ভাব সম্প্রসারণ: নানান দেশের নানান ভাষা, বিনা স্বদেশী ভাষা পুরে কি আশা?
ভাব সম্প্রসারণ: নানান দেশের নানান ভাষা, বিনা স্বদেশী ভাষা পুরে কি আশা?
ভাব-সম্প্রসারণ : মাতৃভাষা মানুষের সবচেয়ে প্রিয় এবং মনোভাব প্রকাশের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। নিজের ভাষায় মনোভাব প্রকাশে মানুষ বেশি আনন্দ পায়, অন্য ভাষায় তা মোটেই সম্ভব নয়। প্রত্যেক জাতির মাতৃভাষার সঙ্গে এমন একট আত্মিক সম্পর্ক থাকে যে, সেই ভাষাই তার মনোভাব প্রকাশের সর্বোত্তম বাহন হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতিভাশালী লোকেরা নানান ভাষা শিখে পণ্ডিত ও খ্যাত হন। কিন্তু তাঁরা মনের ভাব প্রকাশের জন্য মাতৃভাষারই সহায়তা নিয়ে থাকেন।
নিজের ভাষার সাথে মানুষের পরিচয় শিশুকাল থেকে। সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি প্রকাশের জন্য মাতৃভাষাকে সহজেই ব্যবহার করতে পারে। মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য কোনো ভাষায় কোনো কবি বা সাহিত্যিকের সাহিত্য চর্চাও স্বতঃস্ফূর্ততা পায় না। উদাহরণস্বরূপ বলা চলে বাঙালি করি মাইকেল মধুসূদন দত্তের কথা। তিনি দীর্ঘ প্রবাস জীবনে বিদেশি ভাষা আয়ত্ব করে সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করেন।কিন্তু তাঁর রচনা ইংরেজি সাহিত্যে তথা ইংরেজ ভাষাভাষীর হৃদয়ে সমাদৃত হয় নি তাই পৃথিবীর অন্যান্য ভাষার মধ্যে মাতৃভাষাই আপন এবং মনোভাব প্রকাশের শ্রেষ্ঠ পন্থা।