ভাব সম্প্রসারণ: ছোট ছোট বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
ভাব সম্প্রসারণ: ছোট ছোট বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।
ভাবসম্প্রসারণ : ক্ষুদ্র সামান্য হলেও তাকে অবহেলা করা যায় না। ক্ষুদ্র থেকেই বৃহতের সৃষ্টি। জগতের সকল বিশাল ও মহৎ সৃষ্টির পেছনে রয়েছে ক্ষুদ্রের অবদান। ক্ষুদ্রকে তাই তুচ্ছ বা অবহেলা করা ঠিক নয়।
আমরা সাধারণত একটি ক্ষুদ্র বালিকণা বা একবিন্দু পানির কোনো গুরুত্ব দিই না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকার কণা দিয়ে মহাদেশ গড়ে ওঠে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলবিন্দুর সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় সাগর বা মহাসাগর এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহুর্তের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় মহাকাল। ছোট অবস্থা থেকে সবকিছু ক্রমে বড় হয়। প্রথমে যা থাকে অতি সামান্য তা ই ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে সুবিশাল আকার ধারণ করে থাকে। কোনো কিছুই অল্প সময়ের মধ্যে বড় হয়ে ওঠে না।কিংবা প্রথমেই বড় আকারে কোনো কিছুর উদ্ভব হয় না। ছোট জিনিস থেকে ক্রমে বড় হয় বলে ছোট জিনিসকে গুরুত্ব দিতে হয়। ইংরেজ বিজ্ঞানী চার্লস রবার্ট ডারউইন সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে বলেছেন— “সরল এবং ছোট প্রাণীগুলো থেকে জটিল ও বড় প্রাণীর উৎপত্তি ঘটেছে।" অর্থাৎ আদি পৃথিবীর এককোষী অ্যামিবা থেকেই ক্রমশ বহুকোষী হাজারো প্রাণীর উৎপত্তি ঘটেছে। সুতরাং প্রতিটি ক্ষুদ্রের রয়েছে অপরিসীম তাৎপর্য।