমবায় সংগঠন ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে সর্বনিম্ন ১০ জন সদস্য নিয়ে সমবায় সংগঠন গঠন করা যায়।
৩২. রাষ্ট্রীয় সংগঠন (State enterprise) কি?
উত্তর: রাষ্ট্র বা সরকার কর্তৃক গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত সংগঠনকে রাষ্ট্রীয় সংগঠন বলে।
৩৩. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূখ্য উদ্দেশ্য কি?
উত্তর: কেবল মাত্র মুনাফা অর্জন করাই এ জাতীয় ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য নয়। জনসাধারণের সেবা ও কল্যাণমূলক কার্যসম্পাদন করাই রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের প্রধান উদ্দেশ্য।
৩৪. গঠন, প্রকৃতি, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার পদ্ধতি অনুসারে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: গঠন, প্রকৃতি, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার পদ্ধতি অনুসারে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
ক, সরকার বিভাগীয় সংগঠন (Government departmental Organization);
খ, বিধিবদ্ধ কর্পোরেশন/সংস্থা (Statutory corporation);
গ, সরকারি যৌথ মূলধনী কোম্পানি (Govt. joint stock company);
ঘ, বাের্ড ব্যবস্থাপনা বা পর্ষদ ব্যবস্থাপনা (Board management)।
৩৫. সরকার বিভাগীয় সংগঠন (Government depertmental Organization) কি?"
উত্তর: সরকারি প্রশাসনিক বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে যে সকল ব্যবসায় সংগঠন পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে সরকারি বিভাগীয় সংগঠন বলে।
৩৬. সরকার বিভাগীয় সংগঠনের কয়েকটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: বাংলাদেশের ডাক ব্যবস্থা, তার ও টেলিফোন ব্যবস্থা, রেডিও, টেলিভিশন, তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের অধীন যােগাযােগ মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক ও রেল পরিবহন ইত্যাদি হলাে এ জাতীয় সংগঠন এর উদাহরণ।
৩৭. বিধিবদ্ধ কর্পোরেশন/সংস্থা (Statutory corporation) কাকে বলে?
উত্তর: যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান দেশের জাতীয় সংসদে প্রণীত বিশেষ আইন দ্বারা বা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে গঠিত হয় এবং উক্ত অধ্যাদেশ বা আইনে ক্ষমতা, কর্তব্য, দায়িত্ব ও পরিচালনা সম্পর্কিত বিষয়াদির উল্লেখ থাকে তাকে বিধিবদ্ধ কর্পোরেশন বলে।
৩৮. বিধিবদ্ধ কর্পোরেশন/সংস্থার কয়েকটি উদাহরণ লিখ।
উত্তর: বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, জীবন বীমা কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স কর্পোরেশন ইত্যাদি কটি উল্লেখযােগ্য বিধিবদ্ধ সংস্থার উদাহরণ।
৩৯. সরকারি যৌথ মূলধনী কোম্পানি (Govt. joint stock company) বলতে কি বুঝ?
উত্তর: কোম্পানি আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীনে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির অনুকরণে সরকার কর্তৃক গঠিত ও পরিচালিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে সরকারি কোম্পানি বলা হয়। উত্তরা ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, তিতাস গ্যাস প্রভৃতি সরকারি কোম্পানির কয়েকটি দৃষ্টান্ত।
৪০. বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কাঠামােকে কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়?
উত্তর: বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কাঠামােকে নিম্নোক্ত তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। যথা : (ক) ব্যবস্থাপনা বাের্ড, (খ) সরকারি বিভাগ ও মন্ত্রণালয় (গ) সরকারি প্রশাসক।
৪১. বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামােকে তিনটি স্তরে ভাগ ভাগ করা যায়?
উত্তর: বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামােকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয় । যথা: (ক) সরকারি মন্ত্রণালয়, (খ) সেক্টর কর্পোরেশন এবং (গ) শিল্প বা বাণিজ্যিক ইউনিটের ব্যবস্থাপনা।
৪২. ব্যবসায় জোট (Business Combination) বলতে কি বুঝ?
উত্তর: অনুরূপ ব্যবসায়ে নিয়ােজিত একাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সমস্বার্থে প্রতিযােগিতা এড়িয়ে একই ব্যবস্থাপনা, আওতায় থেকে অধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে সম্মিলিতভাবে ব্যবসায় পরিচালনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে যে ব্যবসায়
প্রতিষ্ঠান গঠন করে তাকে ব্যবসায় জোট বলে। হােল্ডিং কোম্পানি পুল, ট্রাস্ট, কার্টেল প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার জোটের রূপ।
৪৩. যৌথ উদ্যোগ ব্যবসায় (Joint Venture) কি?
উত্তর: বিদেশী উদ্যোক্তাদের সাথে দেশীয় ব্যবসায়ীগণ যৌথ পুঁজি বিনিয়ােগের মাধ্যমে যে বৃহদায়তনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে তাকে যৌথ উদ্যোগে ব্যবসায় বলে।